ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সেই এএসপি সারোয়ারের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক

  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশ কর্মকর্তা সারোয়ার কবিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল সোমবার কমিশনের এক সভায় এই অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দুদকের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রংপুরের এএসপি সারোয়ার ঠিক কত টাকার অবৈধ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন, সে বিষয়ে দুদকের কাছে কোনো প্রাথমিক তথ্য নেই। দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা এবং পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারক কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে কমিশন। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে এক নারী ও তার ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে গত ২৪ অগাস্ট সারোয়ার কবিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপর আসামিরা হলেন- রংপুর সিআইডির এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর ও ‘সিআইডির সোর্স’ খাসিউর রহমান।
এজাহারে বলা হয়, ২৩ অগাস্ট রাত ৮টার দিকে ৭-৮ জন অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশ পরিচয় দিয়ে চিরিরবন্দরের নান্দারাই গ্রামের লুৎফর রহমানের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে মা-ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন তারা।
অপহরণকারীদের দেওয়া তথ্যমতে, আট লাখ টাকা নিয়ে ২৪ আগস্ট বিকালে দিনাজপুর সদরের বাশেরহাটে যান লুৎফরের পরিবারের সদস্যরা। অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দশমাইল এলাকা থেকে পুলিশ সারোয়ারসহ সিআইডির তিন সদস্য ও মাইক্রোবাস চালককে আটক করে। পরে রাতে ‘সিআইডির সোর্স’ খাসিউর রহমানকে আটক করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সেই এএসপি সারোয়ারের বিরুদ্ধে তদন্তে দুদক

আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : দিনাজপুরে মা ও ছেলেকে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশ কর্মকর্তা সারোয়ার কবিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল সোমবার কমিশনের এক সভায় এই অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে দুদকের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রংপুরের এএসপি সারোয়ার ঠিক কত টাকার অবৈধ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন, সে বিষয়ে দুদকের কাছে কোনো প্রাথমিক তথ্য নেই। দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা এবং পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে তদারক কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে কমিশন। দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে এক নারী ও তার ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে গত ২৪ অগাস্ট সারোয়ার কবিরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপর আসামিরা হলেন- রংপুর সিআইডির এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর ও ‘সিআইডির সোর্স’ খাসিউর রহমান।
এজাহারে বলা হয়, ২৩ অগাস্ট রাত ৮টার দিকে ৭-৮ জন অজ্ঞাতপরিচয় পুলিশ পরিচয় দিয়ে চিরিরবন্দরের নান্দারাই গ্রামের লুৎফর রহমানের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে মা-ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন তারা।
অপহরণকারীদের দেওয়া তথ্যমতে, আট লাখ টাকা নিয়ে ২৪ আগস্ট বিকালে দিনাজপুর সদরের বাশেরহাটে যান লুৎফরের পরিবারের সদস্যরা। অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দশমাইল এলাকা থেকে পুলিশ সারোয়ারসহ সিআইডির তিন সদস্য ও মাইক্রোবাস চালককে আটক করে। পরে রাতে ‘সিআইডির সোর্স’ খাসিউর রহমানকে আটক করা হয়।