আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফগানিস্তান ছাড়ার আগমুহূর্তে সন্দেহভাজন আইএস সদস্যদের গাড়ি লক্ষ্য করে কাবুলে একটি ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় ১০ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারায়। এ ঘটনায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন একটি তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে গত বুধবার পেন্টাগনের মহাপরিদর্শক ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ওই ড্রোন হামলা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো আইন লঙ্ঘন করেনি।
গত ২৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র ওই ড্রোন হামলা চালায়। এতে তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সাতজন শিশু নিহত হয়। নিহত তিন প্রাপ্তবয়স্কের একজন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সাহায্য সংস্থার হয়ে কাজ করতেন।
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের আফগানিস্তান শাখার (আইএস-কে) সন্দেহভাজন হামলাকারীদের ব্যবহৃত গাড়ি ও বাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানোর কথা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মার্কিন ড্রোন হামলায় বেসামরিক আফগান নাগরিক নিহত হওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র।
ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে মার্কিন বিমানবাহিনীর মহাপরিদর্শক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি ডি সেইড বলেছেন, তদন্তে যুদ্ধসংক্রান্ত আইনসহ কোনো আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নিশ্চিতকরণসহ নানা ভুলে দুঃখজনক এ ঘটনা ঘটেছে। সত্যিকার অর্থেই এটা ছিল ভুল। তবে এটা অপরাধমূলক কর্মকা- ছিল না।
জেনারেল সামি আরও বলেন, ড্রোন হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিশ্বাস ছিল যে শিগগির একটি জঙ্গি হামলা হতে পারে। আর আসন্ন সেই জঙ্গি হামলা ঠেকাতেই তাঁরা ড্রোন হামলা চালান।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের জন্য হুমকি বিবেচনা করেই ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু ড্রোন হামলার চালানোর জন্য পাওয়া তথ্য ঠিক ছিল না। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনুতপ্ত।
কাবুলে ‘ভুল’ ড্রোন হামলাকে ‘বৈধ’ বলছে যুক্তরাষ্ট্র
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ