ঢাকা ০৩:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গে চার আসনে উপনির্বাচন, বিজেপি-তৃণমূল লড়াইয়ের আভাস

  • আপডেট সময় : ১১:২০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার চার আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সকাল সাতটায় কঠোর নিরাপত্তা ও করোনাবিধি মেনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। আসন চারটি হলো উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহ, নদীয়ার শান্তিপুর, কোচবিহারের দিনহাটা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা।
চার আসনে মূলত বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই হবে বলে আভাস মিলছে। তবে নির্বাচনী মাঠ ছাড়ছে না কংগ্রেস ও বাম দল। তৃণমূলের লক্ষ্য চার আসনে জয়ী হয়ে বিরোধীদের শূন্য হাতে ফেরানো। এদিকে বিজেপির লক্ষ্য তাদের হাতে থাকা কোচবিহারের দিনহাটা ও নদীয়ার শান্তিপুর আসন ধরে রাখা।
কংগ্রেস ও বাম দল প্রার্থী দিলেও নির্বাচনী লড়াইয়ের মূল প্রতিযোগিতায় থাকবে না বলে সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। উপনির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা হবে ২ নভেম্বর।
এদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য নির্বাচন কমিশন চার আসনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯৪ কোম্পানি মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া রয়েছে রাজ্য পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের দিনহাটা ও নদীয়ার শান্তিপুর আসনে জয় পান বিজেপিদলীয় লোকসভার দুই এমপি নিশীথ অধিকারী ও জগন্নাথ সরকার। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে তাঁরা আবার সাংসদ পদে ফিরে যান। ফলে তাঁদের ওই আসন দুটি শূন্য হয়।
এ ছাড়া উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহ আসনের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা ২ মে ফলাফল ঘোষণার আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা আসন শূন্য হয় তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে। গত জুনে তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
দিনহাটায় মূলত লড়াই হবে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী অশোক ম-লের। শান্তিপুরে তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামীর বিপক্ষে বিজেপির প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহ আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত ম-লের বিপক্ষে লড়ছেন বিজেপি প্রার্থী পলাশ রাহার।
পশ্চিমবঙ্গে এবার বিধানসভা নির্বাচনের পর আরও তিনটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। আসনগুলো হলো দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুর। তিন আসনে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন।
এবারের উপনির্বাচনে তৃণমূল ৪-০ ব্যবধানে জিততে চাইছে। বিজেপির লক্ষ্য তাদের জেতা দুটি আসন ধরে রাখা। কংগ্রেস ও বাম দলও চাইছে এই চার আসনে নতুন করে তাদের দলের খাতা খুলতে। ফলে চার আসনের উপনির্বাচনের লড়াই জমে উঠেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পশ্চিমবঙ্গে চার আসনে উপনির্বাচন, বিজেপি-তৃণমূল লড়াইয়ের আভাস

আপডেট সময় : ১১:২০:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার চার আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সকাল সাতটায় কঠোর নিরাপত্তা ও করোনাবিধি মেনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। আসন চারটি হলো উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহ, নদীয়ার শান্তিপুর, কোচবিহারের দিনহাটা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা।
চার আসনে মূলত বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে লড়াই হবে বলে আভাস মিলছে। তবে নির্বাচনী মাঠ ছাড়ছে না কংগ্রেস ও বাম দল। তৃণমূলের লক্ষ্য চার আসনে জয়ী হয়ে বিরোধীদের শূন্য হাতে ফেরানো। এদিকে বিজেপির লক্ষ্য তাদের হাতে থাকা কোচবিহারের দিনহাটা ও নদীয়ার শান্তিপুর আসন ধরে রাখা।
কংগ্রেস ও বাম দল প্রার্থী দিলেও নির্বাচনী লড়াইয়ের মূল প্রতিযোগিতায় থাকবে না বলে সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। উপনির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা হবে ২ নভেম্বর।
এদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য নির্বাচন কমিশন চার আসনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ৯৪ কোম্পানি মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া রয়েছে রাজ্য পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্য।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কোচবিহারের দিনহাটা ও নদীয়ার শান্তিপুর আসনে জয় পান বিজেপিদলীয় লোকসভার দুই এমপি নিশীথ অধিকারী ও জগন্নাথ সরকার। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়ে তাঁরা আবার সাংসদ পদে ফিরে যান। ফলে তাঁদের ওই আসন দুটি শূন্য হয়।
এ ছাড়া উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহ আসনের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা ২ মে ফলাফল ঘোষণার আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা আসন শূন্য হয় তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে। গত জুনে তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
দিনহাটায় মূলত লড়াই হবে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী অশোক ম-লের। শান্তিপুরে তৃণমূলের ব্রজকিশোর গোস্বামীর বিপক্ষে বিজেপির প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। উত্তর চব্বিশ পরগনার খড়দহ আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার গোসাবা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত ম-লের বিপক্ষে লড়ছেন বিজেপি প্রার্থী পলাশ রাহার।
পশ্চিমবঙ্গে এবার বিধানসভা নির্বাচনের পর আরও তিনটি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। আসনগুলো হলো দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর, মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গীপুর। তিন আসনে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে বিপুল ভোটে পরাজিত করেন।
এবারের উপনির্বাচনে তৃণমূল ৪-০ ব্যবধানে জিততে চাইছে। বিজেপির লক্ষ্য তাদের জেতা দুটি আসন ধরে রাখা। কংগ্রেস ও বাম দলও চাইছে এই চার আসনে নতুন করে তাদের দলের খাতা খুলতে। ফলে চার আসনের উপনির্বাচনের লড়াই জমে উঠেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।