আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তাইওয়ানে হামলা বা স্বশাসিত দ্বীপটিকে দখলে নিতে চীন বল প্রয়োগ করলে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা পাল্টা পদক্ষেপ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
বুধবার নিউ ইয়র্ক টাইমস আয়োজিত এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করলেও পাল্টা পদক্ষেপ কী হতে পারে তা খোলাসা করেননি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। চীন হামলা চালালে তাইওয়ানের সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সামনে এগিয়ে আসবে কিনা সভায় ব্লিনকেনের কাছে এ প্রশ্ন করা হয়। জবাবে মার্কিন এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের এ সংক্রান্ত নিয়মিত বিবৃতিগুলোই আওড়ান। বলেন, ওয়াশিংটনের ভূমিকা থাকবে স্বশাসিত দ্বীপটি যেন নিজেকে রক্ষা করতে পারে তা নিশ্চিত করা। “পাশাপাশি, আমার মনে হয় এটা বলাও ন্যায্য হবে যে বিশ্বের ওই প্রান্তের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রত্যয় কেবল আমাদের একারই নয়। “অনেক দেশ আছে, ওই অঞ্চলভুক্ত এবং অঞ্চলটির বাইরেরও অনেক দেশ, যারা সেখানকার স্থিতাবস্থা বিঘিœত করার ক্ষেত্রে যে কোনো একতরফা পদক্ষেপকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখবে; তেমন কিছু ঘটলে তারাও ব্যবস্থা নেবে,” বলেছেন তিনি।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীন আক্রমণ চালালে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করে নিজের প্রশাসনের ভেতরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। বাইডেনের ওই মন্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক চীন’ নীতি থেকে সরে আসার ইঙ্গিত মনে করেন অনেকে; তবে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই হোয়াইট হাউস জানায়, বাইডেন প্রশাসন ‘এক চীন’ নীতি থেকে সরছে না। চীন সবসময় তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেব দেখে। তাইওয়ান স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা চালালে স্বশাসিত দ্বীপটিকে দখল করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি তারা।
অন্যদিকে তাইওয়ানের এখনকার সরকার দ্বীপটিকে সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ বিবেচনা করে। নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও কূটনৈতিক আদানপ্রদানও বাড়িয়েছে।
ব্লিনকেনের ‘তাইওয়ান আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে’ মন্তব্য এমন এক সময়ে এল যখন বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যকার ভার্চুয়াল বৈঠকের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। বৈঠকটি নভেম্বরের মাঝামাঝিই হয়ে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বৈঠক বিষয়ে অবগত এক কর্মকর্তা।
শি-বাইডেন বৈঠক আগামী সপ্তাহে হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ব্লিনকেন সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ না দিয়ে বলেছেন, “হবে, শিগগিরই।”
তাইওয়ান আক্রান্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে: ব্লিনকেন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

























