আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের সংসদের শীতকালীন অধিবেশন গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে। অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনই সংসদে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল বিল পাস হয়েছে। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
২৫ দিনের শীতকালীন অধিবেশন আজ সকালে শুরু হয়। শুরুতেই বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে সংসদে স্লোগান শুরু হয়। ফলে সংসদের অধিবেশন মুলতবি করতে বাধ্য হন স্পিকার। মুলতবির আধঘণ্টা পর আবার অধিবেশন শুরু হয়। বিক্ষোভের মুখে মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল বিল সংসদে পাস হয়ে যায়।
কৃষি আইন বাতিল বিল সংসদে পেশ করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এ বিল উপস্থাপন উপলক্ষে সংসদের আজকের অধিবেশনে নিজ নিজ দলের সব সদস্যকে উপস্থিত থাকতে বলেছিল ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী দল কংগ্রেস।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বিরোধীদের প্রতিবাদের মুখে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোনো বিল (কৃষি আইন বাতিল) লোকসভায় পাস হলো। বিলটি নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনাই হয়নি।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তাঁর সরকার বিরোধীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। সরকার বা সরকারের নীতি নিয়ে কারও বিরোধিতা থাকলেও সংসদ ও স্পিকারের চেয়ারের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে। শীতকালীন এ অধিবেশনে ৩০টির বেশি বিল পাস হতে পারে। শীতকালীন এ অধিবেশনের আগে গত রোববার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল ভারত সরকার। অধিবেশনের প্রথম দিন কৃষি আইন বাতিল বিল উত্থাপন করা হবে বলেই গতকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এ বৈঠকে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে বৈঠক ডেকে অনুপস্থিত থাকায় মোদির সমালোচনা করেন বিরোধীরা। কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করেন আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা সঞ্জয় সিং।
বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দেড় বছর ধরে ভারতের কৃষকেরা আন্দোলন করে আসছিলেন। এ আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৯ নভেম্বর তিন আইনই প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। ২৪ নভেম্বর কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
ভারতের বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ