ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

রাজনৈতিক ‘হয়রানি’ বন্ধে জনমত গড়ে তুলবে বিএনপি

  • আপডেট সময় : ১১:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে এর বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গড়ে তোলার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
গতকাল বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব এই কথা জানান। সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, গত কয়েক বছর ধরে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি ও নির্মূল করার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তার বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের কয়েকটি জেলার দুর্গাপূজার ম-পে, মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির নিন্দা জানানো হয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকা- প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির অভিযোগ, ‘এ ধরনের হত্যাকা- নিয়মিতভাবে পৃথিবীর আর কোনো সীমান্তে সংঘটিত হয় না।’ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই এই হত্যাকা- সংঘটিত হচ্ছে বলে সভা মনে করে।
সভায় এই হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে এ ধরনের হত্যাকা- বন্ধ করার জন্য ভারত এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ‘এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, মসজিদে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায়’ গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়। এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি উপস্থাপন ও বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাজনৈতিক ‘হয়রানি’ বন্ধে জনমত গড়ে তুলবে বিএনপি

আপডেট সময় : ১১:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে এর বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গড়ে তোলার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
গতকাল বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব এই কথা জানান। সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, গত কয়েক বছর ধরে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানি ও নির্মূল করার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তার বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশের কয়েকটি জেলার দুর্গাপূজার ম-পে, মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির নিন্দা জানানো হয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকা- প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ডোনা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির অভিযোগ, ‘এ ধরনের হত্যাকা- নিয়মিতভাবে পৃথিবীর আর কোনো সীমান্তে সংঘটিত হয় না।’ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই এই হত্যাকা- সংঘটিত হচ্ছে বলে সভা মনে করে।
সভায় এই হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে এ ধরনের হত্যাকা- বন্ধ করার জন্য ভারত এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ‘এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর, দোকানপাট, মসজিদে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায়’ গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানানো হয়। এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি উপস্থাপন ও বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।