ঢাকা ০৯:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে কমলালেবু

  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : শীতের শুরুতের চারিদিকে বাতাসে হালকা হিমেল হাওয়া। বাজারে এসে গিয়েছে কমলা লেবু। শীতের অন্যতম চিহ্ন হল কমলালেবু। উজ্জ্বল কমলা রঙের ত্বকের এই ফলটি ছাড়া শীত যেন ভাবাই যায় না। বাড়িতে বসে ব্রেকফাস্টে বা পিকনিকে গিয়ে দুপুরের রোদে বসে খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে কমলালেবু খাওয়ার ব্যাপারই আলাদা। তবে শুধু উপভোগের ব্যাপারই নয়। কমলালেবু রীতিমতো উপকারী এক ফল।
সবচেয়ে জনপ্রিয় কমলা লেবু যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত পুষ্টিকর। সুস্থ থাকতে তাই চিকিৎসকরা শীতকালে রোজ কমলালেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন।
১০০ গ্রাম কমলায় আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। দৈনিক যতটুকু ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে পাওয়া যায়। কমলালেবুও যে ইউমিনিটি বাড়াবার অন্যতম হাতিয়ার তা কি আমরা জানি? পুষ্টি বিশেষজ্ঞেরা এখন এই বিষয়টার উপর জোর দিচ্ছেন। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে বা কমাতে কমলালেবুর কোনও বিকল্প নেই। নিউ জেনারেশন ওয়েটলসের ব্যাপারে খুবই স্পর্শকাতর। তারা অনেক কিছুই তাদের খাদ্যতালিকায় রাখেন। শীতভর অনায়াসে তারা তাদের মেনুতে কমলালেবু রাখতে পারে। কমলালেবু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই লেবু ভিটামিন বি৬-য়ে ভরপুর। পাশাপাশি কোলেস্টেরলও কমায়। ফলে কমলালেবু প্রকারান্তরে হৃদযন্ত্রের দেখভালও করে। নিয়মিত কমলালেবু খেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কিডনিতে স্টোন জমার প্রবণতা কমে। কমলালেবু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। এই লেবু ত্বকের যতœ নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। উচ্চ রক্তচাপের রোগী প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি এবং হেসপিরিডিন নামে যৌগ রক্তের উচ্চচাপকে নিন্ত্রণ করে। ভিটামিন এ থাকায় কমলালেবু রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। বয়েস সংক্রান্ত চোখের সমস্যাও প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, কোলিন, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যা স্ট্রোক, অ্যাথমিয়া এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা কমিয়ে দেয়। ত্বক, মুখের ভিতর, ব্রেস্ট, ফুসফুস, পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। লিউকোমিয়া প্রতিরোধেও কমলালেবুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। অরুচি, বদহজম এবং কোষ্ঠবদ্ধতায় এই তিনটি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কমলালেবুর ডায়েটারি ফাইবার এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রক্তে শর্করার মাত্রা নিন্ত্রয়ণে রাখতে সাহায্য করে। অন্যান্য যে কোনও সাইট্রাস ফলের মতো কমলালেবুরও দ্রুত ক্ষতস্থান নিরাময়ে সাহায্যে করে। ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করে কমলালেবু। ঝকঝকে ত্বকের জন্য ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কমলালেবু অনবদ্য। ব্রন, সানবার্ন, ত্বকের শুষ্কতা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করে কমলালেবু। কমলালেবু স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে মুড বুস্টিং হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। স্মৃতি শক্তি বাড়াতে কমলালেবু বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে কমলালেবু

আপডেট সময় : ১২:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : শীতের শুরুতের চারিদিকে বাতাসে হালকা হিমেল হাওয়া। বাজারে এসে গিয়েছে কমলা লেবু। শীতের অন্যতম চিহ্ন হল কমলালেবু। উজ্জ্বল কমলা রঙের ত্বকের এই ফলটি ছাড়া শীত যেন ভাবাই যায় না। বাড়িতে বসে ব্রেকফাস্টে বা পিকনিকে গিয়ে দুপুরের রোদে বসে খোসা ছাড়াতে ছাড়াতে কমলালেবু খাওয়ার ব্যাপারই আলাদা। তবে শুধু উপভোগের ব্যাপারই নয়। কমলালেবু রীতিমতো উপকারী এক ফল।
সবচেয়ে জনপ্রিয় কমলা লেবু যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত পুষ্টিকর। সুস্থ থাকতে তাই চিকিৎসকরা শীতকালে রোজ কমলালেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন।
১০০ গ্রাম কমলায় আছে ভিটামিন বি ০.৮ মিলিগ্রাম, সি ৪৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩০০ মিলিগ্রাম ও ফসফরাস ২৩ মিলিগ্রাম। দৈনিক যতটুকু ভিটামিন ‘সি’ প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে পাওয়া যায়। কমলালেবুও যে ইউমিনিটি বাড়াবার অন্যতম হাতিয়ার তা কি আমরা জানি? পুষ্টি বিশেষজ্ঞেরা এখন এই বিষয়টার উপর জোর দিচ্ছেন। ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে বা কমাতে কমলালেবুর কোনও বিকল্প নেই। নিউ জেনারেশন ওয়েটলসের ব্যাপারে খুবই স্পর্শকাতর। তারা অনেক কিছুই তাদের খাদ্যতালিকায় রাখেন। শীতভর অনায়াসে তারা তাদের মেনুতে কমলালেবু রাখতে পারে। কমলালেবু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই লেবু ভিটামিন বি৬-য়ে ভরপুর। পাশাপাশি কোলেস্টেরলও কমায়। ফলে কমলালেবু প্রকারান্তরে হৃদযন্ত্রের দেখভালও করে। নিয়মিত কমলালেবু খেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কিডনিতে স্টোন জমার প্রবণতা কমে। কমলালেবু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। এই লেবু ত্বকের যতœ নেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। উচ্চ রক্তচাপের রোগী প্রতিদিন একটি করে কমলালেবু খেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি এবং হেসপিরিডিন নামে যৌগ রক্তের উচ্চচাপকে নিন্ত্রণ করে। ভিটামিন এ থাকায় কমলালেবু রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। বয়েস সংক্রান্ত চোখের সমস্যাও প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কমলালেবুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, কোলিন, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যা স্ট্রোক, অ্যাথমিয়া এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা কমিয়ে দেয়। ত্বক, মুখের ভিতর, ব্রেস্ট, ফুসফুস, পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। লিউকোমিয়া প্রতিরোধেও কমলালেবুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। অরুচি, বদহজম এবং কোষ্ঠবদ্ধতায় এই তিনটি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। কমলালেবুর ডায়েটারি ফাইবার এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস রক্তে শর্করার মাত্রা নিন্ত্রয়ণে রাখতে সাহায্য করে। অন্যান্য যে কোনও সাইট্রাস ফলের মতো কমলালেবুরও দ্রুত ক্ষতস্থান নিরাময়ে সাহায্যে করে। ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা করে কমলালেবু। ঝকঝকে ত্বকের জন্য ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কমলালেবু অনবদ্য। ব্রন, সানবার্ন, ত্বকের শুষ্কতা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা থেকে ত্বককে রক্ষা করে কমলালেবু। কমলালেবু স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে মুড বুস্টিং হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। স্মৃতি শক্তি বাড়াতে কমলালেবু বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।