ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

৫ ব্যাংকের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মানববন্ধন, পুনরায় পরীক্ষার দাবি

  • আপডেট সময় : ০১:০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এসময় এই পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
গতকাল রোববার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে রাজধানীর শাপলা চত্বর সংলগ্ন স্থানে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে প্রায় অর্ধশতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নেন। জানা গছে, গত শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আকরাম খা নামে একজন চাকরিপ্রত্যাশী দাবি করে বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০০টি প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র (বাংলা-ইংরেজি-সাধারণ জ্ঞান) ফেসবুকে পাওয়া গেছে। প্রশ্ন আগেই ফাঁস হয়েছে। এটা না হলে পরীক্ষা ৪টার সময় শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১০০টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া সম্ভব নয়।
জুবায়ের আহমেদ নামে অপর একজন চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধীনে প্রশ্ন তৈরির টেন্ডার দেওয়ার কারণে প্রতিবছরই প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। এবার প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরপত্রও ফাঁস হয়েছে। আব্দুল হামিদ নামে অপর একজন বলেন, আর কোনো বাইরের প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার না দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা নিতে হবে। একই সঙ্গে শনিবারের অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। তার দাবির সঙ্গে সবাই একমত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন, ‘পরীক্ষা বাতিল কর, করতে হবে। নতুন করে পরীক্ষা নাও, নিতে হবে।’
ফেসবুকে উত্তরপত্র ছড়ানোর ঘটনায় চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, পরীক্ষা ৪টার সময় শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১০০টি প্রশ্নের ‘সঠিক উত্তর’ ফেসবুকে পাওয়া সম্ভব নয়। আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। তবে এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলে দাবি বাংলাদেশ ব্যাংকের। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, পরীক্ষায় ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো ঘটনা হলে পরীক্ষার আগেই শোনা যেত।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৫ ব্যাংকের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে মানববন্ধন, পুনরায় পরীক্ষার দাবি

আপডেট সময় : ০১:০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এসময় এই পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
গতকাল রোববার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে রাজধানীর শাপলা চত্বর সংলগ্ন স্থানে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে প্রায় অর্ধশতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নেন। জানা গছে, গত শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আকরাম খা নামে একজন চাকরিপ্রত্যাশী দাবি করে বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০০টি প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র (বাংলা-ইংরেজি-সাধারণ জ্ঞান) ফেসবুকে পাওয়া গেছে। প্রশ্ন আগেই ফাঁস হয়েছে। এটা না হলে পরীক্ষা ৪টার সময় শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১০০টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাওয়া সম্ভব নয়।
জুবায়ের আহমেদ নামে অপর একজন চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধীনে প্রশ্ন তৈরির টেন্ডার দেওয়ার কারণে প্রতিবছরই প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। এবার প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরপত্রও ফাঁস হয়েছে। আব্দুল হামিদ নামে অপর একজন বলেন, আর কোনো বাইরের প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডার না দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা নিতে হবে। একই সঙ্গে শনিবারের অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। তার দাবির সঙ্গে সবাই একমত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন, ‘পরীক্ষা বাতিল কর, করতে হবে। নতুন করে পরীক্ষা নাও, নিতে হবে।’
ফেসবুকে উত্তরপত্র ছড়ানোর ঘটনায় চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন, পরীক্ষা ৪টার সময় শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১০০টি প্রশ্নের ‘সঠিক উত্তর’ ফেসবুকে পাওয়া সম্ভব নয়। আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। তবে এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলে দাবি বাংলাদেশ ব্যাংকের। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, পরীক্ষায় ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোনো ঘটনা হলে পরীক্ষার আগেই শোনা যেত।