নিজস্ব প্রতিবেদক : বহুল আলোচিত ও সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা (আইসিটি) আইনের যে অপব্যবহার হয় সেটা স্বীকার করলেন খোদ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এই অপব্যববহার বন্ধের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোটার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) কার্যালয়ে সংগঠনটি আয়োজিত সংলাপে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই কথা বলেন
মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল আইনের অপব্যবহার হয়। কিন্তু এর অপব্যবহার হওয়া উচিত নয়। যারা এটি প্রয়োগের সঙ্গে যুক্ত তারা সচেতন থাকলে অপব্যবহার হবে না। তবে কোথাও অপব্যবহার হলে এবং আমাদের কাছে অভিযোগ এলে আমরা তা গুরত্ব দিয়ে দেখবো।’
অনুষ্ঠানে দেশে ডিজিটাল বিপ্লবের সূচনা, ডিজিটাল বাংলাদেশ আন্দোলন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, সোসাইটি ৫.০, দেশে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ উৎপাদন, দেশে মোট চাহিদার ৮৫ শতাংশ মোবাইল ফোনের উৎপাদন, বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি, মোবাইল ফোনের কল ড্রপ, নেটওয়ার্ক সমস্যা, ফোরজি নেটওয়ার্ক, ফাইভজি প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
ফাইভজি চালুর বিষয়ে মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি চালু করবো। টেলিটক ঢাকার পাঁচ বা ১০টি সাইটে ভাইভজি চালু করবে।’
কুমিল্লায় পূজাম-পে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় ৩০০টি লিংকের বিরুদ্ধে ফেসবুকের কাছে রিপোর্ট করেছে সরকার। সরকার ফেসবুক ও ইউটিউব বন্ধ করতে সক্ষম। এমন তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেগুলোর মধ্যে ২৬৪টি বন্ধ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। কুমিল্লার ঘটনার পর ফেসবুককে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। আমরা ফেসবুকের ভিডিও, ছবি ও লাইভ বন্ধ করতে পারবো এমন সক্ষমতা অর্জন করেছি। আমরা চাইলে কঠোর হয়ে ফেসবুক ও ইউটিউব বন্ধ করে দিতে পারি। তখন সবাই ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) প্রযুক্তি দিয়ে এগুলোতে ঢুকবে। তখন ভিপিএন বন্ধের দাবি উঠবে। ভিপিএন বন্ধ করলে ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে সমস্যা তৈরি হবে। তাই আমরা এসব বন্ধ করবো না। প্রযুক্তি দিয়েই আমরা প্রযুক্তিকে মোকাবিলা করবো। মাথাব্যথা হলে আমি মাথা কেটে ফেলার পক্ষে নই।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক বক্তব্য দেন।