ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মার্কিন আগ্রাসনের পর থেকে ইরাকের ১৫০ বিলিয়ন ডলার পাচার

  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে আগ্রাসন চালানো হয়। সেই আগ্রাসনের পর থেকে ইরাকের ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে। ইরাকের প্রেসিডেন্ট বাহরাম সালিহ গত রোববার এ তথ্য দিয়েছেন বলে সিএনএন অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়। ইরাকের প্রেসিডেন্ট বাহরাম গতকাল টেলিভিশনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি বলেন, ২০০৩ সালের পর তেল খাত থেকে প্রায় এক হাজার বিলিয়ন ডলার আসে। তেলের অর্থ থেকে চুরি হওয়া প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার ইরাকের বাইরে পাচার হয়েছে।
ইরাকের পার্লামেন্টে দুর্নীতির অর্থ পুনরুদ্ধারসংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া জমা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাহরাম। এমন প্রেক্ষাপটে তাঁর কাছ থেকে দুর্নীতির বিষয়ে ওই বক্তব্য এল। প্রস্তাবিত আইনটির উদ্দেশ্য হলো দুর্নীতির মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার ও দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ইরাকের সক্ষমতা বাড়ানো।
প্রেসিডেন্ট বাহরামের ভাষ্য, আইনটি পাস হলে ইরাক থেকে চুরি বা পাচার হওয়া অর্থ বিভিন্ন সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে। প্রেসিডেন্ট বাহরাম ইরাকি আইনপ্রণেতাদের প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে আলোচনা ও তা অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরাকের আর্থিক উন্নয়নে চুরি হওয়া অর্থই যথেষ্ট। বাহরাম বলেন, দুর্নীতির চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে কম বিপজ্জনক নয়।
২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন চালানো যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার সেনা বর্তমানে সে দেশে রয়েছেন। এখন এই সেনাদের কাজের মূল ক্ষেত্র হচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস নির্মূল। জো বাইডেন প্রশাসন ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বর ধরেই নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি

মার্কিন আগ্রাসনের পর থেকে ইরাকের ১৫০ বিলিয়ন ডলার পাচার

আপডেট সময় : ১১:৫৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইরাকে আগ্রাসন চালানো হয়। সেই আগ্রাসনের পর থেকে ইরাকের ১৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের অর্থ দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেছে। ইরাকের প্রেসিডেন্ট বাহরাম সালিহ গত রোববার এ তথ্য দিয়েছেন বলে সিএনএন অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়। ইরাকের প্রেসিডেন্ট বাহরাম গতকাল টেলিভিশনে ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি বলেন, ২০০৩ সালের পর তেল খাত থেকে প্রায় এক হাজার বিলিয়ন ডলার আসে। তেলের অর্থ থেকে চুরি হওয়া প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ডলার ইরাকের বাইরে পাচার হয়েছে।
ইরাকের পার্লামেন্টে দুর্নীতির অর্থ পুনরুদ্ধারসংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া জমা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাহরাম। এমন প্রেক্ষাপটে তাঁর কাছ থেকে দুর্নীতির বিষয়ে ওই বক্তব্য এল। প্রস্তাবিত আইনটির উদ্দেশ্য হলো দুর্নীতির মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধার ও দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ইরাকের সক্ষমতা বাড়ানো।
প্রেসিডেন্ট বাহরামের ভাষ্য, আইনটি পাস হলে ইরাক থেকে চুরি বা পাচার হওয়া অর্থ বিভিন্ন সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে। প্রেসিডেন্ট বাহরাম ইরাকি আইনপ্রণেতাদের প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে আলোচনা ও তা অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরাকের আর্থিক উন্নয়নে চুরি হওয়া অর্থই যথেষ্ট। বাহরাম বলেন, দুর্নীতির চ্যালেঞ্জ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে কম বিপজ্জনক নয়।
২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন চালানো যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার সেনা বর্তমানে সে দেশে রয়েছেন। এখন এই সেনাদের কাজের মূল ক্ষেত্র হচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস নির্মূল। জো বাইডেন প্রশাসন ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চেষ্টা করছে।