মোঃ ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়া :
নূর নবিজীর আগমনে
এ ধরা হলো ধন্য,
আঠারো হাজার মাখলুকাত
পয়দা হয়েছে তার জন্য।
জন্মের পরে নবী যখন
উঠলেন মায়ের কোলেতে,
শাম সিরিয়ার প্রাসাদ দেখেছেন
মা আমিনা, নবীর নূরেতে।
জন্মের পর চলে গেলেন
দুধ মা হালিমার ঘড়ে
রহমতে ভরপুর হয়ে গেলো
নূর নবিজীর কদম ছোয়ার তরে।
ধরায় এসে দেখতে পাননি
হাসিমাখা বাবার মুখ,
ছয় বছরের শিশু কালেই
হারিয়েছেন মায়ের বুক।
বাবা মাকে হারিয়ে
পালিত হন দাদার ঘড়ে,
আট বছরে দাদাকে হারিয়ে
বড় হলেন চাচার স্নেহ আদরে।
পঁচিশ বছরে করলেন বিয়ে
পবিত্র নারী খাদিজাকে,
হৃদয় উজাড় করে তিনি
প্রচন্ড ভালোবাসতেন তাকে।
চল্লিশ বছরে পেলেন নবুয়্যাত
মগ্ন হয়ে গেলেন দাওয়াতি কাজে,
বহু অত্যাচার সহ্য করেছেন
জন্মভূমি মক্কা নগরীর মাঝে।
বোরাকের পিঠে সাওয়ার হয়ে
চলে গেলেন উর্ধ্ব গগনে,
প্রভুর দিদার পেয়ে
প্রশান্তি কুড়িয়েছেন মনে।
কাফিরের অত্যাচার সইতে না পেরে
হিজরত করলেন সোনার মদিনাতে,
হাজারো কাফের মুসলিম হলো
নূর নবিজীর হাতে।
ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে
অংশগ্রহন করেছেন সাতাশটি যুদ্ধে,
এক হাতে তলোয়ার আরেক হাতে কালিমার পতাকা
তুলে ধরেছেন কাফিরের বিরুদ্ধে।
বিদায় হজ্জের ভাষনে বলেছেন তিনি
তোমাদের মাঝে রেখে যাই সুন্নাহ ও কোরআন,
তাইতো কুরআন সুন্নাহকে
এ হৃদয়ের মাঝে দিয়েছি ¯’ান।
তেষট্টি বছর হায়াত নিয়ে
এসেছিলেন তিনি এ ধরায়
মা আয়েশার কোলে মাথা রেখে
আমাদের থেকে নিয়েছেন চির বিদায়।