ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫

ওরা পৃথিবীতে এসেছিল একসঙ্গে, ছেড়েও গেল একসঙ্গে

  • আপডেট সময় : ১২:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে বড় দুটি বালতির পানিতে ডুবে মারা গেছে তিন বছর বয়সী যমজ বোন। গতকাল রোববার সকালে জেলা শহরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ভাড়া বাসায় সব সময় পানি না থাকায় দুটি বালতিতে পানি ভরে রাখা হয়েছিল। সদর থানায় এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন। যমজ বোনদের নাম সাবা ও সারা। তাদের বাবা এবাদ আলী পুলিশের কনস্টেবল। বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত।
শিশুদের মা নাইমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, মেয়ে দুটি বালতির পানিতে পরনের প্যান্ট রেখে নাড়াচাড়া করছিল। এ সময় তিনি ময়লা ফেলতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন পানিভর্তি বালতির ভেতর দুই বোনের মাথা নিচে ও পা ওপরে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নাইমা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ওরা পৃথিবীতে এসেছিল একসঙ্গে, ছেড়েও গেল একসঙ্গে। যা করত সবই একসঙ্গেই করত। ওরা আমাকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে গেল।’
একসময় সপরিবার ঢাকায় থাকতেন নাইমারা। এক মাস আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে ভাইয়ের বাড়ির পাশে দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। ভাড়া বাসায় সব সময় পানি পাওয়া যায় না। তাই দুটি বড় বালতিতে পানি ধরে রাখা হতো। সে পানিতে ডুবেই মারা গেল শিশু দুটি। সদর থানার (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, যেহেতু দুটি শিশু একসঙ্গে মারা গেছে, তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ জন্যই লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ওরা পৃথিবীতে এসেছিল একসঙ্গে, ছেড়েও গেল একসঙ্গে

আপডেট সময় : ১২:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে বড় দুটি বালতির পানিতে ডুবে মারা গেছে তিন বছর বয়সী যমজ বোন। গতকাল রোববার সকালে জেলা শহরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ভাড়া বাসায় সব সময় পানি না থাকায় দুটি বালতিতে পানি ভরে রাখা হয়েছিল। সদর থানায় এ ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন। যমজ বোনদের নাম সাবা ও সারা। তাদের বাবা এবাদ আলী পুলিশের কনস্টেবল। বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত।
শিশুদের মা নাইমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, মেয়ে দুটি বালতির পানিতে পরনের প্যান্ট রেখে নাড়াচাড়া করছিল। এ সময় তিনি ময়লা ফেলতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন পানিভর্তি বালতির ভেতর দুই বোনের মাথা নিচে ও পা ওপরে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নাইমা খাতুন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘ওরা পৃথিবীতে এসেছিল একসঙ্গে, ছেড়েও গেল একসঙ্গে। যা করত সবই একসঙ্গেই করত। ওরা আমাকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে গেল।’
একসময় সপরিবার ঢাকায় থাকতেন নাইমারা। এক মাস আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এসে ভাইয়ের বাড়ির পাশে দুটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। ভাড়া বাসায় সব সময় পানি পাওয়া যায় না। তাই দুটি বড় বালতিতে পানি ধরে রাখা হতো। সে পানিতে ডুবেই মারা গেল শিশু দুটি। সদর থানার (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, যেহেতু দুটি শিশু একসঙ্গে মারা গেছে, তাই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ জন্যই লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।