ক্রীড়া ডেস্ক : লক্ষ্য ১৬৭ রানের। তৃতীয় ওভার শেষ হওয়ার আগেই দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল ও কেন উইলিয়ামসন নেই। ১৩ রানের মধ্যে তারা বিদায় নিলেন। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৩৬ রান। নিউ জিল্যান্ড জয় পাবে, এই ধারণা খুব কম মানুষের হয়েছিল। কিন্তু হারার নেতিবাচক বিশ্বাস এক মুহূর্তের জন্যও আসেনি একজনের মনে- ড্যারেল মিচেল। ম্যাচ হাতের মুঠোয় আছে, এই বিশ্বাস ধরে রেখে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন কিউই ওপেনার। মিচেল দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন ডেভন কনওয়ের কাছ থেকে। দুই প্রান্ত ধরে রেখে দুজনে ৮২ রানের জুটি গড়েন ৬৭ বল খেলে। দলের সেঞ্চুরি মানে ১০০ হয় ১৪তম ওভারের তিন বল শেষে। তার আগেই কনওয়ে বিদায় নেন ৪৬ রান করে। দলের একশ ছাড়ানোর পর গ্লেন ফিলিপসও আউট, ১০৭ রানে নেই ৪ উইকেট। ২৯ বলে দরকার তখন ৬০ রান।
ক্রিজে মিচেলকে সঙ্গ দিতে নেমেছেন জিমি নিশাম। এই জুটি কিউই ওপেনারের জয়ের বিশ্বাস আরো গাঢ় করল। অথচ তখনো ম্যাচ ইংলিশদের হাতের মুঠোয়, কারণ ৪ ওভারে ৫৭ রান ডিফেন্ড করতে হতো তাদের। ১৭ বলে ৪০ রানের জুটি গড়ার পথে নিশাম একাই খেললেন ১১ বল, করলেন ২৭ রান। তাতে চাপ কমে গেল। এরপর মিচেল চেপে বসলেন ইংলিশ বোলারদের ঘাড়ে। নিশাম আউটের পর আর ৫ বল খেললেন, যাতে দুটি ছয় ও একটি চার। ১৯ ওভারেই এলো ৫ উইকেটের জয়। ৪৭ বলে চারটি করে চার ও ছয়ে ৭২ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হলেন মিচেল। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান তার প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জাত চেনালেন। ম্যাচ শেষে বললেন, জয়ের বিশ্বাস ছিল পুরো ইনিংসজুড়ে, ‘না, এটা সম্ভবত অদ্ভুত শোনাবে। কিন্তু কখনো মনে হয়নি ম্যাচ আমাদের মুঠো থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি একদিকের ছোট বাউন্ডারি নিয়ে বিশেষ খেয়াল রেখেছিলাম।’ নিশামকে কৃতিত্ব দিয়ে মিচেল বলেছেন, ‘নিশাম এলো এবং ওই এক ওভার সত্যিই আধিপত্য করল, সেটাই আমাদের জয়ের পথ গড়ে দিলো। তাই তাকে আমি টুপি খোলা অভিনন্দন জানাই। সে সত্যিই অবিশ্বাস্য খেলেছে।’
কখনো মনে হয়নি ম্যাচ হাতের মুঠো থেকে বেরিয়ে গেছে : মিচেল
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ