ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন কাদের

  • আপডেট সময় : ০২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারী নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বক্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ডা. মুরাদের বক্তব্য ব্যক্তিগত, দল বা সরকারের নয়।
গতকাল সোমবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফলভাবে পালনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সকল কাউন্সিল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী নারী বিদ্বেষমূলক যে বক্তব্য দিয়েছেন এতে কি দল বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য হতে পারে। আমাদের দলের বা সরকারের কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য না। অবশ্যই আমি বিষয়টি…এই ধরনের বক্তব্য কেন সে দিলো, এটা আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।’
এসময় বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি ক্রমাগত মনগড়া বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে যা তাদের দলের কাছেই নেতাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে। বেগম জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ নাকি থাকবে না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যে জনগণের মধ্যে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঠিকই থাকবে। তবে বেগম জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকবে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। দেশে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন নয় বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা এখন আত্মবিশ্বাস হারানো এক পথভ্রান্ত রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফলভাবে পালনের লক্ষ্যে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে সারা জাতিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এদিন সকালে সাভার ও বঙ্গবন্ধু ভবনে আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ১৭ ডিসেম্বর সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় শিখা চিরন্তন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন ও সাজসজ্জা থাকবে। কিন্তু মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও ব্যানার-ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের চেয়ে কারো ছবি যেন বড় না হয় সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেয়ার পর কোনো ব্যক্তি বিশেষের ছবি দেওয়া যাবে না। সৌজন্যে নাম দেওয়া যাবে। এসময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় আলোকসজ্জা করার জন্য নির্দেশনা দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন কাদের

আপডেট সময় : ০২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারী নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বক্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ডা. মুরাদের বক্তব্য ব্যক্তিগত, দল বা সরকারের নয়।
গতকাল সোমবার ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফলভাবে পালনে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সকল কাউন্সিল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী নারী বিদ্বেষমূলক যে বক্তব্য দিয়েছেন এতে কি দল বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য হতে পারে। আমাদের দলের বা সরকারের কোনো বক্তব্য বা মন্তব্য না। অবশ্যই আমি বিষয়টি…এই ধরনের বক্তব্য কেন সে দিলো, এটা আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।’
এসময় বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপি ক্রমাগত মনগড়া বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে যা তাদের দলের কাছেই নেতাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে। বেগম জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ নাকি থাকবে না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যে জনগণের মধ্যে হাস্যরসে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ ঠিকই থাকবে। তবে বেগম জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকবে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। দেশে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন নয় বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা এখন আত্মবিশ্বাস হারানো এক পথভ্রান্ত রাজনৈতিক দল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সফলভাবে পালনের লক্ষ্যে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে সারা জাতিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। এদিন সকালে সাভার ও বঙ্গবন্ধু ভবনে আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। ১৭ ডিসেম্বর সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় শিখা চিরন্তন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন ও সাজসজ্জা থাকবে। কিন্তু মানুষের ভোগান্তি যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও ব্যানার-ফেস্টুনে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের চেয়ে কারো ছবি যেন বড় না হয় সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেন সেতুমন্ত্রী। বলেন, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেয়ার পর কোনো ব্যক্তি বিশেষের ছবি দেওয়া যাবে না। সৌজন্যে নাম দেওয়া যাবে। এসময় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় আলোকসজ্জা করার জন্য নির্দেশনা দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।