ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

অভ্যুত্থানের বিরোধিতা: মিয়ানমারে সোয়া লাখের বেশি শিক্ষক বরখাস্ত

  • আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারজুড়ে শুরু হওয়া আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কর্তৃপক্ষ ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি স্কুল শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে।
মিয়ানমার শিক্ষক ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। দেশটিতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর কয়েকদিন আগে বিপুল সংখ্যক শিক্ষককে বরখাস্ত করার এ খবর এল। অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক এবারের শিক্ষাবর্ষ বয়কট করছেন।
দশককাল গণতান্ত্রিক সংস্কারের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সামরিক বাহিনী। এর প্রতিবাদে গত কয়েক মাস ধরে চলা আন্দোলন ইতোমধ্যে দেশটিকে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে।
গত শনিবার পর্যন্ত সামরিক কর্তৃপক্ষ এক লাখ ২৫ হাজার ৯০০ স্কুল শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক ফেডারেশনের ওই কর্মকর্তা। নিপীড়ন নেমে আসতে পারে এই ভয়ে নিজের নাম বলতে রাজি না হওয়া এই শিক্ষক জানান, অসন্তোষ উসকে দেওয়ার অভিযোগে তার নাম আগে থেকেই জান্তার ‘ওয়ান্টেড লিস্টে’ আছে।
দুই বছর আগের জরিপ অনুযায়ী, মিয়ানমারে মোট স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাজার। “এগুলো আসলে বার্তা, লোকজনকে কাজে ফিরতে হুমকি হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যদি সত্যিই সত্যিই তারা এত লোককে চাকরিচ্যুত করে, তাহলে সমগ্র সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাবে,” বলেছেন তিনি। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে, কাজে ফিরলে তা তুলে নেওয়া হবে বলে তাকে জানানো হয়েছে।
শিক্ষকদের বরখাস্ত করার প্রসঙ্গে সামরিক জান্তার মুখপাত্র বা মিয়ানমারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া নিতে পারেনি রয়টার্স। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার শিক্ষা কার্যক্রম ফের চালু করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কর্মীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শিক্ষক ফেডারেশন জানিয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অভ্যুত্থানের বিরোধিতা: মিয়ানমারে সোয়া লাখের বেশি শিক্ষক বরখাস্ত

আপডেট সময় : ১১:২৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারজুড়ে শুরু হওয়া আইন অমান্য আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কর্তৃপক্ষ ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি স্কুল শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে।
মিয়ানমার শিক্ষক ফেডারেশনের এক কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। দেশটিতে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর কয়েকদিন আগে বিপুল সংখ্যক শিক্ষককে বরখাস্ত করার এ খবর এল। অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে মিয়ানমারের অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক এবারের শিক্ষাবর্ষ বয়কট করছেন।
দশককাল গণতান্ত্রিক সংস্কারের পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সামরিক বাহিনী। এর প্রতিবাদে গত কয়েক মাস ধরে চলা আন্দোলন ইতোমধ্যে দেশটিকে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে।
গত শনিবার পর্যন্ত সামরিক কর্তৃপক্ষ এক লাখ ২৫ হাজার ৯০০ স্কুল শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক ফেডারেশনের ওই কর্মকর্তা। নিপীড়ন নেমে আসতে পারে এই ভয়ে নিজের নাম বলতে রাজি না হওয়া এই শিক্ষক জানান, অসন্তোষ উসকে দেওয়ার অভিযোগে তার নাম আগে থেকেই জান্তার ‘ওয়ান্টেড লিস্টে’ আছে।
দুই বছর আগের জরিপ অনুযায়ী, মিয়ানমারে মোট স্কুল শিক্ষকের সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাজার। “এগুলো আসলে বার্তা, লোকজনকে কাজে ফিরতে হুমকি হিসেবে দেওয়া হয়েছে। যদি সত্যিই সত্যিই তারা এত লোককে চাকরিচ্যুত করে, তাহলে সমগ্র সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাবে,” বলেছেন তিনি। তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে, কাজে ফিরলে তা তুলে নেওয়া হবে বলে তাকে জানানো হয়েছে।
শিক্ষকদের বরখাস্ত করার প্রসঙ্গে সামরিক জান্তার মুখপাত্র বা মিয়ানমারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিক্রিয়া নিতে পারেনি রয়টার্স। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার শিক্ষা কার্যক্রম ফের চালু করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কর্মীকেও বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শিক্ষক ফেডারেশন জানিয়েছে।