ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডেল্টার সংক্রমণে নতুন করে বিপাকে চীন

  • আপডেট সময় : ১২:০৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। অতিসংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে রীতিমত লড়াই করছে চীন। এখন পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটিতে।
বেশ কিছু এলাকা ইতোমধ্যেই উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহরের লোকজনের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গত কয়েক সপ্তাহে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সে কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে ১ হাজার ৩০৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গ্রীষ্মে ডেল্টা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের পর স্থানীয়ভাবে অতিরিক্ত ১ হাজার ২৮০টি কেস শনাক্ত হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীনের প্রায় সব অঞ্চলেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। দেশটির ২১টি প্রদেশ, অঞ্চল এবং পৌরসভায় ছড়িয়ে পড়েছে এই অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট। যদিও অনেক দেশের তুলনায় চীনে এখনও সংক্রমণের হার অনেক কম। কিন্তু সরকারের জিরো টলারেন্স নির্দেশনার আওতায় সংক্রমণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে চীন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারপর থেকেই চীনের পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে এবং প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে।
তবে চীন প্রথম থেকেই করোনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। মাঝের কয়েক মাস দেশটিতে সেভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখাই যায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ডেল্টা ভাইরাস শনাক্তের কয়েক মাসের মধ্যেই তা চীনসহ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এবার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে চীন।
সংক্রমণের গতিরোধ করতে পুরো দেশে টেস্টিং, ট্রেসিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি কোনো শহর বা অঞ্চলে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে পুরো এলাকার সবাইকে করোনা টেস্টের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিধিনিষেধ আরোপ, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কয়েক দফায় লোকজনের করোনা পরীক্ষা, বিনোদনকেন্দ্র এবং সাংস্কৃতিক ভেন্যু বন্ধ রাখা, পর্যটন এবং গণপরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীন।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ডালিয়ান শহরে লকডাউন জারি রয়েছে। ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের কর্মকর্তা উ লিয়ানজিওউ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৪ নভেম্বর ডালিয়ান শহরে প্রথম স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ৭৫ লাখ জনসংখ্যার শহরটিতে প্রায় প্রতিদিনই ২৪ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। চীনের অন্যান্য শহরের চেয়ে এই সংখ্যা অনেক বেশি। ড্যাংডং, আনশান এবং শেনইয়াংসহ ডালিয়ান শহরের কাছাকাছি অন্যান্য শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই শহর থেকে যারা এসব শহরে আসছেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। শহরে স্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করার আগে তাদের অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চীনে ৯৮ হাজার ৩১৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৬ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে, ৯২ হাজার ৩৩২ জন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কাল মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা

ডেল্টার সংক্রমণে নতুন করে বিপাকে চীন

আপডেট সময় : ১২:০৬:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। অতিসংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে রীতিমত লড়াই করছে চীন। এখন পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটিতে।
বেশ কিছু এলাকা ইতোমধ্যেই উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহরের লোকজনের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গত কয়েক সপ্তাহে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সে কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে ১ হাজার ৩০৮ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গ্রীষ্মে ডেল্টা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের পর স্থানীয়ভাবে অতিরিক্ত ১ হাজার ২৮০টি কেস শনাক্ত হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চীনের প্রায় সব অঞ্চলেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। দেশটির ২১টি প্রদেশ, অঞ্চল এবং পৌরসভায় ছড়িয়ে পড়েছে এই অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট। যদিও অনেক দেশের তুলনায় চীনে এখনও সংক্রমণের হার অনেক কম। কিন্তু সরকারের জিরো টলারেন্স নির্দেশনার আওতায় সংক্রমণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে চীন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। তারপর থেকেই চীনের পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে এবং প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে।
তবে চীন প্রথম থেকেই করোনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। মাঝের কয়েক মাস দেশটিতে সেভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখাই যায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ডেল্টা ভাইরাস শনাক্তের কয়েক মাসের মধ্যেই তা চীনসহ অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এবার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে চীন।
সংক্রমণের গতিরোধ করতে পুরো দেশে টেস্টিং, ট্রেসিং বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি কোনো শহর বা অঞ্চলে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে পুরো এলাকার সবাইকে করোনা টেস্টের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিধিনিষেধ আরোপ, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় কয়েক দফায় লোকজনের করোনা পরীক্ষা, বিনোদনকেন্দ্র এবং সাংস্কৃতিক ভেন্যু বন্ধ রাখা, পর্যটন এবং গণপরিবহনে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীন।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ডালিয়ান শহরে লকডাউন জারি রয়েছে। ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের কর্মকর্তা উ লিয়ানজিওউ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৪ নভেম্বর ডালিয়ান শহরে প্রথম স্থানীয়ভাবে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ৭৫ লাখ জনসংখ্যার শহরটিতে প্রায় প্রতিদিনই ২৪ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। চীনের অন্যান্য শহরের চেয়ে এই সংখ্যা অনেক বেশি। ড্যাংডং, আনশান এবং শেনইয়াংসহ ডালিয়ান শহরের কাছাকাছি অন্যান্য শহরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই শহর থেকে যারা এসব শহরে আসছেন তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। শহরে স্বাভাবিকভাবে ঘোরাফেরা করার আগে তাদের অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চীনে ৯৮ হাজার ৩১৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৬ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে, ৯২ হাজার ৩৩২ জন।