ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

হাওরে উড়াল-সড়ক নির্মাণের প্রস্তুতি

  • আপডেট সময় : ০১:০০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের হাওরের ওপর দিয়ে ১১ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। সড়কটি বাস্তবায়িত হলে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলবাসীর জীবনমান পাল্টে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিণত হবে কিশোরগঞ্জ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশ বিদেশের দর্শনার্থীদের আগমনে সরকারের প্রচুর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। হাওরে এমন সড়ক নির্মাণের খবর জানাজানির পর পুরো হাওরঞ্চলে বইছে আনন্দের বন্যা। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে। প্রকল্পের আওতায় ১০ দশমিক ৮ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়কের পাশাপাশি সব মৌসুমে ব্যবহার উপযোগী ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক ও ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া পানিতে তলিয়ে যাবে এমন ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার উপজেলা ও ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক এবং ৫৭টি সেতু ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রস্তাবিত উড়াল সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত এলিভেটেড রোডে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর বর্ষাকালে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাওর এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া রাস্তার অভাবে শুষ্ক মৌসুমেও মানুষ যোগাযোগের সমস্যার মুখে পড়ে। এছাড়া পর্যটকদের বিস্তীর্ণ হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে উড়াল সড়কের দুপাশে অন্তত ছয় থেকে সাতটি দ্বিতল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক মো. মেহের উদ্দিন বলেন, উড়াল সেতু সড়ক বাস্তবায়িত হলে আমরা ইটনা, মিঠামইন, অষ্ট্রগ্রামবাসীর যাতায়াত সহজতর হবে। নদী পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। বর্ষাকালে যান চলাচল করা সহজ হবে। হাওরের নদী পথে যেহেতু বাঁধ হবে না তাই কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না। হাওরের উৎপাদিত ফসল সহজে বিক্রি করা যাবে। যাতায়াত খরচও কম লাগবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

হাওরে উড়াল-সড়ক নির্মাণের প্রস্তুতি

আপডেট সময় : ০১:০০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১

কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা : কিশোরগঞ্জের হাওরের ওপর দিয়ে ১১ কিলোমিটার উড়াল সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। সড়কটি বাস্তবায়িত হলে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলবাসীর জীবনমান পাল্টে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিণত হবে কিশোরগঞ্জ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশ বিদেশের দর্শনার্থীদের আগমনে সরকারের প্রচুর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। হাওরে এমন সড়ক নির্মাণের খবর জানাজানির পর পুরো হাওরঞ্চলে বইছে আনন্দের বন্যা। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা এবং নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলা উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় আসবে। প্রকল্পের আওতায় ১০ দশমিক ৮ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়কের পাশাপাশি সব মৌসুমে ব্যবহার উপযোগী ৯৭ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক ও ২০ দশমিক ২৭ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া পানিতে তলিয়ে যাবে এমন ১৬ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার উপজেলা ও ২২ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার ইউনিয়ন ও গ্রাম সড়ক এবং ৫৭টি সেতু ও ১১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশ প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রস্তাবিত উড়াল সড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে প্রস্তাবিত এলিভেটেড রোডে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, প্রতিবছর বর্ষাকালে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাওর এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া রাস্তার অভাবে শুষ্ক মৌসুমেও মানুষ যোগাযোগের সমস্যার মুখে পড়ে। এছাড়া পর্যটকদের বিস্তীর্ণ হাওরের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দিতে উড়াল সড়কের দুপাশে অন্তত ছয় থেকে সাতটি দ্বিতল টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক মো. মেহের উদ্দিন বলেন, উড়াল সেতু সড়ক বাস্তবায়িত হলে আমরা ইটনা, মিঠামইন, অষ্ট্রগ্রামবাসীর যাতায়াত সহজতর হবে। নদী পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। বর্ষাকালে যান চলাচল করা সহজ হবে। হাওরের নদী পথে যেহেতু বাঁধ হবে না তাই কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না। হাওরের উৎপাদিত ফসল সহজে বিক্রি করা যাবে। যাতায়াত খরচও কম লাগবে।