ঢাকা ০৫:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

পরবর্তী প্রজন্মের ফোল্ডএবল স্মার্টফোন বানাচ্ছে হুয়াওয়ে?

  • আপডেট সময় : ১০:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : নভেম্বরেই পরবর্তী প্রজন্মের ফোল্ডএবল ফোন তৈরির কাজে হাত দিয়েছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। তাদের তৈরি মডেলগুলো বাজারে প্রতিযোগিতায় নামবে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ৩ এর সঙ্গে, আর দামও হবে তুলনামূলকভাবে কম।
সম্প্রতি গিজমোচায়নার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্যগুলো। শিল্প সূত্রের বরাত দিয়ে সে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। আর, ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, ২৫ নভেম্বর এক বিনিয়োগকারী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে ঝাওলি টেকনোলজি জানায়, তারা এক গ্রাহকের জন্য বড় পরিসরে নতুন ফোল্ডএবল স্মার্টফোন উৎপাদনে হাত দিয়েছে। তবে, সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেনি তারা। তারপরও শিল্প পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটি যে হুয়াওয়ে, সে ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী।
নকশার দিক থেকে হিসেব করলে ফোল্ডএবল স্মার্টফোন সম্ভবত পরবর্তী বড় পণ্য। এ কারণেই প্রায় সব প্রথম সারির স্মার্টফোন নির্মাতা এ খাতে পা রেখেছে। খরচ করছে এ ধরনের ফোনের উন্নয়নের পেছনেও। গিজমোচায়নার প্রতিবেদন বলছে, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ৩-এর বাজার সাফল্যও বিশেষভাবে সাহস যোগাচ্ছে অন্য ব্র্যান্ডগুলোকে। ক্রেতারা যে এ ধরনের স্মার্টফোনকে আর পরীক্ষামূলক কোনো ডিভাইস হিসেবে দেখছেন না, সেটিই ফুটে উঠেছে এ সাফল্যর মধ্য দিয়ে। গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ৩-এর বেলাতেই প্রথমবারের মতো তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য দেখেছিলেন ক্রেতারা। তার আগে ফোল্ডএবলের দাম পড়তো প্রচলিত স্মার্টফোনের প্রায় দ্বিগুণ। সে সময় মাত্র ৪০ দিনের মাথায়ই দশ লাখ ইউনিটেরও বেশি ফোল্ডএবল স্মার্টফোন বিক্রি করেছিল স্যামসাং। এখন ২০২২ নাগাদ ৭০ লাখ থেকে এক কোটি ৩০ লাখ ইউনিট ফোল্ডএবল স্মার্টফোন বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে থাকবে ৪০ লাখ গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড। আর ৯০ লাখ গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ মডেল। এদিকে, ফোল্ডএবল খাতে স্যামসাংয়ের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হুয়াওয়ে এখনও পিছিয়ে রয়েছে। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটির উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পরবর্তী প্রজন্মের ফোল্ডএবল স্মার্টফোন বানাচ্ছে হুয়াওয়ে?

আপডেট সময় : ১০:১৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : নভেম্বরেই পরবর্তী প্রজন্মের ফোল্ডএবল ফোন তৈরির কাজে হাত দিয়েছে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। তাদের তৈরি মডেলগুলো বাজারে প্রতিযোগিতায় নামবে স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ৩ এর সঙ্গে, আর দামও হবে তুলনামূলকভাবে কম।
সম্প্রতি গিজমোচায়নার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্যগুলো। শিল্প সূত্রের বরাত দিয়ে সে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। আর, ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন জানিয়েছে, ২৫ নভেম্বর এক বিনিয়োগকারী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে ঝাওলি টেকনোলজি জানায়, তারা এক গ্রাহকের জন্য বড় পরিসরে নতুন ফোল্ডএবল স্মার্টফোন উৎপাদনে হাত দিয়েছে। তবে, সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেনি তারা। তারপরও শিল্প পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এটি যে হুয়াওয়ে, সে ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী।
নকশার দিক থেকে হিসেব করলে ফোল্ডএবল স্মার্টফোন সম্ভবত পরবর্তী বড় পণ্য। এ কারণেই প্রায় সব প্রথম সারির স্মার্টফোন নির্মাতা এ খাতে পা রেখেছে। খরচ করছে এ ধরনের ফোনের উন্নয়নের পেছনেও। গিজমোচায়নার প্রতিবেদন বলছে, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ৩-এর বাজার সাফল্যও বিশেষভাবে সাহস যোগাচ্ছে অন্য ব্র্যান্ডগুলোকে। ক্রেতারা যে এ ধরনের স্মার্টফোনকে আর পরীক্ষামূলক কোনো ডিভাইস হিসেবে দেখছেন না, সেটিই ফুটে উঠেছে এ সাফল্যর মধ্য দিয়ে। গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ৩-এর বেলাতেই প্রথমবারের মতো তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্য দেখেছিলেন ক্রেতারা। তার আগে ফোল্ডএবলের দাম পড়তো প্রচলিত স্মার্টফোনের প্রায় দ্বিগুণ। সে সময় মাত্র ৪০ দিনের মাথায়ই দশ লাখ ইউনিটেরও বেশি ফোল্ডএবল স্মার্টফোন বিক্রি করেছিল স্যামসাং। এখন ২০২২ নাগাদ ৭০ লাখ থেকে এক কোটি ৩০ লাখ ইউনিট ফোল্ডএবল স্মার্টফোন বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে থাকবে ৪০ লাখ গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড। আর ৯০ লাখ গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ মডেল। এদিকে, ফোল্ডএবল খাতে স্যামসাংয়ের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হুয়াওয়ে এখনও পিছিয়ে রয়েছে। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে প্রতিষ্ঠানটির উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।