ঢাকা ০২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সংসদে ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ জাপার

  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির দুই এমপি ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করেন। তারা দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কোভিড মোকাবিলা করে মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেন, ঠিক সেই সময় হঠাৎ ডিজেলের তেলের দাম বৃদ্ধি করা হলো। বলা নেই কওয়া নেই, কোনও ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে ২৩ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে একসঙ্গে এত পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি।’
শুক্র ও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়ানো হলো বৃহস্পতিবার। তারপর পরিবহনগুলো ধর্মঘটে চলে গেলো। এতে পরীক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ার পর বাসভাড়া ২৭ শতাংশ, নৌযান ভাড়া ৩৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এটা তেলের মূল্য বৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি। জানি না এখানে কেন সমন্বয় নেই।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ৭৫ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। বর্তমান সরকার যেহেতু নির্বাচিত সরকার, জনগণের কথা চিন্তা করলে কোভিডের অবস্থায় হঠাৎ এই মূল্য বৃদ্ধি না করে কি বিকল্প ব্যবস্থা করা যেতো না? এমনিতেই বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরমধ্যে তেলের কারণে অন্যান্য পণ্যের মূল্য আরও বৃদ্ধি হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে দেশের মানুষ তেলের মূল্য বৃদ্ধির জন্য যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এজন্য হয় আপনি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন, না হয় বিকল্প কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মানুষকে বিপজ্জনক অবস্থা থেকে মুক্তি দেন।’
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমতে শুরু করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে চরমভাবে আঘাত করেছে। দ্রব্যমূল্যও বেড়ে গেছে। প্রতিবেশী দেশ স্পর্শকাতর এই জ্বালানির মূল্য না বাড়িয়ে ঠিক রেখেছে। আমাদের সরকার ইচ্ছা করলে এটা করতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে যায়, তখন কিন্তু আমাদের এখানে কমানো হয় না। অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হলে সেটা কত শতাংশ হতে পারে। আমাদের চিন্তা করা উচিত। আমরা কত পরিমাণ বাড়াতে পারি। বৃদ্ধির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ কেবিনেটের নতুন করে চিন্তা করা উচিত। কারণ, জনস্বার্থ অগ্রাধিকার। জনস্বার্থে এটা পুনর্বিবেচনা করুন। হয় মূল্য কমান, না হয় ভর্তুকির ব্যবস্থা করুন।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংসদে ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ জাপার

আপডেট সময় : ০২:২৩:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদে ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির দুই এমপি ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করেন। তারা দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার বা বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘কোভিড মোকাবিলা করে মানুষ যখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেন, ঠিক সেই সময় হঠাৎ ডিজেলের তেলের দাম বৃদ্ধি করা হলো। বলা নেই কওয়া নেই, কোনও ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে ২৩ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে একসঙ্গে এত পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি।’
শুক্র ও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়ানো হলো বৃহস্পতিবার। তারপর পরিবহনগুলো ধর্মঘটে চলে গেলো। এতে পরীক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। ডিজেলের দাম বাড়ার পর বাসভাড়া ২৭ শতাংশ, নৌযান ভাড়া ৩৭ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এটা তেলের মূল্য বৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি। জানি না এখানে কেন সমন্বয় নেই।’
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমার কারণে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ৭৫ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। বর্তমান সরকার যেহেতু নির্বাচিত সরকার, জনগণের কথা চিন্তা করলে কোভিডের অবস্থায় হঠাৎ এই মূল্য বৃদ্ধি না করে কি বিকল্প ব্যবস্থা করা যেতো না? এমনিতেই বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরমধ্যে তেলের কারণে অন্যান্য পণ্যের মূল্য আরও বৃদ্ধি হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে দেশের মানুষ তেলের মূল্য বৃদ্ধির জন্য যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এজন্য হয় আপনি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন, না হয় বিকল্প কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মানুষকে বিপজ্জনক অবস্থা থেকে মুক্তি দেন।’
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমতে শুরু করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে চরমভাবে আঘাত করেছে। দ্রব্যমূল্যও বেড়ে গেছে। প্রতিবেশী দেশ স্পর্শকাতর এই জ্বালানির মূল্য না বাড়িয়ে ঠিক রেখেছে। আমাদের সরকার ইচ্ছা করলে এটা করতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে যায়, তখন কিন্তু আমাদের এখানে কমানো হয় না। অজুহাত দিয়ে দাম বাড়ানো হলে সেটা কত শতাংশ হতে পারে। আমাদের চিন্তা করা উচিত। আমরা কত পরিমাণ বাড়াতে পারি। বৃদ্ধির পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ কেবিনেটের নতুন করে চিন্তা করা উচিত। কারণ, জনস্বার্থ অগ্রাধিকার। জনস্বার্থে এটা পুনর্বিবেচনা করুন। হয় মূল্য কমান, না হয় ভর্তুকির ব্যবস্থা করুন।’