ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

‘টাকা চুরি দেখে ফেলায়’ শিশু হত্যা

  • আপডেট সময় : ১২:৪০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

সাভার প্রতিনিধি : ঢাকার সাভারে ‘টাকা চুরি করতে দেখে ফেলায়’ এক শিশু শ্রমিককে হত্যার অভিযোগে তার সহকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আশুলিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম জানান, গত শনিবার মধ্যরাতে বাইপাইল এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত মো. ফেরদৌস (১১) শেরপুর সদর থানার মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসচালক রইচ উদ্দিনের ছেলে। আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ বালুর মাঠ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনে কাজ করত ফেরদৌস।
নিহতের বড় বোন রুবিনা বেগম বলেন, ফেরদৌসকে তিন দিন আগে পরিবহনের কাজে পাঠানো হয়। শনিবার সকালে তার লাশ বাইপাইল রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসআই সামিউল প্রাথমিক তদন্তের তথ্যে বলেন, ক্ল্যাসিক পরিবহন নামে একটি গাড়ির শ্রমিক হৃদয় ও পারভেজ বাইপাইলে গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুম ভাংলে পকেট থেকে ৫০০ টাকা খোয়া গেছে বলে জানতে পারেন হৃদয়। ওই গাড়িরই শ্রমিক ফেরদৌস না ঘুমিয়ে জেগে ছিল। সে পারভেজকে টাকা চুরি করতে দেখেছে বলে জানায়। বাগবিত-ার একপর্যায়ে পারভেজ শিশু ফেরদৌসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
এসআই বলেন, হত্যার দায় এড়াতে হৃদয় ও পারভেজ দুইজন মিলে ফেরদৌসের লাশ সড়কে ফেলে রেখে পুলিশকে দুর্ঘটনা বলে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহে দুর্ঘটনার কোনো চিহ্ন না পেয়ে হৃদয়কে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৫০০ টাকা চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় ফেরদৌসকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।” এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পলাতক পারভেজকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘টাকা চুরি দেখে ফেলায়’ শিশু হত্যা

আপডেট সময় : ১২:৪০:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

সাভার প্রতিনিধি : ঢাকার সাভারে ‘টাকা চুরি করতে দেখে ফেলায়’ এক শিশু শ্রমিককে হত্যার অভিযোগে তার সহকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আশুলিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম জানান, গত শনিবার মধ্যরাতে বাইপাইল এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত মো. ফেরদৌস (১১) শেরপুর সদর থানার মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসচালক রইচ উদ্দিনের ছেলে। আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ বালুর মাঠ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থেকে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনে কাজ করত ফেরদৌস।
নিহতের বড় বোন রুবিনা বেগম বলেন, ফেরদৌসকে তিন দিন আগে পরিবহনের কাজে পাঠানো হয়। শনিবার সকালে তার লাশ বাইপাইল রাস্তা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসআই সামিউল প্রাথমিক তদন্তের তথ্যে বলেন, ক্ল্যাসিক পরিবহন নামে একটি গাড়ির শ্রমিক হৃদয় ও পারভেজ বাইপাইলে গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘুম ভাংলে পকেট থেকে ৫০০ টাকা খোয়া গেছে বলে জানতে পারেন হৃদয়। ওই গাড়িরই শ্রমিক ফেরদৌস না ঘুমিয়ে জেগে ছিল। সে পারভেজকে টাকা চুরি করতে দেখেছে বলে জানায়। বাগবিত-ার একপর্যায়ে পারভেজ শিশু ফেরদৌসকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে অভিযোগ।
এসআই বলেন, হত্যার দায় এড়াতে হৃদয় ও পারভেজ দুইজন মিলে ফেরদৌসের লাশ সড়কে ফেলে রেখে পুলিশকে দুর্ঘটনা বলে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহে দুর্ঘটনার কোনো চিহ্ন না পেয়ে হৃদয়কে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৫০০ টাকা চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় ফেরদৌসকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।” এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং পলাতক পারভেজকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।