ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

নতুনধারার উদ্ভাবক হুমায়ূন আহমেদ

  • আপডেট সময় : ১২:২০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক : স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলা সাহিত্যে নতুনধারা সংযোগ করে পাঠক হৃদয়ের মণিকোঠায় জায়গা করে নেন হুমায়ূন আহমেদ। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকের স্থানটিও দখল করেন তিনি। ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকারের পাশাপাশি নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও অনুকরণীয় হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৯০ সালে চলচ্চিত্র তৈরিতে মনোযোগী হন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৯৪ সালে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তি পায়। এরপর ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ২০০১ সালে ‘দুই দুয়ারী’ও দর্শক হৃদয় জয় করে। এরপর ২০০৩ সালে তৈরি করেন ‘চন্দ্রকথা’। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ‘শ্যামল ছায়া’ দর্শকের হৃদয় কাড়ে। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়। ‘আমার আছে জল’ তৈরি করেন ২০০৮ সালে। আর ২০১২ সালে তার শেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রে এক নতুনধারা তৈরি করেছিলেন হুমায়ূন। তার বেশিরভাগ গল্পেই ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। প্রতিটি চরিত্রই দর্শকদের ভালোলাগার জায়গা করে নেয়। দেশীয় চলচ্চিত্রে সংলাপের এক ভিন্নমাত্রা যোগ হয় তার হাত ধরেই। চলচ্চিত্রে তার প্রতিটি গানই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বর্ষার প্রথমদিনে, সোয়াচান পাখি কিংবা এক যে ছিল সোনার কন্যা গানগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।
তার লেখা কয়েকটি উপন্যাস দিয়ে অন্য নির্মাতারাও চলচ্চিত্র তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন। মোরশেদুল ইসলাম তৈরি করেন ‘দুরত্ব’। বেলাল আহমেদ করেন ‘নন্দিত নরকে’ এবং আবু সাইদ পরিচালনা করেন ‘নিরন্তর’। এছাড়া ২০০৭ সালে শাহ আলম কিরণ পরিচালিত ‘সাজঘর’ এবং তৌকির আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ তৈরি হয় হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস দিয়ে। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য টেলিভিশন ধারাবাহিক এবং টেলিফিল্ম রচনা শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে তার প্রথম টেলিভিশন কাহিনীচিত্র ‘প্রথম প্রহর’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। যা তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। তার জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম এইসব দিন-রাত্রি, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, নক্ষত্রের রাত, অয়োময়, আজ রবিবার। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায় জন্ম নেন এ গুণী সাহিত্যিক। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ। তার সৃষ্টি ও কর্মই তাকে বাঙালির হৃদয়ে বাঁচিয়ে রাখবে যুগ যুগ ধরে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নতুনধারার উদ্ভাবক হুমায়ূন আহমেদ

আপডেট সময় : ১২:২০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১

বিনোদন ডেস্ক : স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলা সাহিত্যে নতুনধারা সংযোগ করে পাঠক হৃদয়ের মণিকোঠায় জায়গা করে নেন হুমায়ূন আহমেদ। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকের স্থানটিও দখল করেন তিনি। ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার এবং গীতিকারের পাশাপাশি নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও অনুকরণীয় হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৯০ সালে চলচ্চিত্র তৈরিতে মনোযোগী হন হুমায়ূন আহমেদ। ১৯৯৪ সালে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমণি’ মুক্তি পায়। এরপর ২০০০ সালে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ও ২০০১ সালে ‘দুই দুয়ারী’ও দর্শক হৃদয় জয় করে। এরপর ২০০৩ সালে তৈরি করেন ‘চন্দ্রকথা’। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ‘শ্যামল ছায়া’ দর্শকের হৃদয় কাড়ে। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়। ‘আমার আছে জল’ তৈরি করেন ২০০৮ সালে। আর ২০১২ সালে তার শেষ চলচ্চিত্র ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রে এক নতুনধারা তৈরি করেছিলেন হুমায়ূন। তার বেশিরভাগ গল্পেই ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। প্রতিটি চরিত্রই দর্শকদের ভালোলাগার জায়গা করে নেয়। দেশীয় চলচ্চিত্রে সংলাপের এক ভিন্নমাত্রা যোগ হয় তার হাত ধরেই। চলচ্চিত্রে তার প্রতিটি গানই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বর্ষার প্রথমদিনে, সোয়াচান পাখি কিংবা এক যে ছিল সোনার কন্যা গানগুলো এখনও মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়।
তার লেখা কয়েকটি উপন্যাস দিয়ে অন্য নির্মাতারাও চলচ্চিত্র তৈরি করে সফলতা পেয়েছেন। মোরশেদুল ইসলাম তৈরি করেন ‘দুরত্ব’। বেলাল আহমেদ করেন ‘নন্দিত নরকে’ এবং আবু সাইদ পরিচালনা করেন ‘নিরন্তর’। এছাড়া ২০০৭ সালে শাহ আলম কিরণ পরিচালিত ‘সাজঘর’ এবং তৌকির আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ তৈরি হয় হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস দিয়ে। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য টেলিভিশন ধারাবাহিক এবং টেলিফিল্ম রচনা শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে তার প্রথম টেলিভিশন কাহিনীচিত্র ‘প্রথম প্রহর’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। যা তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। তার জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম এইসব দিন-রাত্রি, বহুব্রীহি, কোথাও কেউ নেই, নক্ষত্রের রাত, অয়োময়, আজ রবিবার। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়ায় জন্ম নেন এ গুণী সাহিত্যিক। ২০১২ সালের ১৯ জুলাই না ফেরার দেশে চলে যান সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদ। তার সৃষ্টি ও কর্মই তাকে বাঙালির হৃদয়ে বাঁচিয়ে রাখবে যুগ যুগ ধরে।