ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

কঙ্গনাকে হত্যার হুমকি

  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণৌত। নানা রকম বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রায় আলোচনায় আসেন। তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী।
ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন কঙ্গনা। এ বিষয়ে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মামলার কপিও পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি ভারতের কংগ্রেস দলের অন্তর্বতী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে বিষয়টি সমাধান করার অনুরোধ করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা বিবৃতিতে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘মুম্বাই হামলার সন্ত্রাস দমনকারীদের কথা মনে পড়ছে। অপরাধীদের কখনো ভোলা উচিত নয়। এই ধরনের ঘটনায় দেশের মধ্যেই কিছু মানুষ অপরাধীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ভারত মাকে অপমান করার কোনো সুযোগই এরা ছাড়েনি। কিছু টাকা ও ক্ষমতার লোভে এরা বিক্রি হয়ে যায়।’
হুমকির বিষয়ে বলিউডের ‘কুইন’ জানান, ‘আমার পোস্টে ক্রমাগত হুমকি পেয়েছি। ভাটিন্ডার এক ভাই সবার সামনে আমাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। জানিয়ে রাখি, আমি এই ধরনের হুমকিকে ভয় করি না। দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে, তাদের বিরুদ্ধে সব সময় সরব হয়ে আমি কথা বলবই। নিরপরাধ জওয়ানদের হয়ে নকশাল হলেও প্রতিবাদ করব, কিংবা টুকরে টুরকে গ্যাং। বিদেশে বসে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধেও বলবো, যারা পাঞ্জাবের পবিত্র ভূমিকে খালিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছে।’
ভারতের কৃষি আইন প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে সোচ্চার ছিলেন কঙ্গনা। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শিখ সম্প্রদায়কে তিনি ‘খালিস্তানি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি দাবি করেন, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাদের মশার মতো পায়ের তলায় পিষে মেরেছেন।
কঙ্গনা লেখেন ‘বর্তমানে খালিস্তানি জঙ্গিরা সরকারকে বিব্রত করছে। একজন নারীকে আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। দেশের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী এদের নিজের জুতার নিচে পিষে দিয়েছিলেন। এদেরকে মশার মতো পায়ের তলায় পিষে মেরেছেন, এর পরিবর্তে তিনি নিজের প্রাণ দিয়েছেন, কিন্তু দেশকে ভাগ হতে দেননি। আজও এই জঙ্গিরা তার নাম শুনলে ভয়ে কেঁপে ওঠে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ বাদের দাবি

কঙ্গনাকে হত্যার হুমকি

আপডেট সময় : ১০:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রাণৌত। নানা রকম বিতর্কিত মন্তব্য করে প্রায় আলোচনায় আসেন। তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন এই অভিনেত্রী।
ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন কঙ্গনা। এ বিষয়ে তিনি থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মামলার কপিও পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি ভারতের কংগ্রেস দলের অন্তর্বতী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে বিষয়টি সমাধান করার অনুরোধ করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা বিবৃতিতে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘মুম্বাই হামলার সন্ত্রাস দমনকারীদের কথা মনে পড়ছে। অপরাধীদের কখনো ভোলা উচিত নয়। এই ধরনের ঘটনায় দেশের মধ্যেই কিছু মানুষ অপরাধীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ভারত মাকে অপমান করার কোনো সুযোগই এরা ছাড়েনি। কিছু টাকা ও ক্ষমতার লোভে এরা বিক্রি হয়ে যায়।’
হুমকির বিষয়ে বলিউডের ‘কুইন’ জানান, ‘আমার পোস্টে ক্রমাগত হুমকি পেয়েছি। ভাটিন্ডার এক ভাই সবার সামনে আমাকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। জানিয়ে রাখি, আমি এই ধরনের হুমকিকে ভয় করি না। দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে, তাদের বিরুদ্ধে সব সময় সরব হয়ে আমি কথা বলবই। নিরপরাধ জওয়ানদের হয়ে নকশাল হলেও প্রতিবাদ করব, কিংবা টুকরে টুরকে গ্যাং। বিদেশে বসে থাকা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধেও বলবো, যারা পাঞ্জাবের পবিত্র ভূমিকে খালিস্তান বানানোর চেষ্টা করেছে।’
ভারতের কৃষি আইন প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে সোচ্চার ছিলেন কঙ্গনা। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শিখ সম্প্রদায়কে তিনি ‘খালিস্তানি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি দাবি করেন, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাদের মশার মতো পায়ের তলায় পিষে মেরেছেন।
কঙ্গনা লেখেন ‘বর্তমানে খালিস্তানি জঙ্গিরা সরকারকে বিব্রত করছে। একজন নারীকে আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। দেশের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী এদের নিজের জুতার নিচে পিষে দিয়েছিলেন। এদেরকে মশার মতো পায়ের তলায় পিষে মেরেছেন, এর পরিবর্তে তিনি নিজের প্রাণ দিয়েছেন, কিন্তু দেশকে ভাগ হতে দেননি। আজও এই জঙ্গিরা তার নাম শুনলে ভয়ে কেঁপে ওঠে।’