ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

অবৈধ কারখানায় তৈরি হচ্ছে নারিকেল তেল

  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁ সংবাদদাতা : নওগাঁয় ফিটনেস লাইসেন্স ছাড়াই আবাসিক এলাকায় স্থাপন করা কারখানায় অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি হচ্ছে নারিকেল তেল। পৌরসভার ট্রেড লাইন্সেস ও বিএসটিআই এর অনুমতি থাকলেও সিভিল সার্জন অফিস এর স্যানিটারি দপ্তর থেকে নেই কারখানার ফিটনেস লাইসেন্স। এতে সাধারণ ভোক্তারা এসব তেল ব্যবহারে পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। অন্যদিকে আবাসিক এলাকায় এমন কারখানা থাকায় ঘটতে পারে যে কোন দুর্ঘটনা। সরেজমিনে দেখা যায়, নওগাঁ শহরের শাহী মসজিদ ফিসারী গেট এলাকার আবাসিক মহল্লার একটি বাড়িতে দুইটি রুমে আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তি নিয়মবর্হিভূত ভাবে গড়ে তুলেছেন নারিকেল তেল তৈরির কারখানা। দেড় বছর যাবৎ তিনি এই কারখানা চালাচ্ছেন। ফাতেমা কেমিকেলের নামে লাইসেন্স নিয়ে বোতলে নারিকেল তেল ভরাট করে পাতা বাহার নামে মোড়কে তিনি নওগাঁসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন। সেখানে আব্দুল জলিল সুইট নামের এক ব্যক্তির ৪টি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন আব্দুল মজিদ। দুটি ঘরে বসবাস করেন পরিবার নিয়ে আর বাঁকি দুটি ঘরে নারিকেল তেলের কারখানা গড়ে তুলেছেন। কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তেল তৈরির সরঞ্জামাদি। রয়েছে দুটি রিপিয়ারিং মেশিন। সেখানেই খোলাবাজার থেকে নিন্মমানের নারিকেল তেল সংগ্রহ করে রিপিয়ারিং করে উন্নত মানের তেল হিসেবে বাজারজাত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নারিকেল তেলের মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নেই কোন ব্যবস্থা। অনেকক্ষণ অপক্ষো করার পর কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দিলেও ভিডিও বা চিত্র ধারনের অনুমতি দেননি কারখানা মালিক আব্দুল মজিদ। এরপর গোপনে কিছু ছবি ধারণ করা হয় কারখানার। কারখানা মালিক আব্দুল মজিদ বলেন, আমি এখানে দেড় বছর থেকে ব্যবসা করছি। ট্রেন্ড লাইসেন্স ও বিএসটিআইয়ের অনুমতি আছে। তবে অন্যকোন দপ্তরের অনুমতি পত্র নেই। আরো যা কাগজপত্র করা লাগে আগামীতে সেগুলো করে ফেলবো। নওগাঁ স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামছুল হক বলেন, পাতাবাহার নামে কোন নারিকেল তেল তৈরির কারখানার ফিটনেস ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধ কারখানায় তৈরি হচ্ছে নারিকেল তেল

আপডেট সময় : ০১:০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২১

নওগাঁ সংবাদদাতা : নওগাঁয় ফিটনেস লাইসেন্স ছাড়াই আবাসিক এলাকায় স্থাপন করা কারখানায় অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি হচ্ছে নারিকেল তেল। পৌরসভার ট্রেড লাইন্সেস ও বিএসটিআই এর অনুমতি থাকলেও সিভিল সার্জন অফিস এর স্যানিটারি দপ্তর থেকে নেই কারখানার ফিটনেস লাইসেন্স। এতে সাধারণ ভোক্তারা এসব তেল ব্যবহারে পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। অন্যদিকে আবাসিক এলাকায় এমন কারখানা থাকায় ঘটতে পারে যে কোন দুর্ঘটনা। সরেজমিনে দেখা যায়, নওগাঁ শহরের শাহী মসজিদ ফিসারী গেট এলাকার আবাসিক মহল্লার একটি বাড়িতে দুইটি রুমে আব্দুল মজিদ নামের এক ব্যক্তি নিয়মবর্হিভূত ভাবে গড়ে তুলেছেন নারিকেল তেল তৈরির কারখানা। দেড় বছর যাবৎ তিনি এই কারখানা চালাচ্ছেন। ফাতেমা কেমিকেলের নামে লাইসেন্স নিয়ে বোতলে নারিকেল তেল ভরাট করে পাতা বাহার নামে মোড়কে তিনি নওগাঁসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন। সেখানে আব্দুল জলিল সুইট নামের এক ব্যক্তির ৪টি ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন আব্দুল মজিদ। দুটি ঘরে বসবাস করেন পরিবার নিয়ে আর বাঁকি দুটি ঘরে নারিকেল তেলের কারখানা গড়ে তুলেছেন। কারখানায় গিয়ে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তেল তৈরির সরঞ্জামাদি। রয়েছে দুটি রিপিয়ারিং মেশিন। সেখানেই খোলাবাজার থেকে নিন্মমানের নারিকেল তেল সংগ্রহ করে রিপিয়ারিং করে উন্নত মানের তেল হিসেবে বাজারজাত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নারিকেল তেলের মান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নেই কোন ব্যবস্থা। অনেকক্ষণ অপক্ষো করার পর কারখানায় প্রবেশের অনুমতি দিলেও ভিডিও বা চিত্র ধারনের অনুমতি দেননি কারখানা মালিক আব্দুল মজিদ। এরপর গোপনে কিছু ছবি ধারণ করা হয় কারখানার। কারখানা মালিক আব্দুল মজিদ বলেন, আমি এখানে দেড় বছর থেকে ব্যবসা করছি। ট্রেন্ড লাইসেন্স ও বিএসটিআইয়ের অনুমতি আছে। তবে অন্যকোন দপ্তরের অনুমতি পত্র নেই। আরো যা কাগজপত্র করা লাগে আগামীতে সেগুলো করে ফেলবো। নওগাঁ স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শামছুল হক বলেন, পাতাবাহার নামে কোন নারিকেল তেল তৈরির কারখানার ফিটনেস ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।