ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

যথাযথ নিয়ম মেনেই দুই আসামির ফাঁসি হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় দুই আসামির আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকরের অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী তাদের ফাঁসি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কোনো আপিল পেন্ডিং ছিল বলে আমাদের জানা নেই। ফাঁসি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সিস্টেমের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় ঝড়ু ও মকিম নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগে তাদের দ- কার্যকর হয়েছে বলছেন তাদের আইনজীবী। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা আপিলটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হলে আইনজীবী স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারেন, চার বছর আগে ২০১৭ সালেই দ- কার্যকর হয়ে গেছে। আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের জানা মতে এইরকম ঘটনা ঘটেনি। প্রথম কথা হলো এই, ফাঁসির ক্ষেত্রে একটা প্রসিডিউর আছে। যিনি ফাঁসির দ-প্রাপ্ত হন, প্রথমে তিনি আপিল করতে পারেন। তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন। আপিল না মঞ্জুর হওয়াতে তিনি আবার আপিল বিভাগে আপিল করেছেন। জেল থেকে তিনি আপিল করেছেন, যেটাকে জেল আপিল বলে। জেল আপিল নিষ্পন্ন হওয়ার পরে, না মঞ্জুর হওয়ার পরে তিনি সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। এরপর সিস্টেম অনুযায়ী তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে আপিলের যদি খবর থাকতো নিশ্চয়ই সেটার একটা ই…হতো। আমরা যেটুকু দেখেছি, যথাযোগ্য নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে, প্রত্যেকটি স্টেপের পর যে স্টেপ সেই স্টেপই আসছে। কোনো আপিল পেন্ডিং ছিল বলে আমাদের কিংবা কারা কর্তৃপক্ষের জানা নেই। তবে সমস্যা কোথায় হয়েছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এটা বলতে পারবো না। যথাযথ নিয়মের মধ্যেই তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এখন যদি কেউ কিছু বলে থাকেন, সেটা আমাদের জানা নেই। কারা কর্তৃপক্ষের কাছেও কোনো নিষেধাজ্ঞা কিংবা কিছু আসেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যে সিস্টেম সেই সিস্টেমে কোন ব্যত্যয় হয়নি।
অভিযোগ সঠিক নয়, দাবি আইনমন্ত্রীর: এদিকে, দুই আসামির আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করার অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, তাদের আপিল শুনানি হয়েছে, তাদের জেল আপিল ছিল, জেল আপিল শুনানি হয়েছে এবং জেল আপিল শুনানির পর তাদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার অধিকার যেটা আছে তা দেওয়া হয়েছিল। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দেওয়ার পর তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এই যে খবরটা, এটা বোধহয় সঠিক নয়। চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় ঝড়ু ও মকিম নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগে তাদের দ- কার্যকর হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাদের আইনজীবী। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা আপিলটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হলে আইনজীবী স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারেন, চার বছর আগে ২০১৭ সালেই দ- কার্যকর হয়ে গেছে। আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে তাদের মৃত্যুদ-াদেশ কনফার্ম করা হয়েছিল। এবং তারা একটা জেল আপিল করেছিলেন। জেল আপিলটা শুনানি শেষে, এই বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টের রায় সেটাকে বহাল রাখা হয়। এরপর মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। সেই আবেদন নাকচ করার পরে ওদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মন্ত্রী তার বক্তব্যের সপক্ষে যশোর কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের দলিলপত্রাদি থেকে পড়ে শোনান। তিনি বলেন, যে ঘটনাটা হয়েছে, আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি এটা বলতে পারি। জেল আপিলের যখন শুনানি হয় তখন আদালতে কিন্তু কোনো আইনজীবী থাকেন না। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা নিজস্ব একটা ফরমেটে জেল আপিলটা লেখেন। তাদের লেখাটা বিচারপতিদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিচারপতিরা এগুলো পড়েন। পড়ে যদি কোনো কাগজপত্র এর সঙ্গে দেওয়া হয়ে থাকে, সেই কাগজপত্রগুলো তারা দেখেন। অবশ্যই হাইকোর্ট ডিভিশনের রেকর্ডটা তাদের সামনে থাকে, সেগুলোও তারা দেখেন। এভাবে তারা শুনানি করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। জেল আপিলগুলো নিষ্পত্তি করেন। আমার মনে হয় ভুলটা হয়েছে…ভুল বলতে এই মামলার প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল হয়নি, এখন যে বিভ্রান্তি ঘটেছে সেটার ব্যাপারটা সেটা হচ্ছে যে, কোনো একসময় হয়তো একটা আপিল কেউ দাখিল করেছিল। আমি আমার ওকালতি জীবনে যেটা দেখেছি, এইরকম একটা আপিল যদি দাখিল করা হয় কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে, জেল আপিলও যদি থাকে তাহলে দুটো একসঙ্গে হয়ে যায়। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না আপিলটা কবে দাখিল করা হয়েছিল। কেন জেল আপিলটা নরমাল যে আপিল করা হয়েছে সেটার সঙ্গে একসঙ্গে হলো না। সেটা ভিন্ন বিষয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যথাযথ নিয়ম মেনেই দুই আসামির ফাঁসি হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১

চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় দুই আসামির আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকরের অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী তাদের ফাঁসি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কোনো আপিল পেন্ডিং ছিল বলে আমাদের জানা নেই। ফাঁসি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সিস্টেমের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় ঝড়ু ও মকিম নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগে তাদের দ- কার্যকর হয়েছে বলছেন তাদের আইনজীবী। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা আপিলটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হলে আইনজীবী স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারেন, চার বছর আগে ২০১৭ সালেই দ- কার্যকর হয়ে গেছে। আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের জানা মতে এইরকম ঘটনা ঘটেনি। প্রথম কথা হলো এই, ফাঁসির ক্ষেত্রে একটা প্রসিডিউর আছে। যিনি ফাঁসির দ-প্রাপ্ত হন, প্রথমে তিনি আপিল করতে পারেন। তিনি হাইকোর্টে আপিল করেছেন। আপিল না মঞ্জুর হওয়াতে তিনি আবার আপিল বিভাগে আপিল করেছেন। জেল থেকে তিনি আপিল করেছেন, যেটাকে জেল আপিল বলে। জেল আপিল নিষ্পন্ন হওয়ার পরে, না মঞ্জুর হওয়ার পরে তিনি সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করেছেন। এরপর সিস্টেম অনুযায়ী তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখানে আপিলের যদি খবর থাকতো নিশ্চয়ই সেটার একটা ই…হতো। আমরা যেটুকু দেখেছি, যথাযোগ্য নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে, প্রত্যেকটি স্টেপের পর যে স্টেপ সেই স্টেপই আসছে। কোনো আপিল পেন্ডিং ছিল বলে আমাদের কিংবা কারা কর্তৃপক্ষের জানা নেই। তবে সমস্যা কোথায় হয়েছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এটা বলতে পারবো না। যথাযথ নিয়মের মধ্যেই তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এখন যদি কেউ কিছু বলে থাকেন, সেটা আমাদের জানা নেই। কারা কর্তৃপক্ষের কাছেও কোনো নিষেধাজ্ঞা কিংবা কিছু আসেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের যে সিস্টেম সেই সিস্টেমে কোন ব্যত্যয় হয়নি।
অভিযোগ সঠিক নয়, দাবি আইনমন্ত্রীর: এদিকে, দুই আসামির আপিল শুনানির আগে মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করার অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। তিনি বলেন, তাদের আপিল শুনানি হয়েছে, তাদের জেল আপিল ছিল, জেল আপিল শুনানি হয়েছে এবং জেল আপিল শুনানির পর তাদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার অধিকার যেটা আছে তা দেওয়া হয়েছিল। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দেওয়ার পর তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। এই যে খবরটা, এটা বোধহয় সঠিক নয়। চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় ঝড়ু ও মকিম নামের দুই আসামির নিয়মিত আপিল নিষ্পত্তির আগে তাদের দ- কার্যকর হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাদের আইনজীবী। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে করা আপিলটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হলে আইনজীবী স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারেন, চার বছর আগে ২০১৭ সালেই দ- কার্যকর হয়ে গেছে। আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে তাদের মৃত্যুদ-াদেশ কনফার্ম করা হয়েছিল। এবং তারা একটা জেল আপিল করেছিলেন। জেল আপিলটা শুনানি শেষে, এই বিচারিক আদালত এবং হাইকোর্টের রায় সেটাকে বহাল রাখা হয়। এরপর মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। সেই আবেদন নাকচ করার পরে ওদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মন্ত্রী তার বক্তব্যের সপক্ষে যশোর কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের দলিলপত্রাদি থেকে পড়ে শোনান। তিনি বলেন, যে ঘটনাটা হয়েছে, আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি এটা বলতে পারি। জেল আপিলের যখন শুনানি হয় তখন আদালতে কিন্তু কোনো আইনজীবী থাকেন না। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিরা নিজস্ব একটা ফরমেটে জেল আপিলটা লেখেন। তাদের লেখাটা বিচারপতিদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিচারপতিরা এগুলো পড়েন। পড়ে যদি কোনো কাগজপত্র এর সঙ্গে দেওয়া হয়ে থাকে, সেই কাগজপত্রগুলো তারা দেখেন। অবশ্যই হাইকোর্ট ডিভিশনের রেকর্ডটা তাদের সামনে থাকে, সেগুলোও তারা দেখেন। এভাবে তারা শুনানি করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। জেল আপিলগুলো নিষ্পত্তি করেন। আমার মনে হয় ভুলটা হয়েছে…ভুল বলতে এই মামলার প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল হয়নি, এখন যে বিভ্রান্তি ঘটেছে সেটার ব্যাপারটা সেটা হচ্ছে যে, কোনো একসময় হয়তো একটা আপিল কেউ দাখিল করেছিল। আমি আমার ওকালতি জীবনে যেটা দেখেছি, এইরকম একটা আপিল যদি দাখিল করা হয় কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে, জেল আপিলও যদি থাকে তাহলে দুটো একসঙ্গে হয়ে যায়। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না আপিলটা কবে দাখিল করা হয়েছিল। কেন জেল আপিলটা নরমাল যে আপিল করা হয়েছে সেটার সঙ্গে একসঙ্গে হলো না। সেটা ভিন্ন বিষয়।