ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

সচেতনতার কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে

  • আপডেট সময় : ১২:১৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা : দেশে রাজস্ব আয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই সরকারের কোষাগার স্ফীত হয়েছে, যা দিয়ে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণসহ সরকার সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছে। একইসঙ্গে কমেছে বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা। ভ্যাট ও ট্যাক্স দেওয়ার বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে বলেই এটি সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (পরিসংখ্যান ও গবেষণা) মহাপরিচালক মো. আনোয়ার হোসাইন।
‘সারাবাংলা লিগ্যাল চেম্বারস পাওয়ার্ড বাই প্রিমিয়ার ব্যাংক’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের পর্বটিতে আলোচনার বিষয় ছিল ‘ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানে মানুষ কতটুকু সচেতন’। এবারের পর্বে এনবিআর মহাপরিচালকের সঙ্গে সম্মানিত আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ্ মনজুরুল হক। আলোচনায় এনবিআর মহাপরিচালক বলেন, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) পরোক্ষ কর ব্যবস্থা। আইন অনুযায়ী ভোক্তা এই কর দেবেন। যেকোনো ধরনের পণ্য বা সেবার ওপর নির্দিষ্ট হারে এই ভ্যাট দেওয়া হয়। আধুনিক এই ব্যবস্থা প্রতিবেশী দেশগুলোতে অনেক আগে চালু হলেও বাংলাদেশে প্রথম চালু হয় ১৯৯১ সালে। এই ব্যবস্থায় ভ্যাট সংগ্রহীতা (ব্যবসায়ী, বিক্রেতা) ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করে সরকারের কাছে জমা দেয়। তিনি বলেন, এরপর থেকে গত ৩০ বছরে মানুষ এই ভ্যাট দিতে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কর আদায়ের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ক্রেতা-বিক্রেতা (যিনি সরকারের হয়ে ভ্যাট আদায় করেন) সব পক্ষই এ বিষয়ে বেশ সচেতন হয়েছে। ফলে সত্তরের দশকে দেশে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো, এখন তার চেয়ে কয়েকশ গুণ বেশি রাজস্ব আদায় হচ্ছে। বর্তমানে এর পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। আনোয়ার হোসাইন বলেন, প্রতিবছর কর আদায়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি ঘটছে বাংলাদেশে। মানুষের কর সচেতনতা বেড়েছে বলেই এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। ফলে উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহ সম্ভব হচ্ছে নিজস্ব আয় থেকেই। জনগণের আগ্রহ ও সচেতনতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। দিন দিন কর দেওয়ার প্রতি মানুষের এই সচেতনতা বাড়ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই ধরনের কর ব্যবস্থায় মানুষকে কর দিতে বেশি খরচ করতে হচ্ছে এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই। এনবিআর মহাপরিচালক আনোয়ার হোসাইন বলেন, অনেকেই ভাবেন দুই ধরনের কর ব্যবস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে তুলনামূলকভাবে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু এই দুই ধরনের করের মধ্যে প্রত্যক্ষ কর হলো আয়কর। অন্যদিকে পরোক্ষ কর হলো মূসক বা ভ্যাট, যা মূলত ব্যয়কর। একটির মাধ্যমে মানুষ তার আয়ের ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে কর দেয়, অন্যটিতে তাদের কর দিতে হয় কেনাকাটার ওপর। এটি ক্রেতার ওপর বাড়তি কোনো চাপ নয়। তিনি বলেন, কোনো বিক্রেতা যদি ট্যাক্স বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নেয় বা সরকারকে সেই কর না দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। অনেক সময় ট্যাক্স ফাঁকি দিতে কোনো কোনো বিক্রেতা পণ্য বা সেবা বিক্রির সময় ক্রেতাকে বলে থাকেন, ভ্যাট না দিলে দাম কম হবে। এরকম প্রলোভন বেআইনি। এখানে ক্রেতাকেও সচেতন হতে হবে, যেন তাদের দেওয়া ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়। অ্যাডভোকেট শাহ্ মঞ্জুরুল হক বলেন, রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন ব্যয়সহ অন্যান্য পরিচালন ব্যয় নির্বাহ হয়। এটি ছাড়াও অন্যান্য উপায়েও সরকারকে টাকা উপার্জন করতে হয়। তবে সবচেয়ে বড় আয়ের মাধ্যম রাজস্ব আয়। এটি দুইভাবে আদায় হয়, আয়কর এবং ব্যয়ের ওপর কর বা মূসক। মূসক বা মূল্য সংযোজন কর পণ্য ও ব্যবসাভেদে ৪ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ১৯৯১ সালে জাতীয় রাজস্ব আইন ও ২০১২ সালে আনা সংশোধনীর পর একজন বিক্রেতা ক্রেতার কাছ থেকে এই ভ্যাট আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেন। তিনি বলেন, সাধারণ কাঁচাবাজার বা মুদি দোকানে এই পদ্ধতি না থাকলেও শপিং মল, গ্রোসারি স্টোর বা অন্যান্য দোকানে ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করা হয়। সেই টাকা সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া তার দায়িত্ব। না দিলে তিনি আইনের চোখে অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন। এখানে তিনি ভ্যাট আদায়কারী, এর ভোগকারী নন। এই টাকা দিয়েই সরকারি ব্যয় নির্বাহ হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভ্যাটগ্রহীতারা সরকারি কোষাগারে ভ্যাটের টাকা ঠিকভাবে জমা দেন না। এর জন্য তারা দুইটি ব্যাংক হিসাব রাখেন। একটি হিসাবে ভ্যাটের টাকা গ্রহণ করেন, অন্যটিতে অন্য আয়ের টাকা। এভাবে সরাকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করেন অনেকেই। তিনি বলেন, ভ্যাট প্রতিদিন দেওয়া হলেও ট্যাক্স প্রতিদিনের বিষয় নয়। বছরে একবারই আয়কর দিতে হয়। ব্যক্তিগত আয় ও করপোরেট আয়ের জন্য এটি আলাদা আলাদা হারে নির্ধারিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, সমালোচনা আছে— আমাদের দেশে সক্ষম মানুষের সংখ্যা অনুযায়ী আয়করের নিবন্ধনকারী কম। সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্যাক্স দেওয়া নিয়ে নানা ভীতি আছে। তারা মনে করেন, আয়কর একবার দিলেই বোধহয় বছর বছর ট্যাক্স কর্মকর্তারা হয়রানি করবেন। অনেকসময় আইনজীবীরাও মানুষকে ভুল বোঝান বা ভয় দেখান। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত আয়কর মেলার আয়োজনকে তিনি সাধুবাদ জানান। শাহ্ মনজুরুল হক বলেন, এই মেলার মাধ্যমে মানুষের আয়কর দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাচ্ছে। তারা আয়কর দিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তবে জনসচেতনতা বাড়াতে এই কার্যক্রম আরও ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। শুধু সরকারিভাবে সচেতনতা তৈরিই নয়, জনগণের নিজেরও সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এক নারীকে দুই ভাই বিয়ে করে বললেন- আমরা গর্বিত

সচেতনতার কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে

আপডেট সময় : ১২:১৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

বিশেষ সংবাদদাতা : দেশে রাজস্ব আয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই সরকারের কোষাগার স্ফীত হয়েছে, যা দিয়ে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণসহ সরকার সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছে। একইসঙ্গে কমেছে বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরতা। ভ্যাট ও ট্যাক্স দেওয়ার বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে বলেই এটি সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (পরিসংখ্যান ও গবেষণা) মহাপরিচালক মো. আনোয়ার হোসাইন।
‘সারাবাংলা লিগ্যাল চেম্বারস পাওয়ার্ড বাই প্রিমিয়ার ব্যাংক’ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের পর্বটিতে আলোচনার বিষয় ছিল ‘ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদানে মানুষ কতটুকু সচেতন’। এবারের পর্বে এনবিআর মহাপরিচালকের সঙ্গে সম্মানিত আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ্ মনজুরুল হক। আলোচনায় এনবিআর মহাপরিচালক বলেন, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) পরোক্ষ কর ব্যবস্থা। আইন অনুযায়ী ভোক্তা এই কর দেবেন। যেকোনো ধরনের পণ্য বা সেবার ওপর নির্দিষ্ট হারে এই ভ্যাট দেওয়া হয়। আধুনিক এই ব্যবস্থা প্রতিবেশী দেশগুলোতে অনেক আগে চালু হলেও বাংলাদেশে প্রথম চালু হয় ১৯৯১ সালে। এই ব্যবস্থায় ভ্যাট সংগ্রহীতা (ব্যবসায়ী, বিক্রেতা) ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করে সরকারের কাছে জমা দেয়। তিনি বলেন, এরপর থেকে গত ৩০ বছরে মানুষ এই ভ্যাট দিতে অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কর আদায়ের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ক্রেতা-বিক্রেতা (যিনি সরকারের হয়ে ভ্যাট আদায় করেন) সব পক্ষই এ বিষয়ে বেশ সচেতন হয়েছে। ফলে সত্তরের দশকে দেশে যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় হতো, এখন তার চেয়ে কয়েকশ গুণ বেশি রাজস্ব আদায় হচ্ছে। বর্তমানে এর পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকার বেশি। আনোয়ার হোসাইন বলেন, প্রতিবছর কর আদায়ের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি ঘটছে বাংলাদেশে। মানুষের কর সচেতনতা বেড়েছে বলেই এই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। ফলে উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহ সম্ভব হচ্ছে নিজস্ব আয় থেকেই। জনগণের আগ্রহ ও সচেতনতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। দিন দিন কর দেওয়ার প্রতি মানুষের এই সচেতনতা বাড়ছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুই ধরনের কর ব্যবস্থায় মানুষকে কর দিতে বেশি খরচ করতে হচ্ছে এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই। এনবিআর মহাপরিচালক আনোয়ার হোসাইন বলেন, অনেকেই ভাবেন দুই ধরনের কর ব্যবস্থার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে তুলনামূলকভাবে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু এই দুই ধরনের করের মধ্যে প্রত্যক্ষ কর হলো আয়কর। অন্যদিকে পরোক্ষ কর হলো মূসক বা ভ্যাট, যা মূলত ব্যয়কর। একটির মাধ্যমে মানুষ তার আয়ের ওপর একটি নির্দিষ্ট হারে কর দেয়, অন্যটিতে তাদের কর দিতে হয় কেনাকাটার ওপর। এটি ক্রেতার ওপর বাড়তি কোনো চাপ নয়। তিনি বলেন, কোনো বিক্রেতা যদি ট্যাক্স বাবদ ক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নেয় বা সরকারকে সেই কর না দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে। অনেক সময় ট্যাক্স ফাঁকি দিতে কোনো কোনো বিক্রেতা পণ্য বা সেবা বিক্রির সময় ক্রেতাকে বলে থাকেন, ভ্যাট না দিলে দাম কম হবে। এরকম প্রলোভন বেআইনি। এখানে ক্রেতাকেও সচেতন হতে হবে, যেন তাদের দেওয়া ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়। অ্যাডভোকেট শাহ্ মঞ্জুরুল হক বলেন, রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন ব্যয়সহ অন্যান্য পরিচালন ব্যয় নির্বাহ হয়। এটি ছাড়াও অন্যান্য উপায়েও সরকারকে টাকা উপার্জন করতে হয়। তবে সবচেয়ে বড় আয়ের মাধ্যম রাজস্ব আয়। এটি দুইভাবে আদায় হয়, আয়কর এবং ব্যয়ের ওপর কর বা মূসক। মূসক বা মূল্য সংযোজন কর পণ্য ও ব্যবসাভেদে ৪ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। ১৯৯১ সালে জাতীয় রাজস্ব আইন ও ২০১২ সালে আনা সংশোধনীর পর একজন বিক্রেতা ক্রেতার কাছ থেকে এই ভ্যাট আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেন। তিনি বলেন, সাধারণ কাঁচাবাজার বা মুদি দোকানে এই পদ্ধতি না থাকলেও শপিং মল, গ্রোসারি স্টোর বা অন্যান্য দোকানে ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করা হয়। সেই টাকা সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া তার দায়িত্ব। না দিলে তিনি আইনের চোখে অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন। এখানে তিনি ভ্যাট আদায়কারী, এর ভোগকারী নন। এই টাকা দিয়েই সরকারি ব্যয় নির্বাহ হবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ভ্যাটগ্রহীতারা সরকারি কোষাগারে ভ্যাটের টাকা ঠিকভাবে জমা দেন না। এর জন্য তারা দুইটি ব্যাংক হিসাব রাখেন। একটি হিসাবে ভ্যাটের টাকা গ্রহণ করেন, অন্যটিতে অন্য আয়ের টাকা। এভাবে সরাকারকে রাজস্ব বঞ্চিত করেন অনেকেই। তিনি বলেন, ভ্যাট প্রতিদিন দেওয়া হলেও ট্যাক্স প্রতিদিনের বিষয় নয়। বছরে একবারই আয়কর দিতে হয়। ব্যক্তিগত আয় ও করপোরেট আয়ের জন্য এটি আলাদা আলাদা হারে নির্ধারিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, সমালোচনা আছে— আমাদের দেশে সক্ষম মানুষের সংখ্যা অনুযায়ী আয়করের নিবন্ধনকারী কম। সাধারণ মানুষের মধ্যে ট্যাক্স দেওয়া নিয়ে নানা ভীতি আছে। তারা মনে করেন, আয়কর একবার দিলেই বোধহয় বছর বছর ট্যাক্স কর্মকর্তারা হয়রানি করবেন। অনেকসময় আইনজীবীরাও মানুষকে ভুল বোঝান বা ভয় দেখান। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়োজিত আয়কর মেলার আয়োজনকে তিনি সাধুবাদ জানান। শাহ্ মনজুরুল হক বলেন, এই মেলার মাধ্যমে মানুষের আয়কর দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাচ্ছে। তারা আয়কর দিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। তবে জনসচেতনতা বাড়াতে এই কার্যক্রম আরও ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। শুধু সরকারিভাবে সচেতনতা তৈরিই নয়, জনগণের নিজেরও সচেতন হওয়া উচিত বলে মনে করেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।