ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

৪৩তম বিসিএস প্রিলির আসন বিন্যাস ও পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা

  • আপডেট সময় : ১১:০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আসন বিন্যাস ও পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সম্প্রতি পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহ্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আটটি বিভাগীয় শহরের ৩৬৯ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। চলুন এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো দেখে নিই-
১। প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ (আট) ডিজিট। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডিজিট উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
২। প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি থাকবে। প্রার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাট করার প্রয়োজন হবে না। সকাল ১০টায় প্রশ্ন পত্র প্রাপ্তির পর প্রার্থী তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কি না তা চেক করে নিশ্চিত হবেন। উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শককে জানাবে।
৩। প্রশ্নপত্র দেয়ার পর (সকাল ১০টা) কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। প্রশ্নপত্র নেয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কোনো প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতেও পারবেন না।
৪। কোনো প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গড়মিলসহ কোনোরূপ অনিয়ম ধরা পড়লে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫। পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৬। পরীক্ষা হলের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।
৭। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোন ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৮। প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
৯। প্রার্থীর আবেদনপত্রে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়লে পরীক্ষার আগে বা পরে যেকোনো পর্যায়ে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
১০। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর প্রিলিমিনারি টেস্টের ওএমআর উত্তরপত্রের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশে প্রার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট নম্বর এবং স্বাক্ষরের স্থান থাকবে। দ্বিতীয় অংশে ২০০টি উত্তর প্রদানের জন্য ১-২০০ পর্যন্ত ক্রম অনুযায়ী বৃত্তসমূহ থাকবে।
উল্লেখ্য, ৪৩তম সাধারণ বিসিএসের জন্য গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন-প্রক্রিয়া। শুরুতে আবেদনের শেষ সময় এ বছরের ৩১ জানুয়ারি করা হলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশে সময় বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। এতে সরকার বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জনকে নিয়োগ দেবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

৪৩তম বিসিএস প্রিলির আসন বিন্যাস ও পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা

আপডেট সময় : ১১:০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আসন বিন্যাস ও পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সম্প্রতি পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহ্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আগামী ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আটটি বিভাগীয় শহরের ৩৬৯ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা সংক্রান্ত বেশ কিছু নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে। চলুন এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাগুলো দেখে নিই-
১। প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ (আট) ডিজিট। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডিজিট উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
২। প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি থাকবে। প্রার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাট করার প্রয়োজন হবে না। সকাল ১০টায় প্রশ্ন পত্র প্রাপ্তির পর প্রার্থী তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কি না তা চেক করে নিশ্চিত হবেন। উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শককে জানাবে।
৩। প্রশ্নপত্র দেয়ার পর (সকাল ১০টা) কোনো প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। প্রশ্নপত্র নেয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কোনো প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতেও পারবেন না।
৪। কোনো প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গড়মিলসহ কোনোরূপ অনিয়ম ধরা পড়লে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫। পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৬। পরীক্ষা হলের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।
৭। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোন ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
৮। প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।
৯। প্রার্থীর আবেদনপত্রে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়লে পরীক্ষার আগে বা পরে যেকোনো পর্যায়ে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
১০। ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর প্রিলিমিনারি টেস্টের ওএমআর উত্তরপত্রের দুটি অংশ থাকবে। প্রথম অংশে প্রার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট নম্বর এবং স্বাক্ষরের স্থান থাকবে। দ্বিতীয় অংশে ২০০টি উত্তর প্রদানের জন্য ১-২০০ পর্যন্ত ক্রম অনুযায়ী বৃত্তসমূহ থাকবে।
উল্লেখ্য, ৪৩তম সাধারণ বিসিএসের জন্য গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় আবেদন-প্রক্রিয়া। শুরুতে আবেদনের শেষ সময় এ বছরের ৩১ জানুয়ারি করা হলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশে সময় বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়। এতে সরকার বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জনকে নিয়োগ দেবে।