ঢাকা ০৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

টিকার পরিবর্তে ভবিষ্যতে করোনার প্রতিষেধক হবে ট্যাবলেট!

  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ভবিষ্যতে টিকার পরিবর্তে মুখে খাওয়ার ট্যাবলেটই যথেষ্ট। পাশাপাশি ক্যাপসুল ও নাজাল স্প্রেও ব্যবহার করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন একথা জানিয়েছেন।
তার মতে, এই ধরনের নাজাল স্প্রে আর ট্যাবলেট অনেক বেশি সুবিধাজনক। প্রথমত: ইঞ্জেকশনের তুলনায় সেগুলো নেওয়া সহজ। সে ক্ষেত্রে নিজে নিজেই টিকা নেওয়া যাবে। ফলে অনেক বেশি মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় আনা যাবে। দ্বিতীয়ত: আরও বেশি সময় ধরে গবেষণা চালানোয় ট্যাবলেট বা ওষুধগুলোর কার্যক্ষমতাও বেশি হতে পারে।
জাতিসংঘের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা লিসা হেডম্যান জেনেভায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক বৈঠকে বলেন, সিরিঞ্জ উৎপাদন ব্যাপক হারে না-বাড়ালে খুব তাড়াতাড়ি সিরিঞ্জের বিপুল সঙ্কট দেখা দিতে পারে। যার ফলে শিশুদের সাধারণ টিকার কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। সে ক্ষেত্রে নাজাল স্প্রে বা ট্যাবলেটের আদলে করোনা প্রতিষেধক পাওয়া গেলে সিরিঞ্জ সঙ্কটের অনেকটাই সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হু-এর বিজ্ঞানী সৌম্যা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ১২৯টি প্রতিষেধকের মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ১৯৪টি।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হবে। শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের পছন্দমতো এবং সবচেয়ে কার্যকর টিকা বেছে নিতে পারব। তখন খুব সহজে একটি ওষুধ খেয়ে নেওয়া যাবে। কিংবা নিজেই নেওয়া যাবে নাজাল স্প্রে।।’
নাজাল স্প্রের কার্যকারিতা নিয়ে বলতে গিয়ে সৌম্যা জানান, নাকে স্প্রে করে স্থানীয় ভাবে ভাইরাস আটকে দেওয়া যায়। তাতে তা ফুসফুস পর্যন্ত ছড়াতে পারে না। চটজলদি কাজ করে এই ধরনের প্রতিষেধকগুলো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

টিকার পরিবর্তে ভবিষ্যতে করোনার প্রতিষেধক হবে ট্যাবলেট!

আপডেট সময় : ০১:১৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ভবিষ্যতে টিকার পরিবর্তে মুখে খাওয়ার ট্যাবলেটই যথেষ্ট। পাশাপাশি ক্যাপসুল ও নাজাল স্প্রেও ব্যবহার করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) অন্যতম শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন একথা জানিয়েছেন।
তার মতে, এই ধরনের নাজাল স্প্রে আর ট্যাবলেট অনেক বেশি সুবিধাজনক। প্রথমত: ইঞ্জেকশনের তুলনায় সেগুলো নেওয়া সহজ। সে ক্ষেত্রে নিজে নিজেই টিকা নেওয়া যাবে। ফলে অনেক বেশি মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় আনা যাবে। দ্বিতীয়ত: আরও বেশি সময় ধরে গবেষণা চালানোয় ট্যাবলেট বা ওষুধগুলোর কার্যক্ষমতাও বেশি হতে পারে।
জাতিসংঘের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা লিসা হেডম্যান জেনেভায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত এক বৈঠকে বলেন, সিরিঞ্জ উৎপাদন ব্যাপক হারে না-বাড়ালে খুব তাড়াতাড়ি সিরিঞ্জের বিপুল সঙ্কট দেখা দিতে পারে। যার ফলে শিশুদের সাধারণ টিকার কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। সে ক্ষেত্রে নাজাল স্প্রে বা ট্যাবলেটের আদলে করোনা প্রতিষেধক পাওয়া গেলে সিরিঞ্জ সঙ্কটের অনেকটাই সুরাহা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
হু-এর বিজ্ঞানী সৌম্যা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ১২৯টি প্রতিষেধকের মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ১৯৪টি।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হবে। শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের পছন্দমতো এবং সবচেয়ে কার্যকর টিকা বেছে নিতে পারব। তখন খুব সহজে একটি ওষুধ খেয়ে নেওয়া যাবে। কিংবা নিজেই নেওয়া যাবে নাজাল স্প্রে।।’
নাজাল স্প্রের কার্যকারিতা নিয়ে বলতে গিয়ে সৌম্যা জানান, নাকে স্প্রে করে স্থানীয় ভাবে ভাইরাস আটকে দেওয়া যায়। তাতে তা ফুসফুস পর্যন্ত ছড়াতে পারে না। চটজলদি কাজ করে এই ধরনের প্রতিষেধকগুলো।