ঢাকা ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

ভারতের বিচিত্র পাতালগ্রামে বসবাস করেন তারা

  • আপডেট সময় : ১২:১৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • ১৩৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের ভূপ্রকৃতি যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি দেশটিতে নানান মানুষের বসবাস। বৈচিত্র্যময় ভারতে কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, যেগুলোর অবস্থান পাহাড়ঘেরা দুর্গম জায়গায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট নিচে। সেসব গ্রামে দিব্যি বসবাস করছে মানুষ। সেখানে নিজেদের জন্য নিজেদের নিয়ে একটি স্বনির্ভর সমাজ গড়ে তুলেছে তারা। একে ‘পাতালপুরী’তে মানুষের বসবাস বললেও অত্যুক্তি হবে না। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে তাঁদের বড্ড অনীহা।
বিচিত্র এই জায়গার নাম ‘পাতালকোট’। গত রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের চিনদোয়ারা জেলা শহর থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে সাতপুরা পাহাড়ে এর অবস্থান। সেখানকার ১২টি গ্রামের চারপাশে পাহাড়। মাঝের উপত্যকায় বসতি। জনসংখ্যা তিন হাজারের কম। দুর্গম গ্রামগুলোয় এত বড় বড় আর ঘন গাছপালা রয়েছে যে অনেক জায়গায় দিনের পর দিন সূর্যের আলো পৌঁছায় না। চরম অন্ধকারাচ্ছন্ন, স্যাঁতসেঁতে, রহস্যময় এক পাতালপুরী যেন এই জায়গা।
এসব গ্রামে ভুরিয়া জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে। তারা সেখানে কুঁড়েঘরে বাস করে। পাহাড় ও প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে তাদের জীবনযাপন। নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা তাদের। নিজেদের খাবার নিজেরাই উৎপাদন করে স্থানীয়রা। শুধু তেল ও লবণ কিনতে গ্রামের বাইরে আসতে হয়। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগে তাদের ভীষণ অনীহা। আগে দুর্গম এসব গ্রাম বাইরের জগৎ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। সম্প্রতি এই এলাকাকে নিকটস্থ শহরের সঙ্গে সড়কপথে সংযুক্ত করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। পর্যটকদের জন্য পাতালকোটের দরজা খুলে দিতেই সরকারের এই উদ্যোগ। পাতালকোটের স্থানীয় মানুষের সংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ। এখনো সাংস্কৃতিক নিজস্বতা বজায় রেখেছে তারা। এ ছাড়া পুরাণে রহস্যময় পাতালকোটের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। পাতালকোট এতটাই দুর্গম এবং এখানকার মানুষ বাইরের জগৎ থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত যে দীর্ঘদিন তারা জানত না পুরো পৃথিবী করোনা মহামারিতে ভুগছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এখনো স্পর্শ করতে পারেনি পাতালকোটের বাসিন্দাদের।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের বিচিত্র পাতালগ্রামে বসবাস করেন তারা

আপডেট সময় : ১২:১৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের ভূপ্রকৃতি যেমন বৈচিত্র্যময়, তেমনি দেশটিতে নানান মানুষের বসবাস। বৈচিত্র্যময় ভারতে কয়েকটি গ্রাম রয়েছে, যেগুলোর অবস্থান পাহাড়ঘেরা দুর্গম জায়গায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট নিচে। সেসব গ্রামে দিব্যি বসবাস করছে মানুষ। সেখানে নিজেদের জন্য নিজেদের নিয়ে একটি স্বনির্ভর সমাজ গড়ে তুলেছে তারা। একে ‘পাতালপুরী’তে মানুষের বসবাস বললেও অত্যুক্তি হবে না। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে তাঁদের বড্ড অনীহা।
বিচিত্র এই জায়গার নাম ‘পাতালকোট’। গত রোববার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ডিএনএ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের চিনদোয়ারা জেলা শহর থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে সাতপুরা পাহাড়ে এর অবস্থান। সেখানকার ১২টি গ্রামের চারপাশে পাহাড়। মাঝের উপত্যকায় বসতি। জনসংখ্যা তিন হাজারের কম। দুর্গম গ্রামগুলোয় এত বড় বড় আর ঘন গাছপালা রয়েছে যে অনেক জায়গায় দিনের পর দিন সূর্যের আলো পৌঁছায় না। চরম অন্ধকারাচ্ছন্ন, স্যাঁতসেঁতে, রহস্যময় এক পাতালপুরী যেন এই জায়গা।
এসব গ্রামে ভুরিয়া জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে। তারা সেখানে কুঁড়েঘরে বাস করে। পাহাড় ও প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে তাদের জীবনযাপন। নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতির চর্চা তাদের। নিজেদের খাবার নিজেরাই উৎপাদন করে স্থানীয়রা। শুধু তেল ও লবণ কিনতে গ্রামের বাইরে আসতে হয়। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগে তাদের ভীষণ অনীহা। আগে দুর্গম এসব গ্রাম বাইরের জগৎ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল। সম্প্রতি এই এলাকাকে নিকটস্থ শহরের সঙ্গে সড়কপথে সংযুক্ত করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। পর্যটকদের জন্য পাতালকোটের দরজা খুলে দিতেই সরকারের এই উদ্যোগ। পাতালকোটের স্থানীয় মানুষের সংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ। এখনো সাংস্কৃতিক নিজস্বতা বজায় রেখেছে তারা। এ ছাড়া পুরাণে রহস্যময় পাতালকোটের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। পাতালকোট এতটাই দুর্গম এবং এখানকার মানুষ বাইরের জগৎ থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্ত যে দীর্ঘদিন তারা জানত না পুরো পৃথিবী করোনা মহামারিতে ভুগছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এখনো স্পর্শ করতে পারেনি পাতালকোটের বাসিন্দাদের।