প্রত্যাশা ডেস্ক : স্বাস্থ্যকর শাক-সবজি এবং ফলমূল পাওয়ার আশায় ভারতের উত্তর প্রদেশের বেরিলি নামক স্থানের এক সাংবাদিক নিজের তিনতলা বাড়িতে হাইড্রোফনিক পদ্ধতিতে করছেন ফলমূল এবং সবজির চাষ। সেখানে তিনি রোপন করেছেন ১০ হাজারেরও বেশি চারা।
ঘটনার শুরু বন্ধুর বাবার মৃত্যুতে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন রামভীর সিং নামক ওই সাংবাদিকের বন্ধুর বাবা। ফরমালিনযুক্ত শাক-সবজির কারণেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে মনে করেন তিনি। তাই পরিবোরের সদস্যদের জন্য ভেজালমুক্ত ফলমূল এবং শাকসবজির ব্যবস্থা করার চিন্তা মাথায় ঘুরতে থাকে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বন্ধুর বাবার মৃত্যুতে আমি ভেঙ্গে পড়ি এবং আমি আমার পরিবারকে ঝুঁকি থেকে রক্ষার কথা চিন্তা করি।’
এরপর নিজের বাড়িতে চারাগাছ রোপণ করা শুরু করেন রামভীর। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাফল্য পেতে থাকলে সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে পুরুদস্তুর সবজি চাষে মনোযোগ দেন। সেখানে তিনি স্ট্রবেরি, ঝিংগা, শসা এবং ফুলকপিসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলের চাষ করতে থাকেন। ক্রমান্বয়ে তার চাষের পরিধিও বাড়তে থাকে। এখন সেখানে চারাগাছের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।
২০১৭-১৮ সালের দিকে রামভীর সিং দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত একটি ইভেন্টে যোগ দেন। চাষাবাদের পদ্ধতি ভালোভাবে রপ্ত করার জন্য ইভেন্টে শেষেও কয়েক সপ্তাহ সেখানেই ছিলেন তিনি। কৃষকদের ফার্ম ঘুরে ঘুরে এ বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়াতে থাকেন। এরপর সেখান থেকে ফিরে কাজে আরও উদ্যমী হয়ে উঠেন সাবেক এই সাংবাদিক। তাতেই লাখেরও অধিক অর্থ আয় করতে সক্ষম হন।
বেরিলি শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তার বাড়িটি/ফার্মটি। কিন্তু এরপরও যাতায়াতে কোনো সমস্যা হয় না। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে বেশি যাতায়াত করতে হতো না। সপ্তাহে একবার সেখানে যাই এবং পরিশুদ্ধ সবজি নিয়ে ফিরে আসি।’
রামভীর তার হাইড্রোফনিক চাষাবাদ পদ্ধতিতে সন্তুষ্ট। এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য বেটার ইন্ডিয়াকে’ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি এই পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে ক্যামিকেলমুক্ত সবজি এবং ফলমূল উৎপাদন করতে পেরে অনেক খুশি। এসব সবজি এবং ফলমূল আমাকে এবং আমার মতো অনেক মানুষের শারিরীক বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে।’
বাড়িকে ১০ হাজার গাছের বাগান বানালেন সাংবাদিক
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ