ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিয়ে লন্ডনে বাজাবেন বাংলাদেশের সুদর্শন

  • আপডেট সময় : ১০:৪২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে চারবার লেখা হয়েছে প-িত সুদর্শন দাশের নাম। টানা ১৪ ঘণ্টা ড্রাম রোল বাজিয়ে রেকর্ড করেছেন তিনি। এবার ড্রাম রোলে নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তিনি। বিরতিহীন ১৪ ঘণ্টার বেশি বাজাতে পারলেই তৈরি হবে তাঁর নতুন রেকর্ড। বিশ্ব রেকর্ড গড়তে আজ আবারও বাজাবেন প-িত সুদর্শন দাশ।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এই তবলা বিশারদ জানালেন, ১৪ ঘণ্টা তো বটেই, এবার তাঁর লক্ষ্য ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা। সুদর্শন দাশ প্রথম আলোকে জানান, এবারের চ্যালেঞ্জটি তিনি পেয়েছেন ভিন্নভাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই তাঁকে নতুন রেকর্ড গড়ার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আজ স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হবে নতুন রেকর্ড গড়ার এই আয়োজন। পূর্ব লন্ডনের কমার্শিয়াল রোডের লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমি মিলনায়তনে বাজাবেন তিনি। তাঁর বাজানোর পুরো সময়টাই দুটি ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা হবে। ঘটনাটি উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরাও।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম অনুসারে, দীর্ঘ সময় ধরে বাদ্য বাজানোর ফাঁকে কোনো বিরতি নেওয়া যাবে না। তবে বাজানোর সময় চাইলে খেতে পারবেন সুদর্শন। এ সময়ও বাদ্য থামানো যাবে না। সুতরাং এ সময় অন্য কেউ তাঁকে খাবার খাইয়ে দেবেন। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা সুদর্শন দাশ চট্টগ্রামের ছেলে। দীর্ঘ সময় তবলা, ঢোল, ড্রাম রোল ও ড্রামসেট বাজানোর চারটি বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ২০১৬ সালে টানা ২৫ দিনে ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট তবলা বাজিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ঢোল বাজানোর রেকর্ড গড়তে ২০১৭ সালে তাঁকে বাজাতে হয়েছিল টানা ২৭ ঘণ্টা। ২০১৮ সালে টানা ১৪ ঘণ্টা ড্রাম রোল বাজিয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ড্রামসেট বাজান ১৪০ ঘণ্টা ৫ মিনিট।
সুদর্শন দাশের বাবা অমূল্য রঞ্জন দাশ, মা বুলবুল রানী দাশ। প-িত সুদর্শন পূর্ব লন্ডনের তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমির প্রিন্সিপাল। তাঁর প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বাদ্যযন্ত্র শিখছে। পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস, নিউহ্যাম ও রেডব্রিজ কাউন্সিলের অধীনে তিনি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মিউজিক ইন্সপেক্টর হিসেবে কাজ করেন। চারটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার সুবাদে প-িত সুদর্শন দাশ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় বাজিয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিয়ে লন্ডনে বাজাবেন বাংলাদেশের সুদর্শন

আপডেট সময় : ১০:৪২:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে চারবার লেখা হয়েছে প-িত সুদর্শন দাশের নাম। টানা ১৪ ঘণ্টা ড্রাম রোল বাজিয়ে রেকর্ড করেছেন তিনি। এবার ড্রাম রোলে নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন তিনি। বিরতিহীন ১৪ ঘণ্টার বেশি বাজাতে পারলেই তৈরি হবে তাঁর নতুন রেকর্ড। বিশ্ব রেকর্ড গড়তে আজ আবারও বাজাবেন প-িত সুদর্শন দাশ।
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এই তবলা বিশারদ জানালেন, ১৪ ঘণ্টা তো বটেই, এবার তাঁর লক্ষ্য ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা। সুদর্শন দাশ প্রথম আলোকে জানান, এবারের চ্যালেঞ্জটি তিনি পেয়েছেন ভিন্নভাবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই তাঁকে নতুন রেকর্ড গড়ার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আজ স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হবে নতুন রেকর্ড গড়ার এই আয়োজন। পূর্ব লন্ডনের কমার্শিয়াল রোডের লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমি মিলনায়তনে বাজাবেন তিনি। তাঁর বাজানোর পুরো সময়টাই দুটি ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করা হবে। ঘটনাটি উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরাও।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নিয়ম অনুসারে, দীর্ঘ সময় ধরে বাদ্য বাজানোর ফাঁকে কোনো বিরতি নেওয়া যাবে না। তবে বাজানোর সময় চাইলে খেতে পারবেন সুদর্শন। এ সময়ও বাদ্য থামানো যাবে না। সুতরাং এ সময় অন্য কেউ তাঁকে খাবার খাইয়ে দেবেন। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা সুদর্শন দাশ চট্টগ্রামের ছেলে। দীর্ঘ সময় তবলা, ঢোল, ড্রাম রোল ও ড্রামসেট বাজানোর চারটি বিশ্ব রেকর্ড রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। ২০১৬ সালে টানা ২৫ দিনে ৫৫৭ ঘণ্টা ১১ মিনিট তবলা বাজিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ঢোল বাজানোর রেকর্ড গড়তে ২০১৭ সালে তাঁকে বাজাতে হয়েছিল টানা ২৭ ঘণ্টা। ২০১৮ সালে টানা ১৪ ঘণ্টা ড্রাম রোল বাজিয়ে রেকর্ড গড়েন তিনি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে ড্রামসেট বাজান ১৪০ ঘণ্টা ৫ মিনিট।
সুদর্শন দাশের বাবা অমূল্য রঞ্জন দাশ, মা বুলবুল রানী দাশ। প-িত সুদর্শন পূর্ব লন্ডনের তবলা অ্যান্ড ঢোল একাডেমির প্রিন্সিপাল। তাঁর প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বাদ্যযন্ত্র শিখছে। পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস, নিউহ্যাম ও রেডব্রিজ কাউন্সিলের অধীনে তিনি স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মিউজিক ইন্সপেক্টর হিসেবে কাজ করেন। চারটি বিশ্ব রেকর্ড গড়ার সুবাদে প-িত সুদর্শন দাশ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় বাজিয়েছেন।