ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির অঙ্গীকার স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় : ১২:০০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশ থেকে পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির অঙ্গীকার করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ। তার ভাষায়, এই ধরনের কর্মকা- নারীদেরকে ‘দাসে পরিণত’ করে। গত রোববার দেশটির ভ্যালেন্সিয়াতে নিজের বামপন্থি দলের তিন দিনব্যাপী কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি একথা বলেন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ১৯৯৫ সালে পতিতাবৃত্তিকে স্পেনে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়। এরপর ২০১৬ সালে জাতিসংঘের এক হিসাবে বলা হয়, দেশটির সেক্স ইন্ডাস্ট্রি বা পতিতাবৃত্তি পেশার আকার ছিল মোটামুটি ৪২০ কোটি মার্কিন ডলারের।
এছাড়া ২০০৯ সালে এক জরিপে দেখা যায়, প্রতি তিন জন স্প্যানিশ পুরুষের একজন দৈহিক মিলনের জন্য টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে ২০০৯ সালে প্রকাশিত অন্য একটি রিপোর্টে বলা হয়, দৈহিক মিলনের জন্য কোনো নারীকে টাকা পরিশোধ করা পুরুষের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১১ সালে জাতিসংঘের একটি গবেষণায় জানানো হয়, পতিতাবৃত্তির দিক থেকে স্পেন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। ইউরোপের এই দেশটির সামনে কেবল থাইল্যান্ড ও পুয়ের্তো রিকো রয়েছে।
বিবিসি বলছে, স্পেনে পতিতাবৃত্তি এখন আর সরকারিভাবে নজরদারি করা হয় না। তবে টাকা পরিশোধের মাধ্যমে এবং স্বেচ্ছায় যারা এ ধরনের কর্মকা-ে জড়িত হয়, তাদের জন্য কোনো সাজাও নেই। তবে প্রকাশ্যে বা পাবলিক প্লেসে এ ধরনের ঘটনায় লিপ্ত হলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। অবশ্য কোনো যৌনকর্মী এবং সম্ভাব্য কোনো ক্লায়েন্টের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা দেশটিতে অবৈধ।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পতিতাবৃত্তিকে আইনি বৈধতা দেওয়ার পর থেকে স্পেনে এই শিল্প ও পেশা ফুলেফেঁপে ওঠে। ধারণা করা হয়, স্পেনে প্রায় ৩ লাখ নারী বর্তমানে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির অঙ্গীকার করেছিলেন পেড্রো সানচেজ। আরও বেশি সংখ্যক নারী ভোটারকে আকৃষ্ট করতেই তিনি এই অঙ্গীকার করেছিলেন বলে মনে করা হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির অঙ্গীকার স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ১২:০০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশ থেকে পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির অঙ্গীকার করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ। তার ভাষায়, এই ধরনের কর্মকা- নারীদেরকে ‘দাসে পরিণত’ করে। গত রোববার দেশটির ভ্যালেন্সিয়াতে নিজের বামপন্থি দলের তিন দিনব্যাপী কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি একথা বলেন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ১৯৯৫ সালে পতিতাবৃত্তিকে স্পেনে আইনি বৈধতা দেওয়া হয়। এরপর ২০১৬ সালে জাতিসংঘের এক হিসাবে বলা হয়, দেশটির সেক্স ইন্ডাস্ট্রি বা পতিতাবৃত্তি পেশার আকার ছিল মোটামুটি ৪২০ কোটি মার্কিন ডলারের।
এছাড়া ২০০৯ সালে এক জরিপে দেখা যায়, প্রতি তিন জন স্প্যানিশ পুরুষের একজন দৈহিক মিলনের জন্য টাকা পরিশোধ করেছেন। তবে ২০০৯ সালে প্রকাশিত অন্য একটি রিপোর্টে বলা হয়, দৈহিক মিলনের জন্য কোনো নারীকে টাকা পরিশোধ করা পুরুষের সংখ্যা ৩৯ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১১ সালে জাতিসংঘের একটি গবেষণায় জানানো হয়, পতিতাবৃত্তির দিক থেকে স্পেন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। ইউরোপের এই দেশটির সামনে কেবল থাইল্যান্ড ও পুয়ের্তো রিকো রয়েছে।
বিবিসি বলছে, স্পেনে পতিতাবৃত্তি এখন আর সরকারিভাবে নজরদারি করা হয় না। তবে টাকা পরিশোধের মাধ্যমে এবং স্বেচ্ছায় যারা এ ধরনের কর্মকা-ে জড়িত হয়, তাদের জন্য কোনো সাজাও নেই। তবে প্রকাশ্যে বা পাবলিক প্লেসে এ ধরনের ঘটনায় লিপ্ত হলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। অবশ্য কোনো যৌনকর্মী এবং সম্ভাব্য কোনো ক্লায়েন্টের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা দেশটিতে অবৈধ।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পতিতাবৃত্তিকে আইনি বৈধতা দেওয়ার পর থেকে স্পেনে এই শিল্প ও পেশা ফুলেফেঁপে ওঠে। ধারণা করা হয়, স্পেনে প্রায় ৩ লাখ নারী বর্তমানে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে পতিতাবৃত্তি বিলুপ্তির অঙ্গীকার করেছিলেন পেড্রো সানচেজ। আরও বেশি সংখ্যক নারী ভোটারকে আকৃষ্ট করতেই তিনি এই অঙ্গীকার করেছিলেন বলে মনে করা হয়।