নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারে আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দিয়েছেন। অচিরেই একটি সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে বাণিজ্য সচিব জানিয়েছেন। চলতি মে মাসের শুরুতেই লিটারে দুই টাকা বাড়িয়ে ভোজ্যতেলের দাম সর্বোচ্চ ১৪১ টাকা (বোতলজাত) নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তখন মিল মালিকদের দাবি ছিল প্রতি লিটার ১৪৪ টাকা নির্ধারণের। তবে রমজান মাস বিবেচনায় তখন ব্যবসায়ীদের ধৈর্য ধরতে বলেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও টিকে গ্রুপের পরিচালক মোস্তফা হায়দার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে অনেক কম। দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা নতুন করে এলসি খুলতে পারবে না। তাহলে সামনে কোরবানির ঈদে একটা সঙ্কট দেখা দিতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর উদ্দিন বলেন, “বিশ্ববাজারেও তেলের দাম নতুন করে বেড়েছে। সেই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় তাদের (ব্যবসায়ীদের) প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অচিরেই একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” মঙ্গলবার ঢাকার কারওয়ান বাজারের পাইকারি দোকানগুলোতে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। আর খুচরা মুদি দোকানে তা বিক্রি হচ্ছিল প্রতি লিটার ১২০ টাকায়, প্রতিকেজি ১৩১ টাকায়। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা মঈনুদ্দিন জানান, গত এক মাস ধরেই তেলের দাম লিটারে ১/২ টাকা করে উঠানামা করছে। পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ আলী ভুট্টো জানান, দামের ওঠানামা আগামী দুই মাস চলবে বলে তার ধারণা। বর্তমানে মিলগেইটে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১৫ টাকা ৭০ পয়সা বা প্রতিকেজি ১২৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগের দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা ও পূর্বাভাস সেলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। ২০২০ এর পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা হচ্ছে।