ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

মাদকের নতুন রুটের বিষয়ে ভারতকে জানালো বাংলাদেশ

  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা মাদকের বিভিন্ন রুটের বিষয়ে দিল্লিকে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। সমুদ্রপথে মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টিও তাদের জানানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সপ্তম দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে মহাপরিচালক আব্দুস সবুর ম-ল। সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকাল পৌনে ৩ টা পর্যন্ত অনলাইনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে আরও ছয়টি দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে মহাপরিচালক আব্দুস সবুর ম-ল বলেন, ভারতের সঙ্গে মাদক পাচারের নতুন নতুন রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের কিছু তথ্য দিয়েছি। তারাও কিছু তথ্য দিয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের সীমান্ত থাকায় উভয়দেশের আন্তর্জাতিক ভাবে গুরুত্ববহন করে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য দুই দেশই ভূমিকা রাখবে। ইয়াবা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভারতের কিছু অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার হয়। সেটিও ভারতকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সাম্প্রতিক মাদক পাচারে সমুদ্রপথ ব্যবহার করা হচ্ছে— এটি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমুদ্রপথে ইয়াবা পাচার বেড়েছে। কারণ স্থলপথগুলোতে কড়াকড়িতে হয়তো সমুদ্রপথে আসছে। ইয়াবার তুলনায় আইস আরও বেশি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এবিষয়ে উভয় দেশে তৎপর রয়েছে বলেও জানান ডিজি। তিনি বলেন, আমাদেরর সমস্যাগুলো ভারতকে বলেছি। তারা সীমান্তের অনেকগুলো ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে মাদক সমস্যা সমাধানে অগ্রসর হতে হবে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, গত ডিসেম্বরে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা আমাদের বিষয়গুলো জানে। মিয়ানমারের সরকার যদি ব্যবস্থা নিতো তাহলে হয়তো এরকম আসতো না। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। উভয় দেশই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংস্থার (বিমসটেক, সার্ক, কমনওয়েলথ ইত্যাদি) সদস্য। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এবং ভারত মাদকদ্রব্য চোরাচালান এবং মাদক সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করছে। সভায় উভয় পক্ষই সমুদ্র পথকে ব্যবহার করে মাদক চোরাচালান এবং মাদক সন্ত্রাসীদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন রুট সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়, কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নীতিমালা ও বিধি-বিধান নিয়ে তথ্য বিনিময়, ফলপ্রসূ অপারেশনের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময়, মাদক বিষয়ক প্রাসঙ্গিক অপরাপর সম্যক তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো আগামীতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বেগবান করবে এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে মাদকদ্রব্য এবং মাদক সন্ত্রাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আরও অধিকতর ভূমিকা রাখবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদকের নতুন রুটের বিষয়ে ভারতকে জানালো বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০১:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত ও মিয়ানমার থেকে আসা মাদকের বিভিন্ন রুটের বিষয়ে দিল্লিকে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। সমুদ্রপথে মাদক চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টিও তাদের জানানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সপ্তম দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে মহাপরিচালক আব্দুস সবুর ম-ল। সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকাল পৌনে ৩ টা পর্যন্ত অনলাইনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে আরও ছয়টি দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে মহাপরিচালক আব্দুস সবুর ম-ল বলেন, ভারতের সঙ্গে মাদক পাচারের নতুন নতুন রুট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের কিছু তথ্য দিয়েছি। তারাও কিছু তথ্য দিয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের সীমান্ত থাকায় উভয়দেশের আন্তর্জাতিক ভাবে গুরুত্ববহন করে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য দুই দেশই ভূমিকা রাখবে। ইয়াবা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভারতের কিছু অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার হয়। সেটিও ভারতকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সাম্প্রতিক মাদক পাচারে সমুদ্রপথ ব্যবহার করা হচ্ছে— এটি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমুদ্রপথে ইয়াবা পাচার বেড়েছে। কারণ স্থলপথগুলোতে কড়াকড়িতে হয়তো সমুদ্রপথে আসছে। ইয়াবার তুলনায় আইস আরও বেশি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এবিষয়ে উভয় দেশে তৎপর রয়েছে বলেও জানান ডিজি। তিনি বলেন, আমাদেরর সমস্যাগুলো ভারতকে বলেছি। তারা সীমান্তের অনেকগুলো ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা করে মাদক সমস্যা সমাধানে অগ্রসর হতে হবে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, গত ডিসেম্বরে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা আমাদের বিষয়গুলো জানে। মিয়ানমারের সরকার যদি ব্যবস্থা নিতো তাহলে হয়তো এরকম আসতো না। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। উভয় দেশই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংস্থার (বিমসটেক, সার্ক, কমনওয়েলথ ইত্যাদি) সদস্য। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এবং ভারত মাদকদ্রব্য চোরাচালান এবং মাদক সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে একযোগে কাজ করছে। সভায় উভয় পক্ষই সমুদ্র পথকে ব্যবহার করে মাদক চোরাচালান এবং মাদক সন্ত্রাসীদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন রুট সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়, কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নীতিমালা ও বিধি-বিধান নিয়ে তথ্য বিনিময়, ফলপ্রসূ অপারেশনের মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময়, মাদক বিষয়ক প্রাসঙ্গিক অপরাপর সম্যক তথ্য বিনিময়ের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো আগামীতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও বেগবান করবে এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে মাদকদ্রব্য এবং মাদক সন্ত্রাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আরও অধিকতর ভূমিকা রাখবে।