নিজস্ব প্রতিবেদক : ছয় দিন পর দেশে তিনশর বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে এক দিনে; নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারও সামান্য বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩০৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। এর আগে সর্বশেষ ২০ অক্টোবর তিনশর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল, তারপর গত ছয় দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুইশ থেকে তিনশর মধ্যেই ছিল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৩ জনে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৭ হাজার ৮৪১ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ২৮৮ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৫ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৮ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। গত ৩১ অগাস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়। এর আগে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তা ২৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তার আগে ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৯ লাখ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২৪ কোটি ৪৩ লাখের বেশি রোগী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ১৯ হাজার ৯৫১ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৮টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা আগের দিন ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ ছিল। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১ জন, রাজশাহী বিভাগের ১ জন এবং খুলনা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। মৃতদের মধ্যে ৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। তাদের মধ্যে ৬ জন সরকারি হাসপাতালে হাসপাতালে এবং ১ জন বেসরকারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।