ঢাকা ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ

  • আপডেট সময় : ০২:২১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন বাজেটে বাজেটে অনানুষ্ঠানিক খাতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি নারী অভিবাসীরা যারা কাজে ফেরত যেতে চায় তাদের জন্য বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘নারীর উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং আসন্ন জাতীয় বাজেট’ বিষয়ক অনলাইন আলোচনা সভায় এসব বিষয়ে তুলে ধরেন বক্তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বাৎসরিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকের আলোচনা সভা। গত দেড় বছরে কোভিড পরিস্থিতি নারী-পুরুষের বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি বিগত সময়ের অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। আজকের আলোচনার তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে কোভিড মহামারিতে কীভাবে নারীর জীবন প্রভাবিত হয়েছে তা সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপিত হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি তিনি চলমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নারীর অবস্থার উন্নয়নের জন্য এবং উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে ধরে রাখতে বাজেটে বিশেষভাবে সরকারের মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, মহামারীতে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবচেয়ে বেশি। অস্বীকৃতিমূলক কাজকে বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নে বাজেট কতটা টেকসইভাবে কার্যকর হচ্ছে, বরাদ্দ যেমন গুরুত্বপূর্ণ এর সঙ্গে তা নারীর জন্য কতটা কার্যকর হচ্ছে সেটিও মূল্যায়নে পরিবীক্ষণের উপর জোর দিতে হবে। সভায় উপস্থিত আলোচকবৃন্দ সংগঠনের প্রয়াত সভাপতি আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সমাজের রাষ্ট্রনীতিতে, অর্থনীতিতে নারী পুরুষের মাঝে থাকা বৈষম্যকে আরও প্রকট করেছে কোভিড মহামারির অভিঘাত। জেন্ডার বাজেটের মাধ্যমে নারীদের উন্নয়নে গৃহীত ক্ষেত্রগুলোতে যেমন নারীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে, সহিংসতা প্রতিরোধে উন্নতি তেমন হয়নি। অর্জন যতটুকু হয়েছে তা হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা আছে। সমস্যার সমাধানে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারি খরচ বৃদ্ধি করতে পারলে চলমান বৈষম্য কমানো যাবে। এই খাতে বরাদ্দ বাড়লেও তা সন্তোষজনক নয়। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে হবে। বাজেটে যদি প্রবৃদ্ধিকে জোর দেওয়া হয়, তবে এর ধুম্রজালে যেন আটকে না যায় তা দেখতে হবে। বাজেটে অনানুষ্ঠানিক খাতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। স্টার্টআপের পাশাপাশি থোক বরাদ্দ চালু করতে হবে। নারী অভিবাসীরা যারা কাজে ফেরত যেতে চায় তাদের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে নারী অভিবাসীদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে হবে। নারী নির্ভর কর্মসূচির কলেবর বৃদ্ধি করতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং সেল গঠনে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে করতে হবে। বরাদ্দ কম-বেশির চেয়ে দেখা জরুরি বরাদ্দে নারীকে গুরুত্ব দেওয়া, গুণগত বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে; নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা কর মুক্ত রাখতে হবে। সঞ্চয়পত্রে নারীদের জন্য সুদের হার বৃদ্ধি করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ বন্ধে ক্ষমতার জায়গা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আগামী বাজেটে নারীর কর্মসংস্থানে নীতিগত সহায়তা, মনোজগতে পরিবর্তন সহায়তা সবচেয়ে জরুরি; এর উত্তরণে জেন্ডার বাজেট সংক্রান্ত আলোচনায় মনস্তত্ববিদ, সমাজবিদদের উপস্থিতি জরুরি বলে মতামত দেন বক্তারা। সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বাজেট কেবল অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিকল্পনা নয় বরং স্বচ্ছ কর্মসূচি পালনের একটি উদ্দেশ্য। নারী আন্দোলন মনে করে নারীর ক্ষমতায়নে, নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কেবল প্রতিশ্রুতিপূর্ণ পরিকল্পনাই যথেষ্ট নয়; বরং প্রয়োজন অনুসারে বাস্তবায়ন ও জরুরি। বাজেটের কতটা অংশ প্রকৃত উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে তা দেখা গুরুত্বপূর্ণ। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরমিন্দ নিলোর্মী, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ এবং ডিবিসি চ্যানেলের বার্তা বিভাগের প্রধান প্রণব সাহা। অনলাইন আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, সানেমের প্রতিনিধি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশন, আইইডি, ওয়াইডাব্লিউসিএ ব্র্যাক, একশন এইড, বিএনপিএস, এডাবের প্রতিনিধিসহ অনেকেই যুক্ত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরের শুভযাত্রা বাংলাদেশের

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশ

আপডেট সময় : ০২:২১:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন বাজেটে বাজেটে অনানুষ্ঠানিক খাতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি নারী অভিবাসীরা যারা কাজে ফেরত যেতে চায় তাদের জন্য বাজেট বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘নারীর উপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং আসন্ন জাতীয় বাজেট’ বিষয়ক অনলাইন আলোচনা সভায় এসব বিষয়ে তুলে ধরেন বক্তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বাৎসরিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকের আলোচনা সভা। গত দেড় বছরে কোভিড পরিস্থিতি নারী-পুরুষের বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এটি বিগত সময়ের অর্জনকে ম্লান করে দিয়েছে। আজকের আলোচনার তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে কোভিড মহামারিতে কীভাবে নারীর জীবন প্রভাবিত হয়েছে তা সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপিত হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি তিনি চলমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নারীর অবস্থার উন্নয়নের জন্য এবং উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে ধরে রাখতে বাজেটে বিশেষভাবে সরকারের মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, মহামারীতে নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় সবচেয়ে বেশি। অস্বীকৃতিমূলক কাজকে বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নে বাজেট কতটা টেকসইভাবে কার্যকর হচ্ছে, বরাদ্দ যেমন গুরুত্বপূর্ণ এর সঙ্গে তা নারীর জন্য কতটা কার্যকর হচ্ছে সেটিও মূল্যায়নে পরিবীক্ষণের উপর জোর দিতে হবে। সভায় উপস্থিত আলোচকবৃন্দ সংগঠনের প্রয়াত সভাপতি আয়শা খানমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সমাজের রাষ্ট্রনীতিতে, অর্থনীতিতে নারী পুরুষের মাঝে থাকা বৈষম্যকে আরও প্রকট করেছে কোভিড মহামারির অভিঘাত। জেন্ডার বাজেটের মাধ্যমে নারীদের উন্নয়নে গৃহীত ক্ষেত্রগুলোতে যেমন নারীর শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে, সহিংসতা প্রতিরোধে উন্নতি তেমন হয়নি। অর্জন যতটুকু হয়েছে তা হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা আছে। সমস্যার সমাধানে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সরকারি খরচ বৃদ্ধি করতে পারলে চলমান বৈষম্য কমানো যাবে। এই খাতে বরাদ্দ বাড়লেও তা সন্তোষজনক নয়। প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে হবে। বাজেটে যদি প্রবৃদ্ধিকে জোর দেওয়া হয়, তবে এর ধুম্রজালে যেন আটকে না যায় তা দেখতে হবে। বাজেটে অনানুষ্ঠানিক খাতে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। স্টার্টআপের পাশাপাশি থোক বরাদ্দ চালু করতে হবে। নারী অভিবাসীরা যারা কাজে ফেরত যেতে চায় তাদের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে নারী অভিবাসীদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিতে হবে। নারী নির্ভর কর্মসূচির কলেবর বৃদ্ধি করতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং সেল গঠনে সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে করতে হবে। বরাদ্দ কম-বেশির চেয়ে দেখা জরুরি বরাদ্দে নারীকে গুরুত্ব দেওয়া, গুণগত বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে; নতুন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা কর মুক্ত রাখতে হবে। সঞ্চয়পত্রে নারীদের জন্য সুদের হার বৃদ্ধি করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ বন্ধে ক্ষমতার জায়গা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আগামী বাজেটে নারীর কর্মসংস্থানে নীতিগত সহায়তা, মনোজগতে পরিবর্তন সহায়তা সবচেয়ে জরুরি; এর উত্তরণে জেন্ডার বাজেট সংক্রান্ত আলোচনায় মনস্তত্ববিদ, সমাজবিদদের উপস্থিতি জরুরি বলে মতামত দেন বক্তারা। সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বাজেট কেবল অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি পরিকল্পনা নয় বরং স্বচ্ছ কর্মসূচি পালনের একটি উদ্দেশ্য। নারী আন্দোলন মনে করে নারীর ক্ষমতায়নে, নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কেবল প্রতিশ্রুতিপূর্ণ পরিকল্পনাই যথেষ্ট নয়; বরং প্রয়োজন অনুসারে বাস্তবায়ন ও জরুরি। বাজেটের কতটা অংশ প্রকৃত উন্নয়নে ব্যয় হচ্ছে তা দেখা গুরুত্বপূর্ণ। সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরমিন্দ নিলোর্মী, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ এবং ডিবিসি চ্যানেলের বার্তা বিভাগের প্রধান প্রণব সাহা। অনলাইন আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, সানেমের প্রতিনিধি, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশন, আইইডি, ওয়াইডাব্লিউসিএ ব্র্যাক, একশন এইড, বিএনপিএস, এডাবের প্রতিনিধিসহ অনেকেই যুক্ত ছিলেন।