ঢাকা ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা থেকে বিচারপতি মানিককে অপসারণের দাবি

  • আপডেট সময় : ০৯:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ থেকে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে অপসারণের দাবি করেছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও মার্চেন্টরা।
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে মানববন্ধন থেকে তারা এই দাবি করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ইভ্যালি নিয়ে ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। তিনি ই-কমার্স সম্পর্কে কিছুই জানেন না।’
অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতিকে ইভ্যালির দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে অন্য কাউকে এই পদে নিয়ে আসতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানান গ্রাহকেরা। গ্রেপ্তার হওয়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে মুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব দিতেও দাবি জানান তারা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থ আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহকের মামলায় তারা গ্রেপ্তার হন। ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেন উচ্চ আদালত। ১১ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে সব নথি দাখিল করেন জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার।
১২ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি করে দেওয়ার কথা বলেন হাইকোর্ট। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ও একজন আইনজীবীকে কমিটিতে রাখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন আদালত।
১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
গত ২৬ অক্টোবর দেওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কিছু বক্তব্যের সমালোচনা করেন ইভ্যালি গ্রাহকেরা। তার বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে ইতিমধ্যে তাকে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে। সেদিন আলোচিত এই বিচারপতি বলেছিলেন, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার করেছেন। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তার স্ত্রী তথা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও শ্যালিকা সাবরিনা নাসরিন। সেদিন তিনি জানান, টাকার সুনির্দিষ্ট পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। ইভ্যালির বর্তমান অবস্থা, দায়দেনা, সম্পদের পরিমাণ নিরীক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে তা নিরীক্ষকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। বিচারপতি মানিক বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, ইভ্যালির প্রত্যেক কর্মীর কাছে একটি করে ল্যাপটপ ছিল; তারা এসব ল্যাপটপ নিয়ে চলে গেছে। সেগুলো উদ্ধার করা হবে। কারণ এগুলো ইভ্যালির সম্পদ। এর বাইরে অনেক সম্পদ আছে; সেসব সম্পদ উদ্ধার করব। চেকের একটি লিস্ট পেয়েছি। এগুলো যাদের কাছে আছে, তাদের ডাকব। যদি না আসে, প্রয়োজনে যেভাবে আসে, সেভাবে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা থেকে বিচারপতি মানিককে অপসারণের দাবি

আপডেট সময় : ০৯:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পর্ষদ থেকে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে অপসারণের দাবি করেছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক ও মার্চেন্টরা।
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে মানববন্ধন থেকে তারা এই দাবি করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ইভ্যালি নিয়ে ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন। তিনি ই-কমার্স সম্পর্কে কিছুই জানেন না।’
অবসরপ্রাপ্ত এই বিচারপতিকে ইভ্যালির দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে অন্য কাউকে এই পদে নিয়ে আসতে আদালতের প্রতি অনুরোধ জানান গ্রাহকেরা। গ্রেপ্তার হওয়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে মুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব দিতেও দাবি জানান তারা। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থ আত্মসাতের মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহকের মামলায় তারা গ্রেপ্তার হন। ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। ৩০ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির সব নথি তলব করেন উচ্চ আদালত। ১১ অক্টোবর বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চে সব নথি দাখিল করেন জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রেজিস্ট্রার।
১২ অক্টোবর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য কমিটি করে দেওয়ার কথা বলেন হাইকোর্ট। একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, একজন সচিব, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ও একজন আইনজীবীকে কমিটিতে রাখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন আদালত।
১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
গত ২৬ অক্টোবর দেওয়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কিছু বক্তব্যের সমালোচনা করেন ইভ্যালি গ্রাহকেরা। তার বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে ইতিমধ্যে তাকে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে। সেদিন আলোচিত এই বিচারপতি বলেছিলেন, ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল হাজার কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার করেছেন। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তার স্ত্রী তথা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও শ্যালিকা সাবরিনা নাসরিন। সেদিন তিনি জানান, টাকার সুনির্দিষ্ট পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। ইভ্যালির বর্তমান অবস্থা, দায়দেনা, সম্পদের পরিমাণ নিরীক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে তা নিরীক্ষকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। বিচারপতি মানিক বলেছিলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, ইভ্যালির প্রত্যেক কর্মীর কাছে একটি করে ল্যাপটপ ছিল; তারা এসব ল্যাপটপ নিয়ে চলে গেছে। সেগুলো উদ্ধার করা হবে। কারণ এগুলো ইভ্যালির সম্পদ। এর বাইরে অনেক সম্পদ আছে; সেসব সম্পদ উদ্ধার করব। চেকের একটি লিস্ট পেয়েছি। এগুলো যাদের কাছে আছে, তাদের ডাকব। যদি না আসে, প্রয়োজনে যেভাবে আসে, সেভাবে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’