ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

দক্ষিণ আফ্রিকায় চীন-ভারতের পাল্টাপাল্টি উদ্যোগ

  • আপডেট সময় : ১২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির একদিন পরই দেশটিকে টিকা সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে ভারত।
করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের বিস্তার রোধে দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকার ডোজ পাঠাচ্ছে ভারতের সরকার। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার যেসব দেশে ওমিক্রমণের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, ভারতের সরকার করোনা টিকার ডোজ প্রদানের মাধ্যমে তাদের সবার পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। কোভ্যাক্স কিংবা দ্বিপাক্ষিক মাধ্যমে এই টিকার ডোজ পাঠানো হবে।’
টিকার ডোজের পাশাপাশি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, টেস্ট কিট, পিপিই কিট, ভেন্টিলেটরসহ বিভিন্ন চিকিৎসা উপকরণও পাঠানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এ পর্যন্ত আফ্রিকা মহাদেশের ৪১ দেশে আড়াই কোটি ডোজেরও বেশি করোনা টিকা পাঠিয়েছে ভারত। উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে টিকা সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রকল্প কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল এসব টিকা।
গত সোমবার দক্ষিন আফ্রিকায় বিশাল আর্থিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। আগামী বছর থেকেই শুরু হবে এই কার্যক্রম। চীনের সরকার এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একদিনের মধ্যেই দেশটিকে টিকা সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল ভারত। অবশ্য কত সংখ্যক ডোজ দেশটিতে পাঠানো হবে তা মঙ্গলবারের বিবৃতিতে জানায়নি দেশটির সরকার।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন। ইতোমধ্যে দেশটিতে এই ধরনে আক্রান্ত ২২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালিসহ ১৭ দেশে এই ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দক্ষিণ আফ্রিকায় চীন-ভারতের পাল্টাপাল্টি উদ্যোগ

আপডেট সময় : ১২:০৪:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকায় চীনের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির একদিন পরই দেশটিকে টিকা সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে ভারত।
করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের বিস্তার রোধে দক্ষিণ আফ্রিকায় টিকার ডোজ পাঠাচ্ছে ভারতের সরকার। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাসহ আফ্রিকার যেসব দেশে ওমিক্রমণের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে, ভারতের সরকার করোনা টিকার ডোজ প্রদানের মাধ্যমে তাদের সবার পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। কোভ্যাক্স কিংবা দ্বিপাক্ষিক মাধ্যমে এই টিকার ডোজ পাঠানো হবে।’
টিকার ডোজের পাশাপাশি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, টেস্ট কিট, পিপিই কিট, ভেন্টিলেটরসহ বিভিন্ন চিকিৎসা উপকরণও পাঠানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, এ পর্যন্ত আফ্রিকা মহাদেশের ৪১ দেশে আড়াই কোটি ডোজেরও বেশি করোনা টিকা পাঠিয়েছে ভারত। উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে টিকা সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রকল্প কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল এসব টিকা।
গত সোমবার দক্ষিন আফ্রিকায় বিশাল আর্থিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। আগামী বছর থেকেই শুরু হবে এই কার্যক্রম। চীনের সরকার এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার একদিনের মধ্যেই দেশটিকে টিকা সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিল ভারত। অবশ্য কত সংখ্যক ডোজ দেশটিতে পাঠানো হবে তা মঙ্গলবারের বিবৃতিতে জানায়নি দেশটির সরকার।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন। ইতোমধ্যে দেশটিতে এই ধরনে আক্রান্ত ২২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রিটেন, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালিসহ ১৭ দেশে এই ধরনটিতে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ওমিক্রনকে ‘উদ্বেগজনক ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।