ঢাকা ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

দেশে দিনে ১৭ মৃত্যু, আড়াই মাসের সর্বনিম্ন

  • আপডেট সময় : ০১:২২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে গত ১৮ মার্চ দেশে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর তা বাড়তে বাড়তে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে একশও ছাড়িয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১ হাজার ৪৯৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ জনে। তাদের মধ্যে মোট ১২ হাজার ৪৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৫৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৬ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৭৮ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৮৬টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৪৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৩টি নমুনা। বুধবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ লাখ ৯২ হাজার ১৪০টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ২১৩টি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ১০ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের ১১ জন সরকারি হাসপাতালে, ৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তাদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ১ জনের ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৪৫৮ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৫ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪৫৩ জন নারী।
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে : দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বিগত সাত দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেখা যায়, গত ২২ মে নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্ত রোগীর হার চার শতাংশের কিছু বেশি, পাঁচ শতাংশের নিচে ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (২৫ মে) শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৬ মে) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠেন। তবে সংক্রমণ তীব্র হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, এ মুহূর্তে রাজধানীসহ সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ ও আইসিইউ বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাইফ্লো নাজেল ক্যানুলা এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
ঢাকা মহানগরীর হাসপাতালের বর্তমানে অবস্থা তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে পাঁচ হাজার শয্যা রয়েছে। সোমবার (২৪ মে) দেখা গেছে পাঁচ হাজার বেডের মধ্যে চার হাজার ৩৯১টি শয্যা ফাঁকা। বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর চাপ কম থাকলেও স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে না চললে এ চিত্রটি বদলে যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় সবাইকে দায়িত্বপূর্ণ আচরণ, তথা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়। অন্যথায় শনাক্তের হার আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান ডা. নাজমুল ইসলাম।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও ‘সমাজতন্ত্র’ বাদের দাবি

দেশে দিনে ১৭ মৃত্যু, আড়াই মাসের সর্বনিম্ন

আপডেট সময় : ০১:২২:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এর আগে গত ১৮ মার্চ দেশে ১৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর তা বাড়তে বাড়তে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে একশও ছাড়িয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১ হাজার ৪৯৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ জনে। তাদের মধ্যে মোট ১২ হাজার ৪৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৫৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৬ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৭৮ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ লাখ ৮৭ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৮৬টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৪৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৩টি নমুনা। বুধবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ লাখ ৯২ হাজার ১৪০টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ২১৩টি। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ১০ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের ১১ জন সরকারি হাসপাতালে, ৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। তাদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ১ জনের ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৪৫৮ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৫ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪৫৩ জন নারী।
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে : দেশে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বিগত সাত দিনের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেখা যায়, গত ২২ মে নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্ত রোগীর হার চার শতাংশের কিছু বেশি, পাঁচ শতাংশের নিচে ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার (২৫ মে) শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৬ মে) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠেন। তবে সংক্রমণ তীব্র হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।
ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, এ মুহূর্তে রাজধানীসহ সারাদেশে হাসপাতালে সাধারণ ও আইসিইউ বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাইফ্লো নাজেল ক্যানুলা এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
ঢাকা মহানগরীর হাসপাতালের বর্তমানে অবস্থা তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে পাঁচ হাজার শয্যা রয়েছে। সোমবার (২৪ মে) দেখা গেছে পাঁচ হাজার বেডের মধ্যে চার হাজার ৩৯১টি শয্যা ফাঁকা। বর্তমানে হাসপাতালে রোগীর চাপ কম থাকলেও স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে না চললে এ চিত্রটি বদলে যেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ সময় সবাইকে দায়িত্বপূর্ণ আচরণ, তথা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সর্তকতা অবলম্বন করতে বলা হয়। অন্যথায় শনাক্তের হার আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান ডা. নাজমুল ইসলাম।