নারী ও শিশু প্রতিবেদক : করোনাকালে দেশে দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-কর্মক্ষেত্র ও জনসমাগমস্থলের পাশাপাশি অনলাইনেও যৌন হয়রানি এবং সহিংসতার ঘটনা বেড়েই চলছে। সময়ের সঙ্গে পাল্টাচ্ছে নির্যাতনের ধরন। নির্যাতন ঠেকাতে পরিবার থেকে নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার শিক্ষা শুরুর পাশাপাশি নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনে পুরুষদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে বলেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
গত শনিবার বিকেলে ‘নারী নির্যাতন রোধে এই সময়ে করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ অভিমত তুলে ধরেন বক্তারা। সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞান ও জেন্ডার ক্লাব এ আয়োজন করে।
এসময় বক্তারা বলেন, সাইবার জগতে নারীর ওপর হয়রানি এখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। হয়রানি রোধে করণীয় ঠিক করতে গণমাধ্যমসহ প্রতিটি ক্ষেত্রের মতামত উঠে আসা দরকার। সমতার জন্য ও নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য কী কী করা প্রয়োজন, তা জানতে পারলে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়। সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পারভীন হাসান বলেন, অর্থনৈতিক কারণে অনেক পরিবার মেয়েদের পড়ায় না। বোঝা মনে করে। তারা ছেলের জন্য পড়াশোনায় ব্যয় করে। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, অপরিণত বয়সের সম্পর্ক ছেলেমেয়ে দুজনের জন্যই খারাপ পরিণতি ডেকে আনে। এজন্য যৌনতাবিষয়ক শিক্ষাকে সাধারণ স্বাস্থ্য জ্ঞান হিসেবে পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তা শেখানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি। ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ বলেন, নারীর প্রতি নির্যাতনের বেশির ভাগ ঘটে কাছের মানুষের মাধ্যমে পারিবারিক বলয়ে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে নারী নির্যাতন রোধ করা সম্ভব। নারীর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে স্কুল পর্যায় থেকে ছেলেমেয়েদের সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে যুক্ত করতে হবে। নিউজ ২৪-এর প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী বলেন, পরিবার থেকেই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার শিক্ষা শুরু করতে হবে। যে ছেলেসন্তান মায়ের প্রতি বাবার নির্যাতন দেখে, সে বড় হয়ে অন্য নারীদের প্রতিও সে রকম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বড় হয়। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সেন্ট্রাল উইমেনস ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসিফুন নাহার।
সময়ের সঙ্গে পাল্টাচ্ছে নারী নির্যাতনের ধরন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ