ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ভিয়ারিয়ালকে কষ্টে হারাল বার্সেলোনা

  • আপডেট সময় : ১০:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : আরও একবার আত্মবিশ্বাসী শুরুর পর দিক হারাতে বসেছিল বার্সেলোনা। মাঝে ছন্দপতনের পর গোল মিললেও একসময় পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা পেয়ে বসেছিল। তবে ভিয়ারিয়ালের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাঙ্ক্ষিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল চাভি এরনান্দেসের দল। প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন স্যামুয়েল। শেষ দিকে মেমফিস ডিপাই দলকে আবারও এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ফিলিপে কৌতিনিয়ো। ম্যাচে ভিয়ারিয়াল আক্রমণ বেশি করলেও লক্ষ্যে শট রাখতে ভুগেছে তারা। তাদের ১৪ শটের মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে বার্সেলোনার ১২ শটের ছয়টি লক্ষ্যে ছিল। চলতি লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে এটাই তাদের প্রথম জয়। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার পারফরম্যান্স কতটা অধারাবাহিক, তা একটি তথ্যেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়। এবারের লা লিগায় এই প্রথম টানা দুটি ম্যাচ জিতল তারা। টানা চার ম্যাচ জয়শূন্য থাকার পর গত রাউন্ডে দলটি এস্পানিওলের বিপক্ষে জিতেছিল ১-০ গোলে। সাফল্য খুঁজে পেতে আক্রমণে হতে হবে আরও ধারালো-কোচের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর প্রবল চাপ বাড়ায় বার্সেলোনা। করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে দারুণ তিনটি, পরের আট মিনিটে আরেকটি নিশ্চিত সুযোগ পায় তারা; কিন্তু বারবার ফুটে ওঠে ফিনিশিংয়ের দুর্বলতা। প্রথম সুযোগ আসে তৃতীয় মিনিটে। তরুণ উইঙ্গার আবদের হেড দারুণ নৈপুণ্যে কোনোমতে ঠেকান গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। অষ্টম ও দশম মিনিটে গোল করার মতো পজিশন থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশা বাড়ান মেমফিস ও গাবি। এর মাঝে পাল্টা আক্রমণে ভালো একটি সুযোগ পায় ভিয়ারিয়ালও। তারাও পারেনি জালে বল পাঠাতে। অষ্টাদশ মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে শেষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়েও লক্ষ্যে শট রাখতে পারেননি ডাচ ফরোয়ার্ড মেমফিস।
প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা ভিয়ারিয়ালও একটু একটু করে পাল্টা চাপ দিতে থাকে। ৩২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত তারা, তবে সামনে ফাঁকা জাল পেয়েও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পাও তরেস। বার্সেলোনার শুরুর ছন্দ প্রথমার্ধের শেষ ২০ মিনিটে আর দেখা যায়নি। ৩৯তম মিনিটে ওয়ান-অন-ওয়ানে দানজুমার শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে মেমফিসের টোকা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক, কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি। আলগা বল পেছনেই ফাঁকায় পেয়ে টোকায় বাকি কাজ সারেন ডি ইয়ং। ৬৪তম মিনিটে বার্সেলোনার ডি-বক্সে তাদের মিডফিল্ডার এরিক গার্সিয়া প্রতিপক্ষের রাউল আলবিওলকে টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন ওঠে। রেফারির সাড়া অবশ্য মেলেনি, ভিএআরেও নয়। বার্সেলোনার দৃষ্টিকটু কয়েক দফা ভুলের সুযোগে ৭৬তম মিনিটে সমতা টানে ভিয়ারিয়ালি। নিজেদের থ্রোয়িংয়ে বল হারায় বার্সেলোনা। মিডফিল্ডার সের্হিও বুসকেতস পারেননি প্রতিপক্ষকে বাধা দিতে, পারেননি ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকেও। বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ শটে ঠিকানা খুঁজে নেন নাইজেরিয়ার উইঙ্গার স্যামুয়েল। সমতায় ফিরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ভিয়ারিয়াল। মুহূর্মুহু আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলে তারা। তবে তাদের একটি ভুলে পথ পেয়ে যায় বার্সেলোনা।
৮৮তম মিনিটে টের স্টেগেন লম্বা করে শট নেন। নিজেদের ডি-বক্সের সামনে থেকে হেডে গোলরক্ষককে ব্যাকপাস দেওয়ার চেষ্টা করেন ডিফেন্ডার এস্তুপিনান। কিন্তু তার দুর্বল প্রচেষ্টায় বল পেয়ে যায় মেমফিস। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মেমফিস। এরপর আর কোনো নাটকীয়তার জন্ম দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ১০ মিনিট আগে বদলি নামা কৌতিনিয়ো। ডি-বক্সে ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার নিজেই ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা। চলতি লা লিগায় ১৪ ম্যাচে বার্সেলোনার এটি মাত্র ষষ্ঠ জয়। সঙ্গে পাঁচ ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে ভিয়ারিয়াল। ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল সোসিয়েদাদ দুইয়ে ও ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সেভিয়া তিনে আছে। চার নম্বরে আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ২৬। এর মধ্যে সোসিয়েদাদ খেলেছে ১৪ ম্যাচ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভিয়ারিয়ালকে কষ্টে হারাল বার্সেলোনা

আপডেট সময় : ১০:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : আরও একবার আত্মবিশ্বাসী শুরুর পর দিক হারাতে বসেছিল বার্সেলোনা। মাঝে ছন্দপতনের পর গোল মিললেও একসময় পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা পেয়ে বসেছিল। তবে ভিয়ারিয়ালের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কাঙ্ক্ষিত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল চাভি এরনান্দেসের দল। প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন স্যামুয়েল। শেষ দিকে মেমফিস ডিপাই দলকে আবারও এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ফিলিপে কৌতিনিয়ো। ম্যাচে ভিয়ারিয়াল আক্রমণ বেশি করলেও লক্ষ্যে শট রাখতে ভুগেছে তারা। তাদের ১৪ শটের মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে বার্সেলোনার ১২ শটের ছয়টি লক্ষ্যে ছিল। চলতি লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে এটাই তাদের প্রথম জয়। চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার পারফরম্যান্স কতটা অধারাবাহিক, তা একটি তথ্যেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায়। এবারের লা লিগায় এই প্রথম টানা দুটি ম্যাচ জিতল তারা। টানা চার ম্যাচ জয়শূন্য থাকার পর গত রাউন্ডে দলটি এস্পানিওলের বিপক্ষে জিতেছিল ১-০ গোলে। সাফল্য খুঁজে পেতে আক্রমণে হতে হবে আরও ধারালো-কোচের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর প্রবল চাপ বাড়ায় বার্সেলোনা। করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে দারুণ তিনটি, পরের আট মিনিটে আরেকটি নিশ্চিত সুযোগ পায় তারা; কিন্তু বারবার ফুটে ওঠে ফিনিশিংয়ের দুর্বলতা। প্রথম সুযোগ আসে তৃতীয় মিনিটে। তরুণ উইঙ্গার আবদের হেড দারুণ নৈপুণ্যে কোনোমতে ঠেকান গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। অষ্টম ও দশম মিনিটে গোল করার মতো পজিশন থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশা বাড়ান মেমফিস ও গাবি। এর মাঝে পাল্টা আক্রমণে ভালো একটি সুযোগ পায় ভিয়ারিয়ালও। তারাও পারেনি জালে বল পাঠাতে। অষ্টাদশ মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে শেষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়েও লক্ষ্যে শট রাখতে পারেননি ডাচ ফরোয়ার্ড মেমফিস।
প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠা ভিয়ারিয়ালও একটু একটু করে পাল্টা চাপ দিতে থাকে। ৩২তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত তারা, তবে সামনে ফাঁকা জাল পেয়েও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পাও তরেস। বার্সেলোনার শুরুর ছন্দ প্রথমার্ধের শেষ ২০ মিনিটে আর দেখা যায়নি। ৩৯তম মিনিটে ওয়ান-অন-ওয়ানে দানজুমার শট ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে মেমফিসের টোকা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক, কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি তিনি। আলগা বল পেছনেই ফাঁকায় পেয়ে টোকায় বাকি কাজ সারেন ডি ইয়ং। ৬৪তম মিনিটে বার্সেলোনার ডি-বক্সে তাদের মিডফিল্ডার এরিক গার্সিয়া প্রতিপক্ষের রাউল আলবিওলকে টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টির জোরালো আবেদন ওঠে। রেফারির সাড়া অবশ্য মেলেনি, ভিএআরেও নয়। বার্সেলোনার দৃষ্টিকটু কয়েক দফা ভুলের সুযোগে ৭৬তম মিনিটে সমতা টানে ভিয়ারিয়ালি। নিজেদের থ্রোয়িংয়ে বল হারায় বার্সেলোনা। মিডফিল্ডার সের্হিও বুসকেতস পারেননি প্রতিপক্ষকে বাধা দিতে, পারেননি ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকেও। বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে দারুণ শটে ঠিকানা খুঁজে নেন নাইজেরিয়ার উইঙ্গার স্যামুয়েল। সমতায় ফিরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে ভিয়ারিয়াল। মুহূর্মুহু আক্রমণে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলে তারা। তবে তাদের একটি ভুলে পথ পেয়ে যায় বার্সেলোনা।
৮৮তম মিনিটে টের স্টেগেন লম্বা করে শট নেন। নিজেদের ডি-বক্সের সামনে থেকে হেডে গোলরক্ষককে ব্যাকপাস দেওয়ার চেষ্টা করেন ডিফেন্ডার এস্তুপিনান। কিন্তু তার দুর্বল প্রচেষ্টায় বল পেয়ে যায় মেমফিস। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা গোলরক্ষককে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান মেমফিস। এরপর আর কোনো নাটকীয়তার জন্ম দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সফল স্পট কিকে স্কোরলাইন ৩-১ করেন ১০ মিনিট আগে বদলি নামা কৌতিনিয়ো। ডি-বক্সে ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার নিজেই ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা। চলতি লা লিগায় ১৪ ম্যাচে বার্সেলোনার এটি মাত্র ষষ্ঠ জয়। সঙ্গে পাঁচ ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে ভিয়ারিয়াল। ১৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। ২৯ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল সোসিয়েদাদ দুইয়ে ও ২৮ পয়েন্ট নিয়ে সেভিয়া তিনে আছে। চার নম্বরে আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ২৬। এর মধ্যে সোসিয়েদাদ খেলেছে ১৪ ম্যাচ।