ঢাকা ১২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

ফিরে এল নকিয়া ফোন, এবার দেশেই উৎপাদন

  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : দেশে একসময় মুঠোফোন মানেই ছিল নকিয়া। কিন্তু একপর্যায়ে তারা বাজার হারিয়ে ফেলে। হারানো সেই বাজার ধরতে এবার বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে নকিয়া মুঠোফোন। এ লক্ষ্যে পোশাক খাতের স্থানীয় কোম্পানি ইউনিয়ন গ্রুপ দেশে নকিয়া ফোন উৎপাদনের জন্য কারখানা স্থাপন করছে।
জানা গেছে, নকিয়া ফোনের কারখানা নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইউনিয়ন গ্রুপ পর্যায়ক্রমে ৪ কোটি ডলার বা ৩৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ইতিমধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির পাঁচ একর জমিতে কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে চলছে নকিয়া ফোনের কিছু মডেলের উৎপাদন।
শিগগিরই আরও কয়েকটি মডেলের উৎপাদন শুরু হবে। এ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন থেকে অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার ও বাংলাদেশের ইউনিয়ন গ্রুপের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার (বিডি) লিমিটেড। বিটিআরসি গত মার্চে তিন বছরের জন্য নকিয়া ফোন উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে।
এক দশক আগে ২০১০ সালেও স্মার্টফোনের দুনিয়ায় শীর্ষে ছিল ফিনল্যান্ডের নকিয়া। ২০১০ সালে বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল, তার ৩৩ দশমিক ১ শতাংশই ছিল নকিয়ার।
ইউনিয়ন গ্রুপ জানিয়েছে, এই কারখানায় রয়েছে মোট ছয়টি প্রডাকশন লাইন। এর মধ্যে চারটি সংযোজন ও দুটি লাইন প্যাকেজিংয়ের। কারখানাটিতে কাজ করছেন ২০০ কর্মী। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কারখানায় মুঠোফোন সংযোজনের কাজ শুরু হয়। আপাতত নকিয়ার ৩.৪ মডেলের স্মার্টফোন তৈরি করা হচ্ছে। এই মডেলের ১০ থেকে ১২ হাজার ইউনিট মুঠোফোন বাজারে ছাড়া হয়েছে। এতে ভালো সাড়াও মিলেছে। কারখানায় এখন জি-১০ ও জি-২০ মডেলের স্মার্টফোন উৎপাদিত হচ্ছে। দৈনিক তৈরি হচ্ছে ৩০০-৫০০ ইউনিট মুঠোফোন।
এক দশক আগে ২০১০ সালেও স্মার্টফোনের দুনিয়ায় শীর্ষে ছিল ফিনল্যান্ডের নকিয়া। ২০১০ সালে বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল, তার ৩৩ দশমিক ১ শতাংশই ছিল নকিয়ার। ওই বছরে নকিয়া যেখানে ১০ কোটি ইউনিট ফোন বিক্রি করেছিল, সেখানে অ্যাপলের ৪ কোটি ৭৫ লাখ আর স্যামসাংয়ের মাত্র ২ কোটি ৩০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

শিল্পীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা বন্ধের আহ্বান ডিপজলের

ফিরে এল নকিয়া ফোন, এবার দেশেই উৎপাদন

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : দেশে একসময় মুঠোফোন মানেই ছিল নকিয়া। কিন্তু একপর্যায়ে তারা বাজার হারিয়ে ফেলে। হারানো সেই বাজার ধরতে এবার বাংলাদেশেই উৎপাদিত হবে নকিয়া মুঠোফোন। এ লক্ষ্যে পোশাক খাতের স্থানীয় কোম্পানি ইউনিয়ন গ্রুপ দেশে নকিয়া ফোন উৎপাদনের জন্য কারখানা স্থাপন করছে।
জানা গেছে, নকিয়া ফোনের কারখানা নির্মাণ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইউনিয়ন গ্রুপ পর্যায়ক্রমে ৪ কোটি ডলার বা ৩৪৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। ইতিমধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটির পাঁচ একর জমিতে কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে চলছে নকিয়া ফোনের কিছু মডেলের উৎপাদন।
শিগগিরই আরও কয়েকটি মডেলের উৎপাদন শুরু হবে। এ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন থেকে অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার ও বাংলাদেশের ইউনিয়ন গ্রুপের যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভাইব্র্যান্ট সফটওয়্যার (বিডি) লিমিটেড। বিটিআরসি গত মার্চে তিন বছরের জন্য নকিয়া ফোন উৎপাদনের অনুমোদন দিয়েছে।
এক দশক আগে ২০১০ সালেও স্মার্টফোনের দুনিয়ায় শীর্ষে ছিল ফিনল্যান্ডের নকিয়া। ২০১০ সালে বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল, তার ৩৩ দশমিক ১ শতাংশই ছিল নকিয়ার।
ইউনিয়ন গ্রুপ জানিয়েছে, এই কারখানায় রয়েছে মোট ছয়টি প্রডাকশন লাইন। এর মধ্যে চারটি সংযোজন ও দুটি লাইন প্যাকেজিংয়ের। কারখানাটিতে কাজ করছেন ২০০ কর্মী। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কারখানায় মুঠোফোন সংযোজনের কাজ শুরু হয়। আপাতত নকিয়ার ৩.৪ মডেলের স্মার্টফোন তৈরি করা হচ্ছে। এই মডেলের ১০ থেকে ১২ হাজার ইউনিট মুঠোফোন বাজারে ছাড়া হয়েছে। এতে ভালো সাড়াও মিলেছে। কারখানায় এখন জি-১০ ও জি-২০ মডেলের স্মার্টফোন উৎপাদিত হচ্ছে। দৈনিক তৈরি হচ্ছে ৩০০-৫০০ ইউনিট মুঠোফোন।
এক দশক আগে ২০১০ সালেও স্মার্টফোনের দুনিয়ায় শীর্ষে ছিল ফিনল্যান্ডের নকিয়া। ২০১০ সালে বিশ্বে যত স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল, তার ৩৩ দশমিক ১ শতাংশই ছিল নকিয়ার। ওই বছরে নকিয়া যেখানে ১০ কোটি ইউনিট ফোন বিক্রি করেছিল, সেখানে অ্যাপলের ৪ কোটি ৭৫ লাখ আর স্যামসাংয়ের মাত্র ২ কোটি ৩০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছিল।