মইনুল ইসলাম : সম্প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বৃদ্ধির অনুপাত দাঁড়াচ্ছে ২৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম গত এক বছরে ক্রমাগতভাবে বেড়ে বর্তমানে প্রতি ব্যারেল ৮৪ ডলারে পৌঁছানোয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের লোকসান গুনতে হচ্ছে—এ অজুহাতে একলাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম এতটা বাড়িয়ে দেওয়া হলো জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্তে। আইনানুগভাবে এই দুটো পণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় পেট্রোলিয়াম করপোরেশন থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে গণশুনানির আয়োজন করতে হয়। ওই শুনানিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে করপোরেশনের প্রতিনিধিদের সতেজ বিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। কিন্তু এবার এসবের তোয়াক্কা না করেই সরাসরি সরকারের সিদ্ধান্তে এত বিপুল হারে এই দুটো জ্বালানির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো!
মন্ত্রণালয়ের সচিব ঘোষণা করেছেন, এই দাম বৃদ্ধি ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি কী বোঝাতে চাইলেন? সরকারের মন্ত্রণালয় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে এভাবে ‘বাইপাস’ করে আইন ভঙ্গ করল না? ডিজেল ও কেরোসিনের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ আইটেমের দাম বৃদ্ধি বিইআরসিতে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে গৃহীত সুপারিশের ভিত্তিতে হওয়ার পরিবর্তে যদি মন্ত্রণালয়ের একক সিদ্ধান্তে বেআইনিভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলে কমিশনের প্রয়োজন কী?
শুধু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ডিজেলের দাম যদি বাড়ানো হয়, তাহলে তো প্রশ্ন উঠবে, করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পর যখন গত ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে কমতে প্রতি ব্যারেল ৩০ ডলারের নিচে নেমে এসেছিল, তখন এ দেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ৬৫ টাকা বহাল রেখে সরকার যে মুনাফাবাজি করেছে, সেটা কি ভোক্তাদের ওপর নিকৃষ্ট জুলুমবাজি নয়? প্রকৃতপক্ষে চার বছর ধরেই বাংলাদেশে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম আমদানি ব্যয়ের চেয়ে অনেক বেশি নির্ধারণের মাধ্যমে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। তেলের আন্তর্জাতিক দাম কমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ধাপে ধাপে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ দাম কমিয়ে আনাই ছিল যুক্তিসংগত, অথচ সরকার উচ্চমূল্য বহাল রেখে মুনাফাবাজি করার সিদ্ধান্তই নিয়েছিল ওই সময়ে। ওয়াকিবহাল মহল দাবি করছেন, এই মুনাফাবাজির মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে।
সরকারের তহবিলে এই সেক্টরের শুল্ক, মূসক (ভ্যাট) ও অন্যান্য কর বাবদ প্রতিবছর আরও চার থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব যুক্ত হয়। অতএব রাজস্ব ও মুনাফা যোগ করলে সরকার ে
মাননীয় মন্ত্রী, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির অঙ্কটা মিলিয়ে দিন
ট্যাগস :
মাননীয় মন্ত্রী
জনপ্রিয় সংবাদ