ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ডিজেলে চললেও বাড়ছে না ট্রেনের ভাড়া

  • আপডেট সময় : ০১:১৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজেলের দাম বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাস-লঞ্চের ভাড়া বাড়ালেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ট্রেনও ডিজেলে চলায় সরকারের ভর্তুকি বাড়বে, তবে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে জানান তিনি।
গতকাল শনিবার কমলাপুর রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন। এদিন কমলাপুর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন পুনরায় চালু করেন রেলমন্ত্রী। গত মার্চে হেফাজতে ইসলামের তা-বের ঘটনার পর থেকে স্টেশনটি বন্ধ ছিল। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। রেলের ভাড়া বাড়বে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। এমন যদি হতো তেলের দাম বাড়ার কারণে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছি, তাহলে হয়ত ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টা চিন্তা করতাম।’
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আপনারা জানেন জনগণ বা সরকারের ভর্তুকির মাধ্যমেই ট্রেন চলছে। রেলওয়েকে অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। ১০ টাকার জায়গায় হয়ত এখন ১২ টাকা ভর্তুকি দেওয়া লাগবে। যে কারণে আমাদের দিক থেকে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
রেলমন্ত্রী বলেন, রেল একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমরা জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণকে একটি সহজ এবং আরামদায়ক সেবা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে হেফাজতের তা-বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টারের রুম, অপারেটিং রুম, ভিআইপি রুম, প্রধান বুকিং সহকারীর রুম,টিকেট কাউন্টার,প্যানেল বোর্ড, সিগনালিং যন্ত্রপাতি, পয়েন্টের সিগন্যাল বক্সসহ লেভেল ক্রসিং গেটসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এই ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের আড়াই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। আর স্টেশনটিকে সারিয়ে তুলতে খরচ হয়েছে আরও সাড়ে তিন কোটি টাকা। স্বাধীনতাবিরোধীরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা বাংলাদেশ চায় না- তারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ এ সময় ট্রেনে ঢিল ছোড়া রোধে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে ১৪টি আন্তঃনগর, আটটি মেইল ও চারটি কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতি রয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিজেলে চললেও বাড়ছে না ট্রেনের ভাড়া

আপডেট সময় : ০১:১৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজেলের দাম বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাস-লঞ্চের ভাড়া বাড়ালেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ট্রেনও ডিজেলে চলায় সরকারের ভর্তুকি বাড়বে, তবে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই বলে জানান তিনি।
গতকাল শনিবার কমলাপুর রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এই কথা বলেন। এদিন কমলাপুর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন পুনরায় চালু করেন রেলমন্ত্রী। গত মার্চে হেফাজতে ইসলামের তা-বের ঘটনার পর থেকে স্টেশনটি বন্ধ ছিল। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। রেলের ভাড়া বাড়বে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিইনি। এমন যদি হতো তেলের দাম বাড়ার কারণে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে যাচ্ছি, তাহলে হয়ত ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টা চিন্তা করতাম।’
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আপনারা জানেন জনগণ বা সরকারের ভর্তুকির মাধ্যমেই ট্রেন চলছে। রেলওয়েকে অনেক ভর্তুকি দিতে হয়। ১০ টাকার জায়গায় হয়ত এখন ১২ টাকা ভর্তুকি দেওয়া লাগবে। যে কারণে আমাদের দিক থেকে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
রেলমন্ত্রী বলেন, রেল একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমরা জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণকে একটি সহজ এবং আরামদায়ক সেবা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে হেফাজতের তা-বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টারের রুম, অপারেটিং রুম, ভিআইপি রুম, প্রধান বুকিং সহকারীর রুম,টিকেট কাউন্টার,প্যানেল বোর্ড, সিগনালিং যন্ত্রপাতি, পয়েন্টের সিগন্যাল বক্সসহ লেভেল ক্রসিং গেটসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। এই ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ের আড়াই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। আর স্টেশনটিকে সারিয়ে তুলতে খরচ হয়েছে আরও সাড়ে তিন কোটি টাকা। স্বাধীনতাবিরোধীরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা বাংলাদেশ চায় না- তারাই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ এ সময় ট্রেনে ঢিল ছোড়া রোধে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে ১৪টি আন্তঃনগর, আটটি মেইল ও চারটি কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতি রয়েছে।