ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

আজ বসছে সংসদ, শেষভাগে হবে সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ আলোচনা

  • আপডেট সময় : ০১:২৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন আজ রোববার বিকাল ৪টায় শুরু হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ অধিবেশনের শেষভাগে হবে বিশেষ আলোচনা। আলোচনার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দিতে পারেন।
সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। করোনাকালের অন্যান্য অধিবেশনের মতো এবারও স্বাস্থ্য বিধি মেনে সংসদের বৈঠক বসবে। অধিবেশনের শেষভাগে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা হতে পারে।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, অধিবেশনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম শেষ করে এক-দুই দিন বিরতি দেওয়া হবে। এরপর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা হবে। সেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিতে পারেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গত বছরের নভেম্বর মাসে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ অধিবেশনে বসে একাদশ জাতীয় সংসদ। ওই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সংসদের বৈঠকগুলোতে নিয়মিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। নতুন কিছু বিল উত্থাপন এবং আগে উত্থাপন করা কয়েকটি বিলের রিপোর্ট উপস্থাপন ও পাসের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
আসন্ন অধিবেশনের শেষ দিকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ এর আওতায় দুই বা তিন দিন আলোচনা হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের মতো এবারও একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হতে পারে। সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তা সংসদে গ্রহণ করা হবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ কার্যদিবসগুলোতে করোনা পরীক্ষার ভিত্তিতে কোরাম পূরণের শর্তে সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্যকে অধিবেশনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে, বিশেষ আলোচনার সময় কোভিড নেগেটিভ সকল এমপিই অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ আলোচনার সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ সকল সংসদ সদস্য অংশ নেবেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপনে গত বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার। তবে করোনাভাইরাস মহামারির জন্য কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এবছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করেছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। সংসদের গণসংযোগ শাখা থেকে এরই মধ্যে জানান হয়েছে, এবার সংসদ অধিবেশনে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না গণমাধ্যমকর্মীদের। সংসদ টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচার থেকে খবর সংগ্রহ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
যা থাকছে প্রথম দিনের বৈঠকে : রোববার অনুষ্ঠেয় প্রথম দিনের বৈঠকে সভাপতিম-লী মনোনয়ন ও শোক প্রস্তাবের ওপরে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, পরিকল্পনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনাকালের অন্যান্য অধিবেশনের মতো এবারও প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হতে পারে। এছাড়া প্রথম দিনে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (সংশোধন) বিল ২০২১, ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল ২০২১, ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য বিল ২০২১, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল ২০২১, বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল ২০২১, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বিল ২০২১ এবং মহাসড়ক বিল ২০২১ এর রিপোর্ট উত্থাপন করা হবে। বৈঠকের প্রথম দিনে প্যাটেন্ট বিল ২০২১ এবং বয়লার বিল ২০২১ উত্থাপন করা হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আজ বসছে সংসদ, শেষভাগে হবে সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ আলোচনা

আপডেট সময় : ০১:২৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন আজ রোববার বিকাল ৪টায় শুরু হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ অধিবেশনের শেষভাগে হবে বিশেষ আলোচনা। আলোচনার আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দিতে পারেন।
সংসদ অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। করোনাকালের অন্যান্য অধিবেশনের মতো এবারও স্বাস্থ্য বিধি মেনে সংসদের বৈঠক বসবে। অধিবেশনের শেষভাগে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা হতে পারে।
হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, অধিবেশনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম শেষ করে এক-দুই দিন বিরতি দেওয়া হবে। এরপর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা হবে। সেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভাষণ দিতে পারেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গত বছরের নভেম্বর মাসে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশেষ অধিবেশনে বসে একাদশ জাতীয় সংসদ। ওই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে সংসদের বৈঠকগুলোতে নিয়মিত কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। নতুন কিছু বিল উত্থাপন এবং আগে উত্থাপন করা কয়েকটি বিলের রিপোর্ট উপস্থাপন ও পাসের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
আসন্ন অধিবেশনের শেষ দিকে সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ এর আওতায় দুই বা তিন দিন আলোচনা হতে পারে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনের মতো এবারও একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হতে পারে। সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তা সংসদে গ্রহণ করা হবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ কার্যদিবসগুলোতে করোনা পরীক্ষার ভিত্তিতে কোরাম পূরণের শর্তে সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্যকে অধিবেশনে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে, বিশেষ আলোচনার সময় কোভিড নেগেটিভ সকল এমপিই অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ আলোচনার সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ সকল সংসদ সদস্য অংশ নেবেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপনে গত বছরকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল সরকার। তবে করোনাভাইরাস মহামারির জন্য কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করতে না পারায় মুজিববর্ষের মেয়াদ ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এবছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করেছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। সংসদের গণসংযোগ শাখা থেকে এরই মধ্যে জানান হয়েছে, এবার সংসদ অধিবেশনে প্রবেশের অনুমতি থাকবে না গণমাধ্যমকর্মীদের। সংসদ টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচার থেকে খবর সংগ্রহ করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
যা থাকছে প্রথম দিনের বৈঠকে : রোববার অনুষ্ঠেয় প্রথম দিনের বৈঠকে সভাপতিম-লী মনোনয়ন ও শোক প্রস্তাবের ওপরে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, পরিকল্পনা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনাকালের অন্যান্য অধিবেশনের মতো এবারও প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হতে পারে। এছাড়া প্রথম দিনে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (সংশোধন) বিল ২০২১, ব্যাংকার সাক্ষ্য বহি বিল ২০২১, ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য বিল ২০২১, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল ২০২১, বিরোধী দলীয় নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল ২০২১, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী বিল ২০২১ এবং মহাসড়ক বিল ২০২১ এর রিপোর্ট উত্থাপন করা হবে। বৈঠকের প্রথম দিনে প্যাটেন্ট বিল ২০২১ এবং বয়লার বিল ২০২১ উত্থাপন করা হবে।