ঢাকা ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

পুঁতির মালা বিক্রি করে উদ্যোক্তা হয়েছেন মিরসরাইয়ের স্মৃতা

  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
  • ১২৩ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : ছোটবেলা থেকেই পুঁতির তৈরি গয়নার প্রতি ঝোঁক ছিল স্মৃতা সেন গুপ্তার। পুঁতির ব্যাগ, খেলনা, ঝাড়বাতি দেখলেই কিনে ফেলতেন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় পুঁতি কিনে এনে নানা ধরনের খেলনা তৈরি করতেন। বানাতেন গয়না। একসময়ের শখ পরিণত হলো অনলাইন ব্যবসায়। এখন পুঁতিসহ নানা ধরনের পণ্য তিনি পৌঁছে দেন মানুষের দুয়ারে। গত এক মাসে তাঁর আয় হয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের নিজামপুর সরকারি কলেজে হিসাববিজ্ঞানের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী স্মৃতা। পুঁতির খেলনা বা গয়নার পাশাপাশি স্মৃতার গান ও নাচের প্রতি ঝোঁক কম ছিল না। হাত খরচ জোগাতে নাচ-গান শেখাতেন। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পেরোনোর পর ফেসবুকে পেজ খোলেন তিনি। পেজে নিজের তৈরি বিভিন্ন শো-পেজ, গয়নার ছবি দিতেন। বন্ধুরাও উৎসাহ দিত। সবার অনুপ্রেরণায় অনলাইনে নিজের তৈরি গয়না বিক্রি করা শুরু করেন তিনি।
শুরুতে অবশ্য খুব ভালো সাড়া পাননি। মাত্র ৪০০ টাকার পুঁতির মালা বিক্রি হয় প্রথমবার। এরপর ধাপে ধাপে বিক্রি বাড়ে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, গয়না, শো-পেজ মিলিয়ে এখন তাঁর বিকিকিনি ভালো। করোনাকালে প্রায় দেড় লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন তিনি। স্মৃতা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু করব। নিজের পায়ে দাঁড়াব। করোনার কারণে অনেকেই ঘরে বসে ছিলেন। তখন নিয়মিত বিভিন্ন নকশার শাড়ি, পাঞ্জাবির ছবি ফেসবুকে দিতাম। বেশ কম দামে বিক্রি করতাম, ফলে ফরমাশও বেশি এসেছে। টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, ঢাকা থেকে শাড়ি ও পাঞ্জাবিগুলো সংগ্রহ করি। আর কিছু শো-পেজ নিজেই তৈরি করেছি।’
নাচ–গান, আবৃত্তি, পড়াশোনা আবার ব্যবসা—সবকিছু একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়ায় খুশি স্মৃতার বাবা সমীর সেন গুপ্ত ও মা উত্তরা সেন গুপ্তা। তাঁরা বললেন, মেয়ে একদিন আকাশ ছোঁবে। সেদিন পর্যন্ত মেয়েকে তাঁর সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পুঁতির মালা বিক্রি করে উদ্যোক্তা হয়েছেন মিরসরাইয়ের স্মৃতা

আপডেট সময় : ১০:৫৮:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১

ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : ছোটবেলা থেকেই পুঁতির তৈরি গয়নার প্রতি ঝোঁক ছিল স্মৃতা সেন গুপ্তার। পুঁতির ব্যাগ, খেলনা, ঝাড়বাতি দেখলেই কিনে ফেলতেন। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় পুঁতি কিনে এনে নানা ধরনের খেলনা তৈরি করতেন। বানাতেন গয়না। একসময়ের শখ পরিণত হলো অনলাইন ব্যবসায়। এখন পুঁতিসহ নানা ধরনের পণ্য তিনি পৌঁছে দেন মানুষের দুয়ারে। গত এক মাসে তাঁর আয় হয়েছে প্রায় ৪৭ হাজার টাকা।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের নিজামপুর সরকারি কলেজে হিসাববিজ্ঞানের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী স্মৃতা। পুঁতির খেলনা বা গয়নার পাশাপাশি স্মৃতার গান ও নাচের প্রতি ঝোঁক কম ছিল না। হাত খরচ জোগাতে নাচ-গান শেখাতেন। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিক পেরোনোর পর ফেসবুকে পেজ খোলেন তিনি। পেজে নিজের তৈরি বিভিন্ন শো-পেজ, গয়নার ছবি দিতেন। বন্ধুরাও উৎসাহ দিত। সবার অনুপ্রেরণায় অনলাইনে নিজের তৈরি গয়না বিক্রি করা শুরু করেন তিনি।
শুরুতে অবশ্য খুব ভালো সাড়া পাননি। মাত্র ৪০০ টাকার পুঁতির মালা বিক্রি হয় প্রথমবার। এরপর ধাপে ধাপে বিক্রি বাড়ে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, গয়না, শো-পেজ মিলিয়ে এখন তাঁর বিকিকিনি ভালো। করোনাকালে প্রায় দেড় লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন তিনি। স্মৃতা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু করব। নিজের পায়ে দাঁড়াব। করোনার কারণে অনেকেই ঘরে বসে ছিলেন। তখন নিয়মিত বিভিন্ন নকশার শাড়ি, পাঞ্জাবির ছবি ফেসবুকে দিতাম। বেশ কম দামে বিক্রি করতাম, ফলে ফরমাশও বেশি এসেছে। টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, ঢাকা থেকে শাড়ি ও পাঞ্জাবিগুলো সংগ্রহ করি। আর কিছু শো-পেজ নিজেই তৈরি করেছি।’
নাচ–গান, আবৃত্তি, পড়াশোনা আবার ব্যবসা—সবকিছু একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়ায় খুশি স্মৃতার বাবা সমীর সেন গুপ্ত ও মা উত্তরা সেন গুপ্তা। তাঁরা বললেন, মেয়ে একদিন আকাশ ছোঁবে। সেদিন পর্যন্ত মেয়েকে তাঁর সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবেন।