ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

গোলার ধান খেয়েছে হাতি, থানায় জিডি

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : গোলা থেকে হাতি ধান খেয়েছে- এমন অভিযোগ পেয়েছে চট্টগ্রামের একটি থানার পুলিশ। বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের নিপুল কুমার সেন নামে এক ব্যক্তি গত শনিবার রাতে এ অভিযোগ জানিয়ে বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
নিপুলের বাড়ি শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। বাড়ির উঠানে টিন দিয়ে গোলা তৈরি করে সেখানে ধান রাখেন তিনি। নিপুল বলেন, “আমার ছয় কানি (দুই একর ৪০ শতক) জমিতে প্রায় ৪০০ আড়ি ধান উৎপাদন হয়েছে। সেগুলো বাড়ির উঠানের গোলায় রেখেছিলাম।
“গত ২২ নভেম্বর ভোররাতে চার/পাঁচটি হাতি এসে গোলার চালা উল্টে অন্তত ১০০ আড়ি ধান নষ্ট করেছে।”
“এলাকার লোকজন ভোরে জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় গোলা উল্টে হাতি ধান খাওয়ার দৃশ্যটি দেখতে পায়। তখন তারা চিৎকার শুরু করলে হাতিগুলো পালসহ পাহাড়ের দিকে চলে যায়,” বলেন তিনি। বোয়ালখালী থানার ওসি আব্দুল করিম জিডি হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, “আদৌ ধানের ক্ষতি হয়েছে কি না এবং হলে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
সাধারণভাবে হাতির খাদ্য তালিকায় ধান থাকে না। তবে খাবারের অভাব ঘটলে তাও খায় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তরিৎ কুমার বল। তিনি বলেন, “ড্রাই সিজনে পাহাড়ে খাবারের অভাব হলে হাতিরা সাধারণত লোকালয়ে চলে আসে। পাকা ধানের গন্ধে তারা আকৃষ্ট হয়। তখন তারা ক্ষেতে গিয়ে ধানসহ গাছ খাওয়ার পাশাপাশি তা নষ্টও করে।”

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

গোলার ধান খেয়েছে হাতি, থানায় জিডি

আপডেট সময় : ০১:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : গোলা থেকে হাতি ধান খেয়েছে- এমন অভিযোগ পেয়েছে চট্টগ্রামের একটি থানার পুলিশ। বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের নিপুল কুমার সেন নামে এক ব্যক্তি গত শনিবার রাতে এ অভিযোগ জানিয়ে বোয়ালখালী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
নিপুলের বাড়ি শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। বাড়ির উঠানে টিন দিয়ে গোলা তৈরি করে সেখানে ধান রাখেন তিনি। নিপুল বলেন, “আমার ছয় কানি (দুই একর ৪০ শতক) জমিতে প্রায় ৪০০ আড়ি ধান উৎপাদন হয়েছে। সেগুলো বাড়ির উঠানের গোলায় রেখেছিলাম।
“গত ২২ নভেম্বর ভোররাতে চার/পাঁচটি হাতি এসে গোলার চালা উল্টে অন্তত ১০০ আড়ি ধান নষ্ট করেছে।”
“এলাকার লোকজন ভোরে জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় গোলা উল্টে হাতি ধান খাওয়ার দৃশ্যটি দেখতে পায়। তখন তারা চিৎকার শুরু করলে হাতিগুলো পালসহ পাহাড়ের দিকে চলে যায়,” বলেন তিনি। বোয়ালখালী থানার ওসি আব্দুল করিম জিডি হওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, “আদৌ ধানের ক্ষতি হয়েছে কি না এবং হলে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
সাধারণভাবে হাতির খাদ্য তালিকায় ধান থাকে না। তবে খাবারের অভাব ঘটলে তাও খায় বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তরিৎ কুমার বল। তিনি বলেন, “ড্রাই সিজনে পাহাড়ে খাবারের অভাব হলে হাতিরা সাধারণত লোকালয়ে চলে আসে। পাকা ধানের গন্ধে তারা আকৃষ্ট হয়। তখন তারা ক্ষেতে গিয়ে ধানসহ গাছ খাওয়ার পাশাপাশি তা নষ্টও করে।”