ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ভারতে গেল ২৯ মেট্রিকটন ইলিশ

  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে

বেনাপোল সংবাদদাতা : দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই দফায় ১১৫ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও বাজারে ইলিশ ‘সঙ্কট’ ও ‘মূল্য বৃদ্ধির’ কারণে তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
শার্শা উপজেলা উর্ধ্বতন মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, ইলিশ রপ্তানির শেষ দিন শুক্রবার ২৯ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে গেছে। এ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক হাজার ১৯৮ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুর্গোৎসবে ভারতের বাঙালিদের এই মাছের স্বাদ দিতে বিশেষ বিবেচনায় ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৬শ’ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমোদন দেয় সরকার। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ধরা হয়েছিল ১০ মার্কিন ডলার। ইলিশ রপ্তানিকারক বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক নূরুল আমিন বিশ্বাস বলেন, “এবার বাজারে ইলিশ সঙ্কট ও মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এছাড়া এবার অতিরিক্ত ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইলিশ রপ্তানিকারক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “ভারতে ইলিশ যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি দামে বাংলাদেশের বাজারে ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে। এর সঙ্গে প্যাকেজিং খরচ ও বেনাপোল পর্যন্ত ট্রাক ভাড়া তো রয়েছে। এতে ইলিশ রপ্তানি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাই অনেকেই পিছিয়ে গেছে।“ ২০১২ সালের আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হতো। ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পর ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার। পরবর্তীতে ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে আসছে। গত বছর (২০২০) দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার ৪৫০ টন এবং ২০১৯ সালে ৫০০টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিকটন করে মোট চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করার অনুমতি দেয়। প্রথমে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানির আদেশ দেওয়া হলেও পরে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ইলিশ মাছ আহরণ,পরিবহন, বিক্রি ও বাজারজাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। প্রজনন মৌসুম শেষে গত ২৬ অক্টোবর ভারতে ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতে গেল ২৯ মেট্রিকটন ইলিশ

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

বেনাপোল সংবাদদাতা : দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই দফায় ১১৫ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে চার হাজার ৬০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও বাজারে ইলিশ ‘সঙ্কট’ ও ‘মূল্য বৃদ্ধির’ কারণে তা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
শার্শা উপজেলা উর্ধ্বতন মৎস্য কর্মকর্তা আবুল হাসান জানান, ইলিশ রপ্তানির শেষ দিন শুক্রবার ২৯ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে গেছে। এ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক হাজার ১৯৮ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে। ইলিশ রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দুর্গোৎসবে ভারতের বাঙালিদের এই মাছের স্বাদ দিতে বিশেষ বিবেচনায় ১১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার ৬শ’ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমোদন দেয় সরকার। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ধরা হয়েছিল ১০ মার্কিন ডলার। ইলিশ রপ্তানিকারক বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক নূরুল আমিন বিশ্বাস বলেন, “এবার বাজারে ইলিশ সঙ্কট ও মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এছাড়া এবার অতিরিক্ত ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইলিশ রপ্তানিকারক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, “ভারতে ইলিশ যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি দামে বাংলাদেশের বাজারে ইলিশ বেচাকেনা হচ্ছে। এর সঙ্গে প্যাকেজিং খরচ ও বেনাপোল পর্যন্ত ট্রাক ভাড়া তো রয়েছে। এতে ইলিশ রপ্তানি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাই অনেকেই পিছিয়ে গেছে।“ ২০১২ সালের আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হতো। ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পর ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় সরকার। পরবর্তীতে ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর দুর্গাপূজার আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে আসছে। গত বছর (২০২০) দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার ৪৫০ টন এবং ২০১৯ সালে ৫০০টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজার আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিকটন করে মোট চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করার অনুমতি দেয়। প্রথমে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানির আদেশ দেওয়া হলেও পরে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ইলিশ মাছ আহরণ,পরিবহন, বিক্রি ও বাজারজাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। প্রজনন মৌসুম শেষে গত ২৬ অক্টোবর ভারতে ইলিশ রপ্তানির সময় বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।