ঢাকা ১১:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

রাজারবাগের পীরকে নিয়ে তদন্ত চলবে

  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, অপরধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত চলবে। পীর দিল্লুর ও তার প্রতিষ্ঠানের সম্পদ নির্ণয়, সম্পদের উৎস এবং তার পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো জঙ্গি সংগঠন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের জন্য যে আবেদন হয়েছিল, গতকাল মঙ্গলবার তা খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ। আদলতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। আর হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। পরে জেড আই খান পান্না বলেন, “আবেদন খারিজ মানে হাই কোর্টের আদেশ বহাল। ওই দরবার শরীফের পীরের বিরুদ্ধে দুদক আর পুলিশের তদন্ত চলবে।”
দেশের ছয়টি জেলায় ৩৪টি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ এনে রাজারবাগের পীর দিল্লুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আট ব্যক্তি গত মাসে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট রুল ছাড়াও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, অপরধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তিনটি নির্দেশনা দেয়।
১. পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়, কথিত পীর দিল্লুর রহমান ও তার পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো জঙ্গি সংগঠন আছে কি না, সে বিষয়ে আগামী ৩০ নভেম্বরের আগে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
২. দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়, পীর দিল্লুর ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সম্পদ রয়েছে, তা নির্ণয়ের পশাপাশি সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখে ৩০ নভেম্বরের আগে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
৩. আর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেওয়া হয়, রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে যারা হয়রানিমূলক মামলা করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
হাই কোর্টের এসব আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মফিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি, যিনি রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে করা এক মামলার বাদী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর আবেদনটি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত হাই কোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ না করে আবেদনটি ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠায়। গত রোববার আপিল বিভাগে আবেদনটির ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশ হল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজারবাগের পীরকে নিয়ে তদন্ত চলবে

আপডেট সময় : ১২:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার রাজারবাগের কথিত পীর দিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, অপরধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত চলবে। পীর দিল্লুর ও তার প্রতিষ্ঠানের সম্পদ নির্ণয়, সম্পদের উৎস এবং তার পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো জঙ্গি সংগঠন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হাই কোর্টের আদেশ বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত। হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের জন্য যে আবেদন হয়েছিল, গতকাল মঙ্গলবার তা খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ। আদলতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। আর হাই কোর্টের আদেশ স্থগিতের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। পরে জেড আই খান পান্না বলেন, “আবেদন খারিজ মানে হাই কোর্টের আদেশ বহাল। ওই দরবার শরীফের পীরের বিরুদ্ধে দুদক আর পুলিশের তদন্ত চলবে।”
দেশের ছয়টি জেলায় ৩৪টি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ এনে রাজারবাগের পীর দিল্লুর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে আট ব্যক্তি গত মাসে হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাই কোর্ট রুল ছাড়াও পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, অপরধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তিনটি নির্দেশনা দেয়।
১. পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়, কথিত পীর দিল্লুর রহমান ও তার পৃষ্ঠপোষকতায় কোনো জঙ্গি সংগঠন আছে কি না, সে বিষয়ে আগামী ৩০ নভেম্বরের আগে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
২. দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়, পীর দিল্লুর ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সম্পদ রয়েছে, তা নির্ণয়ের পশাপাশি সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখে ৩০ নভেম্বরের আগে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
৩. আর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেওয়া হয়, রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে যারা হয়রানিমূলক মামলা করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
হাই কোর্টের এসব আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মফিজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি, যিনি রিট আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে করা এক মামলার বাদী। গত ২৩ সেপ্টেম্বর আবেদনটি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত হাই কোর্টের আদেশে হস্তক্ষেপ না করে আবেদনটি ২৪ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠায়। গত রোববার আপিল বিভাগে আবেদনটির ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশ হল।