ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরির উদগীরণে মৃত্যু বেড়ে ৩৪

  • আপডেট সময় : ১২:১৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সর্বোচ্চ আগ্নেয় পর্বত সেমেরুর উদগীরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গত শনিবার ৩৬৭৬ মিটার উচ্চতার এই আগ্নেয়গিরিটি থেকে উত্তপ্ত ঘন ছাই ও ধোঁয়ার বিশাল কু-ুলি উৎক্ষিপ্ত হয় ও নিচের গ্রামগুলোর ভেতর দিয়ে বিপজ্জনক লাভার স্রোত প্রবাহিত হয়।
এতে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উয়িদোদো দুর্গত এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পুনর্র্নিমাণ প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হেলিকপ্টারে করে আগ্নেয়গিরির উদগীরিত ছাইয়ে ঢাকা গ্রামগুলো দেখে ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের পর তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি সুম্বুলউলু থেকে তিনি বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করার বাহিনী আমাদের আছে, আমি এটি নিশ্চিত করতে এখানে এসেছি।” অন্তত দুই হাজার বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তল্লাশি ও উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের কারণে কাজে বিঘœ ঘটছে। কিছু এলাকায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবেও উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সেমেরুতে আরও তিনবার উদগীরণ হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি এবং ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্র সোমবার সম্ভাব্য আরও উদগীরণের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। ফের উত্তপ্ত গ্যাস, ছাই ও পাথর উৎক্ষিপ্ত হতে পারে বলে জানিয়েছিল তারা। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে সেমেরু একটি। জাভা দ্বীপে ৩৬০০ মিটার উঁচু এ আগ্নেয়গিরি থেকে গত জানুয়ারিতেও উদগীরণ হয়েছিল, তবে তখন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’ বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার ওপর ছড়িয়ে থাকা বহু দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। কয়েকটি টেকটনিক প্লেটের প্রান্তসীমা রয়েছে এই এলাকায়, ফলে এখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয় এবং একই কারণে সেখানে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরির উদগীরণে মৃত্যু বেড়ে ৩৪

আপডেট সময় : ১২:১৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সর্বোচ্চ আগ্নেয় পর্বত সেমেরুর উদগীরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গত শনিবার ৩৬৭৬ মিটার উচ্চতার এই আগ্নেয়গিরিটি থেকে উত্তপ্ত ঘন ছাই ও ধোঁয়ার বিশাল কু-ুলি উৎক্ষিপ্ত হয় ও নিচের গ্রামগুলোর ভেতর দিয়ে বিপজ্জনক লাভার স্রোত প্রবাহিত হয়।
এতে এ পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা জানিয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উয়িদোদো দুর্গত এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া ও ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পুনর্র্নিমাণ প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হেলিকপ্টারে করে আগ্নেয়গিরির উদগীরিত ছাইয়ে ঢাকা গ্রামগুলো দেখে ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের পর তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি সুম্বুলউলু থেকে তিনি বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের শনাক্ত করার বাহিনী আমাদের আছে, আমি এটি নিশ্চিত করতে এখানে এসেছি।” অন্তত দুই হাজার বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তল্লাশি ও উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসের কারণে কাজে বিঘœ ঘটছে। কিছু এলাকায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবেও উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সেমেরুতে আরও তিনবার উদগীরণ হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি এবং ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্র সোমবার সম্ভাব্য আরও উদগীরণের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। ফের উত্তপ্ত গ্যাস, ছাই ও পাথর উৎক্ষিপ্ত হতে পারে বলে জানিয়েছিল তারা। ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে সেমেরু একটি। জাভা দ্বীপে ৩৬০০ মিটার উঁচু এ আগ্নেয়গিরি থেকে গত জানুয়ারিতেও উদগীরণ হয়েছিল, তবে তখন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
‘প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার’ বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলার ওপর ছড়িয়ে থাকা বহু দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়া অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। কয়েকটি টেকটনিক প্লেটের প্রান্তসীমা রয়েছে এই এলাকায়, ফলে এখানে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয় এবং একই কারণে সেখানে অনেকগুলো আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হয়েছে।