ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

ভ্রমণ গ্রুপের আড়ালে প্রতারণার ফাঁদ

  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সময় যত আধুনিক হচ্ছে ততই মানুষের নানা বিষয়ে আগ্রহ বেড়েই চলেছে। আর এই আগ্রহের মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুকে নানান বিষয়ে গ্রুপ রয়েছে। যেমন রান্না, ভ্রমণ, এমনকি বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপের মাধ্যমে নানান জনের সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ যেমন আছে, তেমনি আবার অনেকে নানাভাবে প্রতারিতও হচ্ছেন। ফেসবুকে ট্রাভেল গ্রুপ খুলে অভিনব প্রতারণার একটি অভিযোগ পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
‘লঞ্চ ভ্যাসেল ফাইন্ডার্স বাংলাদেশ’ নামে একটি ফেসবুক ট্রাভেলার গ্রুপের মাধ্যমে ভ্রমণে গিয়ে পরিচয়। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব থেকে ব্যবসায়ের প্রস্তাব। সুযোগ বুঝে মোটা অঙ্কের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতারকরা। ডিবি পুলিশ বলছে, এই প্রতারকরা ভ্রমণের সূত্রে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর তাদের কাছ থেকে নানা পন্থায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতো। গতকাল রাজধানীর কল্যাণপুর, ঢাকার আশুলিয়া ও চাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ
এরা হলেন- চক্রের প্রধান জাকারিয়া পারভেজ, জাহিদ ইবনে জাহান ও সোহরাব হোসেন টিটু। এ সময় তাদের ব্যবহৃত নামে-বেনামে ১৮টি ফেসবুক আইডি, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, লাভের আশায় ৩০ লাখ টাকা খুইয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে গত ২৩ মে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় অভিনব এই প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এমন অভিনব প্রতারণার বিষয় একদমই নতুন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, তাদের হাতে মামলার একটি কপি এসেছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী এই চক্রের ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে মনপুরা ভ্রমণে গিয়ে প্রতারক জাকারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় ওই ব্যক্তির। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হয়। এরপর তারা একসঙ্গে চাঁদপুর-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে যান। তাদের মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার সুযোগে একসময় ভুক্তভোগী ওই যুবককে আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত বিপণন প্রতিষ্ঠান অ্যামাজান, ইবে’র সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসার প্রস্তাব দেয়া হয়। ভুক্তভোগী রাজি হলে ডোমেইন কেনা, ওয়েবসাইট বানানোর নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন জাকারিয়া।
যত বেশি ডোমেইন তত বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে একে একে ৪২টি ডোমেইনের টাকা নেয়া হয়। ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে, উদ্ধার করতে কিংবা সিকিউরিটির কথা বলে নেয়া হয়েছে টাকা। আমেরিকা থেকে উন্নত ওয়েবসাইট বানানোর কথা বলেও টাকা আদায় করা হয়। এক্ষেত্রে নিজেই বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি খুলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কখনো হ্যাকার সেজে, কখনো আমেরিকান প্রবাসী কিংবা আইটি এক্সপার্ট সেজে কথা বলেছেন জাকারিয়া। বিনিয়োগের মুনাফা দেয়ার সময় এলেই জাকারিয়াসহ তার সঙ্গীরা শুরু করতেন টালবাহানা। এমনকি ভুক্তভোগীর মেয়ের ছবি যুক্ত করে ওয়েবসাইটে পর্নো ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে নানা পন্থায় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এই চক্রের হাতে প্রতারণার শিকার জোবায়ের নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘লঞ্চ ভ্যাসেল ফাইন্ডার্স বাংলাদেশ’ গ্রুপের মাধ্যমে ভ্রমণে গিয়ে জাকারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনিই ওই ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ট্যুরগুলো পরিচালনা করতেন। পরিচয় থেকে ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একপর্যায়ে অ্যামাজানের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েট ব্যবসার প্রস্তাব দেন তিনি। এখানে বিনিয়োগ করলে ভালো লাভ হবে এবং এজন্য একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা এই যুবক বলেন, ওই প্রতারকের কথামতো প্রথমে ১ লাখ এবং পরে আরো ২ লাখ টাকা দেই। আমার টিউশনির জমানো টাকা এবং বাবার কাছ থেকে কিছু নিয়ে আমি তাকে দেই। টাকা দেয়ার পর কিসের ওয়েবসাইট আর কিসের লাভ নানা অজুহাতে আমাকে ঘোরাতে থাকে।
রাসেল নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, ফেসবুকের ‘লঞ্চ ভ্যাসেল ফাইন্ডার্স বাংলাদেশ’ গ্রুপটি সাধারণত নৌযানকেন্দ্রিক ভ্রমণগুলো পরিচালনা করে। এই গ্রুপের আয়োজনে একটি ট্যুরে যাওয়ার সুবাদে অ্যাডমিনের সঙ্গে পরিচয়। একপর্যায়ে অ্যাডমিন তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে মায়ের চিকিৎসার কথা বলে কিছু টাকা ধার চান। আমি তাকে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে ১৬ হাজার টাকা পাঠাই। পরে টাকা চাইতে গেলেই আমার সঙ্গে বাজে আচরণসহ নানা ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে।
এ বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নামি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। শুধুমাত্র একজনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ পেয়েছি। তাদেরকে গ্রেপ্তারের খবরে অনেকেই ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ে ওয়েবসাইট বানানোর নামে প্রথমে টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি। তারপর নির্দিষ্ট সময় পরপর বিশ্বাস স্থাপনের জন্য মুনাফার কিছু টাকাও ফেরত দেয়া হতো। এভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভ্রমণ গ্রুপের আড়ালে প্রতারণার ফাঁদ

আপডেট সময় : ০১:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সময় যত আধুনিক হচ্ছে ততই মানুষের নানা বিষয়ে আগ্রহ বেড়েই চলেছে। আর এই আগ্রহের মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুকে নানান বিষয়ে গ্রুপ রয়েছে। যেমন রান্না, ভ্রমণ, এমনকি বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপের মাধ্যমে নানান জনের সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ যেমন আছে, তেমনি আবার অনেকে নানাভাবে প্রতারিতও হচ্ছেন। ফেসবুকে ট্রাভেল গ্রুপ খুলে অভিনব প্রতারণার একটি অভিযোগ পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
‘লঞ্চ ভ্যাসেল ফাইন্ডার্স বাংলাদেশ’ নামে একটি ফেসবুক ট্রাভেলার গ্রুপের মাধ্যমে ভ্রমণে গিয়ে পরিচয়। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব থেকে ব্যবসায়ের প্রস্তাব। সুযোগ বুঝে মোটা অঙ্কের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতারকরা। ডিবি পুলিশ বলছে, এই প্রতারকরা ভ্রমণের সূত্রে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর তাদের কাছ থেকে নানা পন্থায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতো। গতকাল রাজধানীর কল্যাণপুর, ঢাকার আশুলিয়া ও চাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ
এরা হলেন- চক্রের প্রধান জাকারিয়া পারভেজ, জাহিদ ইবনে জাহান ও সোহরাব হোসেন টিটু। এ সময় তাদের ব্যবহৃত নামে-বেনামে ১৮টি ফেসবুক আইডি, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়। ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, লাভের আশায় ৩০ লাখ টাকা খুইয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে গত ২৩ মে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তের ধারাবাহিকতায় অভিনব এই প্রতারণার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এমন অভিনব প্রতারণার বিষয় একদমই নতুন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
একটি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, তাদের হাতে মামলার একটি কপি এসেছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, ভুক্তভোগী এই চক্রের ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে মনপুরা ভ্রমণে গিয়ে প্রতারক জাকারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় ওই ব্যক্তির। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হয়। এরপর তারা একসঙ্গে চাঁদপুর-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে যান। তাদের মধ্যে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার সুযোগে একসময় ভুক্তভোগী ওই যুবককে আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত বিপণন প্রতিষ্ঠান অ্যামাজান, ইবে’র সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসার প্রস্তাব দেয়া হয়। ভুক্তভোগী রাজি হলে ডোমেইন কেনা, ওয়েবসাইট বানানোর নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন জাকারিয়া।
যত বেশি ডোমেইন তত বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে একে একে ৪২টি ডোমেইনের টাকা নেয়া হয়। ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে, উদ্ধার করতে কিংবা সিকিউরিটির কথা বলে নেয়া হয়েছে টাকা। আমেরিকা থেকে উন্নত ওয়েবসাইট বানানোর কথা বলেও টাকা আদায় করা হয়। এক্ষেত্রে নিজেই বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি খুলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কখনো হ্যাকার সেজে, কখনো আমেরিকান প্রবাসী কিংবা আইটি এক্সপার্ট সেজে কথা বলেছেন জাকারিয়া। বিনিয়োগের মুনাফা দেয়ার সময় এলেই জাকারিয়াসহ তার সঙ্গীরা শুরু করতেন টালবাহানা। এমনকি ভুক্তভোগীর মেয়ের ছবি যুক্ত করে ওয়েবসাইটে পর্নো ছেড়ে দেয়ার হুমকিও দেয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে নানা পন্থায় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এই চক্রের হাতে প্রতারণার শিকার জোবায়ের নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘লঞ্চ ভ্যাসেল ফাইন্ডার্স বাংলাদেশ’ গ্রুপের মাধ্যমে ভ্রমণে গিয়ে জাকারিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়। তিনিই ওই ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ট্যুরগুলো পরিচালনা করতেন। পরিচয় থেকে ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একপর্যায়ে অ্যামাজানের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েট ব্যবসার প্রস্তাব দেন তিনি। এখানে বিনিয়োগ করলে ভালো লাভ হবে এবং এজন্য একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক সম্পন্ন করা এই যুবক বলেন, ওই প্রতারকের কথামতো প্রথমে ১ লাখ এবং পরে আরো ২ লাখ টাকা দেই। আমার টিউশনির জমানো টাকা এবং বাবার কাছ থেকে কিছু নিয়ে আমি তাকে দেই। টাকা দেয়ার পর কিসের ওয়েবসাইট আর কিসের লাভ নানা অজুহাতে আমাকে ঘোরাতে থাকে।
রাসেল নামে আরেক ভুক্তভোগী জানান, ফেসবুকের ‘লঞ্চ ভ্যাসেল ফাইন্ডার্স বাংলাদেশ’ গ্রুপটি সাধারণত নৌযানকেন্দ্রিক ভ্রমণগুলো পরিচালনা করে। এই গ্রুপের আয়োজনে একটি ট্যুরে যাওয়ার সুবাদে অ্যাডমিনের সঙ্গে পরিচয়। একপর্যায়ে অ্যাডমিন তার নিজের ফেসবুক আইডি থেকে মায়ের চিকিৎসার কথা বলে কিছু টাকা ধার চান। আমি তাকে সঙ্গে সঙ্গে বিকাশে ১৬ হাজার টাকা পাঠাই। পরে টাকা চাইতে গেলেই আমার সঙ্গে বাজে আচরণসহ নানা ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে।
এ বিষয়ে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নামি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। শুধুমাত্র একজনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ পেয়েছি। তাদেরকে গ্রেপ্তারের খবরে অনেকেই ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ে ওয়েবসাইট বানানোর নামে প্রথমে টাকা হাতিয়ে নিতো চক্রটি। তারপর নির্দিষ্ট সময় পরপর বিশ্বাস স্থাপনের জন্য মুনাফার কিছু টাকাও ফেরত দেয়া হতো। এভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।